কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শনিবার সকালে ঢাকার বনশ্রী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। তাদের ঢাকা থেকে আটক করা হয় এবং পরে মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানায় হস্তান্তর করা হবে। ঘটনার বিস্তারিত আজ শনিবার বিকেল ৫টায় র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আরও দুজনকে আটক করা হয়। এ নিয়ে মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে খলিলুর রহমান জুয়েলের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭) গুরুতর আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। রাত ১২টার দিকে সেটি মামলা হিসেবে নেয় পুলিশ।
মামলায় স্থানীয় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাচ্চু মিয়া, স্থানীয় ব্যবসায়ী বাছির উদ্দিনসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০–২৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, নিহত পরিবারটি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এলাকায় ক্ষোভের কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহতদের পরিবারের দাবি, এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা—একটি মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দখল ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে।
ঘটনার পর কড়ইবাড়ি এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগরে একই পরিবারের তিনজনকে নৃশংসভাবে হত্যার মামলায় আরও ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শনিবার সকালে ঢাকার বনশ্রী এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ কুমিল্লার কোম্পানি কমান্ডার মাহমুদুল হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। তাদের ঢাকা থেকে আটক করা হয় এবং পরে মুরাদনগরের বাঙ্গরা বাজার থানায় হস্তান্তর করা হবে। ঘটনার বিস্তারিত আজ শনিবার বিকেল ৫টায় র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হবে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আরও দুজনকে আটক করা হয়। এ নিয়ে মামলায় মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে মুরাদনগরের কড়ইবাড়ি গ্রামে নিজ বাড়িতে খলিলুর রহমান জুয়েলের স্ত্রী রোকসানা বেগম ওরফে রুবি (৫৩), ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫) ও মেয়ে তাসপিয়া আক্তার ওরফে জোনাকিকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় রোকসানার আরেক মেয়ে রুমা আক্তার (২৭) গুরুতর আহত হন। তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৩৯ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাত ৯টার দিকে নিহত রোকসানার বড় মেয়ে রিক্তা আক্তার থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। রাত ১২টার দিকে সেটি মামলা হিসেবে নেয় পুলিশ।
মামলায় স্থানীয় আকুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শিমুল বিল্লালকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য বাচ্চু মিয়া, স্থানীয় ব্যবসায়ী বাছির উদ্দিনসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ২০–২৫ জন অজ্ঞাতনামাকে আসামি করা হয়েছে।
স্থানীয়দের একাংশের দাবি, নিহত পরিবারটি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল এবং এলাকায় ক্ষোভের কারণে হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে নিহতদের পরিবারের দাবি, এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত হামলা—একটি মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে দখল ও আধিপত্য বিস্তারের জেরে।
ঘটনার পর কড়ইবাড়ি এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।