অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর উত্তোলন বন্ধ
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথরখনিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা পারও চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালসহ ৯দফা দাবিতে চতুর্থদিনের মতো শনিবার,(০৫ জুলাই ২০২৫) শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে আন্দোলনকারি খনিশ্রমিকরা পাথরখনির সম্মুখ মহাসড়কের পার্শ্বে তাদের কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, প্রোডাকশন প্রফিট বোনাসসহ ৯ দফা দাবি নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।
শ্রমিকদের ৯দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ছাটাইকৃত ৪জন খনিশ্রমিককে কাজে যোগদান করানো, কারণে অকারণে শ্রমিক ছাটাই বন্ধ করা, বার্ষিক শতকরা ৫০ ভাগ হারে পদোন্নতি প্রদান করা, শ্রমিক নিয়োগের এক বছরের মধ্যে অপারেটর হিসেবে বেতন দেওয়া, আইনের কোন ধারা বা উপধারা অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতনভাতা দেওয়া হয় তা শ্রমিকদের জানানো, বেতনভাতা কর্তন বন্ধ করা, বয়সের ভারে কোনো শ্রমিককে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তাকে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে, এক লাখ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন পর বর্ধিত পাথরের জন্য প্রতি টনে ২০০ টাকা করে প্রোডাকশন বোনাস দেওয়া এবং প্রতিমাসে শ্রমিকদের পূর্ণ রেশন প্রদান করা। এদিকে শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে খনিতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং খনির মূল্যবান যন্ত্রপাতিসহ কর্মরত বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞদের নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য খনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামের (জিটিসি)। গত বুধবার রাত এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ কর্মকর্তা মেজর রুহুল আমিন (অবসর) স্বাক্ষরিত এক লিখিত নোটিশ জারি করা হয়েছে। ফলে খনির পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
খনিশ্রমিকদের আন্দোলনকারি কমিটি সমম্বয়ক সোলায়মান ইসলাম, মামুনুর রশীদ, সিরাজুল ইসলাম, নবিউল ইসলাম ও ফিরোজ রহমান বলেন, মাসে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি পাথর উত্তোলন করলে প্রতি এক মেট্রিক টন পাথরের জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে ১০০ টাকা করে বোনাস দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র। গত মে মাসে ১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হলেও অতিরিক্ত ৩৪ হাজার মেট্রিক টন পাথরের প্রোফিট বোনাস না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেছেন জিটিসি কর্তৃপক্ষ।
এসব নিয়ে কথা বলার জন্য শফিকুল ইসলাম, হাসান আলী, রফিকুল ইসলাম ও ওমর আলী নামের চার খনিশ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একারণে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল, প্রফিট বোনাসসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন খনিতে কর্মরত ৮২০ জনশ্রমিক। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে।
এ বিষয়ে জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তারা মোবাইল নম্বর না দেওয়ায় যোগাযোগ করা যায়নি।
মধ্যপাড়া পাথরখনির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ রফিজুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা পেট্রোবাংলার অধীনে নয়, তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র অধীনে কাজ করেন। খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান (জিটিসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করায় খনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও উপরিভাগে পাথর বিক্রিসহ অন্যন্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।
অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর উত্তোলন বন্ধ
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
দিনাজপুরের মধ্যপাড়া পাথরখনিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা পারও চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের পুনর্বহালসহ ৯দফা দাবিতে চতুর্থদিনের মতো শনিবার,(০৫ জুলাই ২০২৫) শ্রমিকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল থেকে আন্দোলনকারি খনিশ্রমিকরা পাথরখনির সম্মুখ মহাসড়কের পার্শ্বে তাদের কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নিয়ে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহাল, প্রোডাকশন প্রফিট বোনাসসহ ৯ দফা দাবি নিয়ে কর্মসূচি পালন করছেন।
শ্রমিকদের ৯দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, ছাটাইকৃত ৪জন খনিশ্রমিককে কাজে যোগদান করানো, কারণে অকারণে শ্রমিক ছাটাই বন্ধ করা, বার্ষিক শতকরা ৫০ ভাগ হারে পদোন্নতি প্রদান করা, শ্রমিক নিয়োগের এক বছরের মধ্যে অপারেটর হিসেবে বেতন দেওয়া, আইনের কোন ধারা বা উপধারা অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতনভাতা দেওয়া হয় তা শ্রমিকদের জানানো, বেতনভাতা কর্তন বন্ধ করা, বয়সের ভারে কোনো শ্রমিককে কাজ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলে তাকে ৬ লাখ টাকা দিতে হবে, এক লাখ মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন পর বর্ধিত পাথরের জন্য প্রতি টনে ২০০ টাকা করে প্রোডাকশন বোনাস দেওয়া এবং প্রতিমাসে শ্রমিকদের পূর্ণ রেশন প্রদান করা। এদিকে শ্রমিকদের আন্দোলনের কারণে খনিতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে এবং খনির মূল্যবান যন্ত্রপাতিসহ কর্মরত বিদেশি খনি বিশেষজ্ঞদের নিরাপত্তার স্বার্থে অনির্দিষ্টকালের জন্য খনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দিয়েছে খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়ামের (জিটিসি)। গত বুধবার রাত এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নিরাপত্তা ও শ্রমিক কল্যাণ কর্মকর্তা মেজর রুহুল আমিন (অবসর) স্বাক্ষরিত এক লিখিত নোটিশ জারি করা হয়েছে। ফলে খনির পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
খনিশ্রমিকদের আন্দোলনকারি কমিটি সমম্বয়ক সোলায়মান ইসলাম, মামুনুর রশীদ, সিরাজুল ইসলাম, নবিউল ইসলাম ও ফিরোজ রহমান বলেন, মাসে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ মেট্রিক টনের বেশি পাথর উত্তোলন করলে প্রতি এক মেট্রিক টন পাথরের জন্য প্রত্যেক শ্রমিককে ১০০ টাকা করে বোনাস দেওয়ার ঘোষণা রয়েছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র। গত মে মাসে ১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন পাথর উত্তোলন করা হলেও অতিরিক্ত ৩৪ হাজার মেট্রিক টন পাথরের প্রোফিট বোনাস না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেছেন জিটিসি কর্তৃপক্ষ।
এসব নিয়ে কথা বলার জন্য শফিকুল ইসলাম, হাসান আলী, রফিকুল ইসলাম ও ওমর আলী নামের চার খনিশ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একারণে চাকরিচ্যুত শ্রমিকদের চাকরিতে পুনর্বহাল, প্রফিট বোনাসসহ ৯ দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন খনিতে কর্মরত ৮২০ জনশ্রমিক। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যাহত রাখা হবে।
এ বিষয়ে জার্মানিয়া ট্রেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়নি। তারা মোবাইল নম্বর না দেওয়ায় যোগাযোগ করা যায়নি।
মধ্যপাড়া পাথরখনির উপ-মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ রফিজুল ইসলাম জানান, শ্রমিকরা পেট্রোবাংলার অধীনে নয়, তারা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসি’র অধীনে কাজ করেন। খনির ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান (জিটিসি) অনির্দিষ্টকালের জন্য পাথর উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করায় খনির ভূগর্ভ থেকে পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকলেও উপরিভাগে পাথর বিক্রিসহ অন্যন্য কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে।