alt

সারাদেশ

ভুতুড়ে বিলের কবলে গোপালপুরে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল : শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ পিবিএস-১ এর টাঙ্গাইলের গোপালপুর জোনাল শাখার গ্রাহকরা। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পশ্চিমে যমুনা নদী তীরবর্তী গ্রাম সোনামুই ও পূর্ববর্তী মধুপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নারায়ণপুর গ্রামের অন্তত ৪০এর অধিক গ্রাহকরা এমন অভিযোগ করেছেন। মিটারে ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে ৫০ থেকে ২০০ ইউনিট বেশি বিল করা হচ্ছে। মিটার না দেখে অনুমান করেই বিল করা হচ্ছে বলে গ্রাহকের অভিযোগ। এ অবস্থায় তারা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। না দিলে জরিমানা ও মামলার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যুৎ অফিস ১ থেকে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে ভ্যাট ব্যতীত ৫.২৬ টাকা বিল। ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে অতিরিক্ত ৭ টাকা ২০ পয়সা হারে বিদ্যুৎ বিল করা হয়। এতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দিতেও বাধ্য হতে হয়।

গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাওফিক আহমেদ বলেন, মাসের ৮ তারিখে ৬৬৩০ ইউনিট রিডিং লেখা হয়েছে। অথচ ৩০ তারিখে মিটারে রিডিং আছে ৬৫৭৫ ইউনিট।

অতিরিক্ত ইউনিটের ব্যাপারে অফিসকে অবগত করলে তারা পরের মাসে সমন্বয় করবে বলে জানায়। কিন্তু পরের মাসে আর কোন সমন্বয় করে না। আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারে বেশি রিডিং লেখা হয়েছে। তারা মিটার না দেখেই এমন ভুতুড়ে বিল বানাচ্ছেন।

ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই গ্রামের বিধবা রহিমা বেগম বলেন, মাসের ৩০ তারিখ মিটারে আছে ১১০৫ ইউনিট। অথচ ৮ তারিখে রিডিং লেখা হয়েছে ১২৬৫ ইউনিট। এভাবে অতিরিক্ত বিল বাড়তি চাপিয়ে দিয়ে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমার স্বামী-সন্তান নাই, এতো বিল আমি কিভাবে পরিশোধ করবো। সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে আবার জরিমানা দিতে হয়।

সোনামুই মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সদস্য বিপ্লব খান বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারেই অতিরিক্ত রিডিং লেখা হয়েছে। আমাদের মসজিদে মিটারে এ পর্যন্ত ১৬৮৬ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করা হয়েছে। অথচ ২০ দিন আগে বিল করা হয়েছে ১৭২০ ইউনিট। এভাবে বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয়া বন্ধ করা না হলে আমরা গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।

এ বিষয়ে গোপালপুর বিদ্যুৎতের জোনাল অফিসের ডিজিএম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, রিডিং লেখতে ভুল হতেও পারে। এ রকম গ্রাহক যদি আসে কেউ তদন্ত করে আমরা সেটা ঠিক করে দিচ্ছি। গত ৯ দিনে ১২-১৪টির মতো ঠিক করেছি। আমার এখানে ৭৫ হাজার গ্রাহক, অথচ লোকবল সীমিত। কতজন গ্রাহকের এমন ভুল হয়েছে তার কোন তথ্য নেই। না দেখে রিডিং করার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা রিডিং দেখতে ফিল্ডে লোক পাঠাই।

চট্টগ্রামে অবতরণের পর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি, রানওয়ে বন্ধ ২ ঘণ্টা

বৈদেশিক মুদ্রা ডাকাতি: একজন কারাগারে, রিমান্ডে ৫

আশুরা উপলক্ষে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিহত দুই ভাই

ছবি

‘দুই কোটি টাকা চাঁদা না পেয়ে স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে’—পুলিশ কমিশনারকে নারীর চিঠি

বাংলাদেশ লোকগবেষণা পরিষদের আত্মপ্রকাশ

সোনাইমুড়ীকে পৃথক নির্বাচনী আসন করার দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন

কমলগঞ্জে রোজিনা হত্যা মামলার আসামি ময়মনসিংহে গ্রেপ্তার

মোহনগঞ্জ-ময়মনসিংহ লোকাল ট্রেন বন্ধ, বাড়ছে যাত্রী দুর্ভোগ

ছবি

পুর্ব-সুন্দরবনে বিষ দিয়ে ধরা মাছসহ নৌকা আটক

চাটখিল ও সোনাইমুড়ী থানার লুণ্ঠিত আগ্নেয়াস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি

ভোলায় নেত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন, বিএনপির নেতা বহিষ্কার

বাগেরহাটে পানিতে পড়ে দুই বছরের শিশুর মৃত্যু

ভূমি খাজনা আদায়ে জেলার মধ্যে শীর্ষে সুমানগঞ্জের ছাতক

ছবি

মুন্সীগঞ্জের কাটাখালি খাল সংস্কারে চলছে পরিচ্ছন্নতা অভিযান

কলমাকান্দায় অনলাইন তীর জুয়াড়িদের গ্রেপ্তার

ফরিদপুরে একে আজাদের বাড়িতে হামলার ঘটনায় থানায় এজাহার

ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গোষ্ঠীগত বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, বাজারে লুটপাট-ভাঙচুর

পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু

ছবি

নির্বিচারে গাছ কাটায় ভালুকায় হারিয়ে গেছে ৫০ প্রজাতির বৃক্ষলতা

ছবি

চিলমারীর তিস্তা পিসি গার্ডার সেতু চলতি মাসের শেষে খুলে দেয়া হবে

ছবি

সুন্দরবনে কমেছে চোরা শিকারি ও বিষ সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য

দৌলতপুরে অবৈধভাবে নদীর মাটি উত্তোলন করায় জরিমানা

ছবি

নদীতে ভেঙে যাওয়া চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পূর্বের গ্রামে প্রতিষ্ঠার দাবি

মীরসরাই প্রাথমিকে ১০৮ পদ শূন্য, পাঠদান ব্যাহত

ছবি

চকরিয়ায় অভয়ারণ্য বনের গাছ কেটে পাকা বাড়ি তৈরির হিড়িক!

