শিবচর (মাদারীপুর) : নদীর ভাঙনে হুমকিতে সেতু -সংবাদ
মাদারীপুরের শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদের উপর নির্মিত ‘লিটন চৌধুরী’ সেতুর নদী শাসন বাঁধ না থাকায় হুমকিতে রয়েছে সেতুটি। বর্ষার শুরুতেই সেতুর খুব কাছেই নদের পাড়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। উৎরাইল-শিবচর প্রধান সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত সেতুটির নয়াবাজার পাড়ের দক্ষিণপাশে নদের পাড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জায়গা ভেঙে নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। সেতুর একটি পিলার থেকে একশত ফুটেরও কম দূরুত্বে এই ভাঙন। চরম হুমকিতে রয়েছে ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি।
শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিয়ার সংখ্যা নয়টি। সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। সেতুটি নির্মানের ফলে শিবচর সদরের সাথে দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী ইউনিয়নের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়। সম্প্রতি আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। সেতুর কাছে নদের পাড় ঘেঁষে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিস্রোত। ফলে সেতুর কাছেই নদের পাড়ের বেশকিছু জায়গা ইতমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পাড় ভেঙে নদী কিছুটা ভেতরে ঢুকে গেছে। একটি গাছ রয়েছে নদের পাড়ে। যেকোন সময় গাছটিও নদের গর্ভে চলে যেতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর এই স্থানটিতে পানির চাপও অনেক। পাড় ঘেঁষে ঘূর্ণিস্রোত। একারনেই পাড় ভাঙছে। সেতুটির খুব কাছে এভাবে নদী ভাঙন আতংকের বিষয়। নদীতে পানি বাড়লে ভাঙন আরও বাড়তে পাড়ে। নদী শাসন বাঁধ না থাকায় সেতুটি হুমকির মুখে রয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন মীর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, সেতু চালু হয়েছে প্রায় দেড় বছর। অথচ এখনো নদী শাসন বাঁধ দেয়া হয় নি। এখন নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর কাছেই পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এটা উদ্বেগের। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভাঙন আরো বাড়তে পারে। যা সেতুর জন্য হুমকি স্বরূপ।
স্থানীয় সুমন বেপারী বলেন, এই সেতুটি আমাদের জন্য একটি আর্শিবাদ স্বরুপ। এক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা পাড়ে বসে থেকে ট্রলারে করে উপজেলা সদরে যেতে হতো। আর এখন অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা সকল স্থানে যেতে পারছি। এখন নদী ভাঙ্গন থেকে সেতুটি রক্ষা করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শিবচর (মাদারীপুর) : নদীর ভাঙনে হুমকিতে সেতু -সংবাদ
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
মাদারীপুরের শিবচরের আড়িয়াল খাঁ নদে ভয়াবহ ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। নদের উপর নির্মিত ‘লিটন চৌধুরী’ সেতুর নদী শাসন বাঁধ না থাকায় হুমকিতে রয়েছে সেতুটি। বর্ষার শুরুতেই সেতুর খুব কাছেই নদের পাড়ে ভাঙন শুরু হওয়ায় উদ্বিগ্ন স্থানীয়রা। উৎরাইল-শিবচর প্রধান সড়কের আড়িয়াল খাঁ নদের উপর নির্মিত সেতুটির নয়াবাজার পাড়ের দক্ষিণপাশে নদের পাড়ে এই ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু জায়গা ভেঙে নদী গর্ভে চলে গিয়েছে। সেতুর একটি পিলার থেকে একশত ফুটেরও কম দূরুত্বে এই ভাঙন। চরম হুমকিতে রয়েছে ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতুটি।
শিবচর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে আড়িয়াল খাঁ নদের উপর ৫৫০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৯.৮০ মিটার প্রস্থের সেতুটিতে স্প্যান সংখ্যা ১১টি এবং পিয়ার সংখ্যা নয়টি। সেতুটির পাইলের সংখ্যা ১২৩টি, পাইলের দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। সেতুর জন্য অ্যাপ্রোচ সড়কের (সংযোগ সড়ক) দৈর্ঘ্য ১.৫০ কিলোমিটার। ৯৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণ কাজ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মো. মইন উদ্দীন বাঁশি ও হা-মিম ইন্টারন্যাশনাল। ২০২৩ সালের ৪ নভেম্বর সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হয়। সেতুটি নির্মানের ফলে শিবচর সদরের সাথে দত্তপাড়া, শিরুয়াইল, নিলখী ইউনিয়নের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন হয়। এই অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি দূর হয়। সম্প্রতি আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির ফলে বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। সেতুর কাছে নদের পাড় ঘেঁষে সৃষ্টি হয়েছে ঘূর্ণিস্রোত। ফলে সেতুর কাছেই নদের পাড়ের বেশকিছু জায়গা ইতমধ্যেই নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। পাড় ভেঙে নদী কিছুটা ভেতরে ঢুকে গেছে। একটি গাছ রয়েছে নদের পাড়ে। যেকোন সময় গাছটিও নদের গর্ভে চলে যেতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে হঠাৎ ভাঙন দেখা দিয়েছে। নদীর এই স্থানটিতে পানির চাপও অনেক। পাড় ঘেঁষে ঘূর্ণিস্রোত। একারনেই পাড় ভাঙছে। সেতুটির খুব কাছে এভাবে নদী ভাঙন আতংকের বিষয়। নদীতে পানি বাড়লে ভাঙন আরও বাড়তে পাড়ে। নদী শাসন বাঁধ না থাকায় সেতুটি হুমকির মুখে রয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন মীর নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, সেতু চালু হয়েছে প্রায় দেড় বছর। অথচ এখনো নদী শাসন বাঁধ দেয়া হয় নি। এখন নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সেতুর কাছেই পাড়ে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। এটা উদ্বেগের। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভাঙন আরো বাড়তে পারে। যা সেতুর জন্য হুমকি স্বরূপ।
স্থানীয় সুমন বেপারী বলেন, এই সেতুটি আমাদের জন্য একটি আর্শিবাদ স্বরুপ। এক সময় ঘন্টার পর ঘন্টা পাড়ে বসে থেকে ট্রলারে করে উপজেলা সদরে যেতে হতো। আর এখন অল্প সময়ের মধ্যেই আমরা সকল স্থানে যেতে পারছি। এখন নদী ভাঙ্গন থেকে সেতুটি রক্ষা করতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পারভীন খানম বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।