পঞ্চগড় সদর উপজেলার দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে পাঁচজন শিশু, পাঁচজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ রয়েছেন।
শনিবার ভোরে উপজেলার অমরখানা ও সিংরোড সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি তাদের আটক করে বলে জানান পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান।
আটকরা হলেন—খুলনার দেগলিয়া উপজেলার পথের বাজার মমিনপুর এলাকার প্রয়াত ধলা মিয়া শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (৬০), তার ছেলে রাজু ইব্রাহিম শেখ (২৭), একই উপজেলার তেরখাদা বারসাত এলাকার এনদাদুল হকের স্ত্রী আঁখি (৪০) ও তার নয় বছরের এক ছেলে।
এছাড়া নড়াইলের কালিয়া উপজেলার গাজির হাট বইখাতা এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার স্ত্রী রুনু শেখ (৬০), তার ছেলে ফিরোজ মোল্লা (৪০), ইয়াছিন মোল্লা (২০) ও ১১ বছর বয়সি এক শিশু, একই এলাকার এশানুর শেখের স্ত্রী আয়শা (১৮) এবং রফিকুল শেখের নয় বছরের এক মেয়ে।
অন্য আটকরা হলেন—যশোরের শার্শা উপজেলার বাসদেবপুর এলাকার প্রয়াত হারুন অর রশিদের ছেলে আসাদুজ্জামান (২৯), তার স্ত্রী কুলসুম (২৯), তাদের ১২ বছরের এক ছেলে ও ১০ বছরের এক মেয়ে এবং বাগেরহাটের সাইন্দা কাঠালতলা এলাকার ইব্রাহিম মণ্ডলের স্ত্রী নিপু আক্তার (৩০)।
বিজিবি জানায়, ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন চাকলাহাট ইউনিয়নের সিংরোড বিওপি সীমান্তের খুনিয়াপাড়ায় ১০ জনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। একই সময় অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা বিওপির সীমান্ত দিয়ে আরও পাঁচজনকে পুশ ইন করা হয়। সকালে বোর্ডবাজার ও খুনিয়াপাড়া থেকে তাদের আটক করে বিজিবির টহল দল।
অমরখানা বিওপির এলাকা দিয়ে ভারতের বালাচান ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেন। পরে বোর্ডবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন এবং শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন হওয়া ১৫ জনকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি কি-না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
পঞ্চগড় সদর উপজেলার দুটি সীমান্ত এলাকা দিয়ে আরও ১৫ জনকে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে পাঁচজন শিশু, পাঁচজন নারী ও পাঁচজন পুরুষ রয়েছেন।
শনিবার ভোরে উপজেলার অমরখানা ও সিংরোড সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে প্রবেশের সময় বিজিবি তাদের আটক করে বলে জানান পঞ্চগড় সদর থানার ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান।
আটকরা হলেন—খুলনার দেগলিয়া উপজেলার পথের বাজার মমিনপুর এলাকার প্রয়াত ধলা মিয়া শেখের ছেলে ইব্রাহিম শেখ (৬০), তার ছেলে রাজু ইব্রাহিম শেখ (২৭), একই উপজেলার তেরখাদা বারসাত এলাকার এনদাদুল হকের স্ত্রী আঁখি (৪০) ও তার নয় বছরের এক ছেলে।
এছাড়া নড়াইলের কালিয়া উপজেলার গাজির হাট বইখাতা এলাকার আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার স্ত্রী রুনু শেখ (৬০), তার ছেলে ফিরোজ মোল্লা (৪০), ইয়াছিন মোল্লা (২০) ও ১১ বছর বয়সি এক শিশু, একই এলাকার এশানুর শেখের স্ত্রী আয়শা (১৮) এবং রফিকুল শেখের নয় বছরের এক মেয়ে।
অন্য আটকরা হলেন—যশোরের শার্শা উপজেলার বাসদেবপুর এলাকার প্রয়াত হারুন অর রশিদের ছেলে আসাদুজ্জামান (২৯), তার স্ত্রী কুলসুম (২৯), তাদের ১২ বছরের এক ছেলে ও ১০ বছরের এক মেয়ে এবং বাগেরহাটের সাইন্দা কাঠালতলা এলাকার ইব্রাহিম মণ্ডলের স্ত্রী নিপু আক্তার (৩০)।
বিজিবি জানায়, ভোরে নীলফামারী ৫৬ বিজিবির আওতাধীন চাকলাহাট ইউনিয়নের সিংরোড বিওপি সীমান্তের খুনিয়াপাড়ায় ১০ জনকে ঠেলে দেয় বিএসএফ। একই সময় অমরখানা ইউনিয়নের অমরখানা বিওপির সীমান্ত দিয়ে আরও পাঁচজনকে পুশ ইন করা হয়। সকালে বোর্ডবাজার ও খুনিয়াপাড়া থেকে তাদের আটক করে বিজিবির টহল দল।
অমরখানা বিওপির এলাকা দিয়ে ভারতের বালাচান ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা পাঁচ বাংলাদেশিকে পুশ ইন করেন। পরে বোর্ডবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করে বিজিবি।
বিজিবি জানায়, আটকরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে অবৈধভাবে অবস্থান করছিলেন এবং শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওসি আব্দুল্লাহ হিল জামান বলেন, সীমান্ত দিয়ে পুশ ইন হওয়া ১৫ জনকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যগত বিষয়ে নজরদারি করা হচ্ছে। তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশি কি-না, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।