ছবি

মাদারীপুরে পানি প্রবাহে খাল খনন শুরু

সিলেটে দুই বাসের সংঘর্ষ, নিহত ১

ফরিদপুরে বিএনপির সদস্য সচিবসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার

ছবি

২০০ বছরের সূর্যপুরী আমগাছ ডালে ডালে ঝুলছে আম

ইলেকট্রিশিয়ানকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

৯ দফা দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত

উল্টোরথের মাধ্যমে মোহনগঞ্জে শেষ হলো রথযাত্রা উৎসব

রাজশাহীতে হামলা ছিনতাই ও গুলির ঘটনায় আটক ৩

ছবি

শিবচরে আড়িয়ালখাঁ নদের ভাঙন হুমকিতে ৯৭ কোটি টাকার সেতু

পূর্বধলায় বিএনপির মতবিনিময় সভা

tab

সারাদেশ

ভুতুড়ে বিলের কবলে গোপালপুরে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকরা

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক, টাঙ্গাইল

শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫

ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ তুলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ময়মনসিংহ পিবিএস-১ এর টাঙ্গাইলের গোপালপুর জোনাল শাখার গ্রাহকরা। টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার পশ্চিমে যমুনা নদী তীরবর্তী গ্রাম সোনামুই ও পূর্ববর্তী মধুপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী নারায়ণপুর গ্রামের অন্তত ৪০এর অধিক গ্রাহকরা এমন অভিযোগ করেছেন। মিটারে ব্যবহৃত ইউনিটের চেয়ে ৫০ থেকে ২০০ ইউনিট বেশি বিল করা হচ্ছে। মিটার না দেখে অনুমান করেই বিল করা হচ্ছে বলে গ্রাহকের অভিযোগ। এ অবস্থায় তারা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। না দিলে জরিমানা ও মামলার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিদ্যুৎ অফিস ১ থেকে ৭৫ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে ভ্যাট ব্যতীত ৫.২৬ টাকা বিল। ৭৬ থেকে ২০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারে অতিরিক্ত ৭ টাকা ২০ পয়সা হারে বিদ্যুৎ বিল করা হয়। এতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল দিতেও বাধ্য হতে হয়।

গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা তাওফিক আহমেদ বলেন, মাসের ৮ তারিখে ৬৬৩০ ইউনিট রিডিং লেখা হয়েছে। অথচ ৩০ তারিখে মিটারে রিডিং আছে ৬৫৭৫ ইউনিট।

অতিরিক্ত ইউনিটের ব্যাপারে অফিসকে অবগত করলে তারা পরের মাসে সমন্বয় করবে বলে জানায়। কিন্তু পরের মাসে আর কোন সমন্বয় করে না। আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারে বেশি রিডিং লেখা হয়েছে। তারা মিটার না দেখেই এমন ভুতুড়ে বিল বানাচ্ছেন।

ঝাওয়াইল ইউনিয়নের সোনামুই গ্রামের বিধবা রহিমা বেগম বলেন, মাসের ৩০ তারিখ মিটারে আছে ১১০৫ ইউনিট। অথচ ৮ তারিখে রিডিং লেখা হয়েছে ১২৬৫ ইউনিট। এভাবে অতিরিক্ত বিল বাড়তি চাপিয়ে দিয়ে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। আমার স্বামী-সন্তান নাই, এতো বিল আমি কিভাবে পরিশোধ করবো। সময়মতো বিল পরিশোধ না করলে আবার জরিমানা দিতে হয়।

সোনামুই মধ্যপাড়া জামে মসজিদের সদস্য বিপ্লব খান বলেন, আমাদের গ্রামের অধিকাংশ মিটারেই অতিরিক্ত রিডিং লেখা হয়েছে। আমাদের মসজিদে মিটারে এ পর্যন্ত ১৬৮৬ ইউনিট বিদ্যুৎ খরচ করা হয়েছে। অথচ ২০ দিন আগে বিল করা হয়েছে ১৭২০ ইউনিট। এভাবে বাড়তি বিলের বোঝা চাপিয়ে দেয়া বন্ধ করা না হলে আমরা গ্রামবাসী ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিবাদ গড়ে তুলবো।

এ বিষয়ে গোপালপুর বিদ্যুৎতের জোনাল অফিসের ডিজিএম দেলোয়ার হোসাইন বলেন, রিডিং লেখতে ভুল হতেও পারে। এ রকম গ্রাহক যদি আসে কেউ তদন্ত করে আমরা সেটা ঠিক করে দিচ্ছি। গত ৯ দিনে ১২-১৪টির মতো ঠিক করেছি। আমার এখানে ৭৫ হাজার গ্রাহক, অথচ লোকবল সীমিত। কতজন গ্রাহকের এমন ভুল হয়েছে তার কোন তথ্য নেই। না দেখে রিডিং করার অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা রিডিং দেখতে ফিল্ডে লোক পাঠাই।

back to top