মাদারীপুর : দীর্ঘদিন ধরে খালটির অবৈধ দখল কাজ শেষে খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর ও জেলা প্রশাসন -সংবাদ
মাদারীপুর পৌরসভার উদ্যোগে শহরের উপর দিয়ে বরিশালের দিকে প্রবাহিত ‘বরিশাল খাল’। দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসন এই খালটির অবৈধ দখল উদ্ধার কার্যক্রম করেন। উদ্ধার কাজ শেষে খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর ও জেলা প্রশাসন।
গতকাল শুক্রবার সকালে শহরের ইটেরপুল এলাকার থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ খালটি খনন করার কার্যক্রম শুরু করে।
পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন থেকে জানা যায়, মাদারীপুর শহরের ইটেরপুল থেকে পাথুরিয়ারপাড় পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ‘বরিশাল খাল’।
দখল আর দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায়, দখল আর দূষণে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ময়লা-আবর্জানায় খালটি প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। ফলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। একই সঙ্গে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা। এরপর থেকেই খালটি উদ্ধারে নেওয়া হয় উদ্যোগ। এরই অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকালে ইটেরপুল এলাকার নিম্ন কুমার নদের পাড় হতে শুরু হয় খনন কার্যক্রম।
মাদারীপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু খাল অবৈধ দখলের কারণে ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছিলো। তাই শহরের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পৌরসভার প্রশাসক ও উপ-সচিব মো. হাবিবুল আলম বলেন, শহরের ঐতিহ্যবাহী খালগুলো দীর্ঘদিন ধরে বেদখল হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে করে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছিলো।
আমরা খালগুলো উদ্ধার করে পুনরায় খনন করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও জানান, পর্যায়ক্রমে শহরের সবকটি খাল উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মাদারীপুর পৌর সভার সচিব খন্দকার ফিরোজ আহমেদ ইলিয়াস জানান, খালগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে এবং জনগণকে খাল ও জলাশয় রক্ষায় সচেতন করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এ্যাড. মাসুদ পারভেজ বলেন, খালটি খননের দাবী আমাদের দীর্ঘদিনের ছিল। প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ খালটি এখন উদ্ধার করে খনন করায় এই খালটিকে ঘিরে শত শত বিঘা জমির ফসল উৎপাদনে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে এই কার্যক্রম। যা আমাদের কৃষি খাতের অর্থনীতি সচল করবে।
মাদারীপুর : দীর্ঘদিন ধরে খালটির অবৈধ দখল কাজ শেষে খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর ও জেলা প্রশাসন -সংবাদ
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
মাদারীপুর পৌরসভার উদ্যোগে শহরের উপর দিয়ে বরিশালের দিকে প্রবাহিত ‘বরিশাল খাল’। দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসন এই খালটির অবৈধ দখল উদ্ধার কার্যক্রম করেন। উদ্ধার কাজ শেষে খনন করার উদ্যোগ নিয়েছে পৌর ও জেলা প্রশাসন।
গতকাল শুক্রবার সকালে শহরের ইটেরপুল এলাকার থেকে পৌর কর্তৃপক্ষ খালটি খনন করার কার্যক্রম শুরু করে।
পৌর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন থেকে জানা যায়, মাদারীপুর শহরের ইটেরপুল থেকে পাথুরিয়ারপাড় পর্যন্ত ৮ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত ‘বরিশাল খাল’।
দখল আর দূষণে খালটি অস্তিত্ব সংকটে পড়েছিল। দীর্ঘদিনেও সংস্কার না হওয়ায়, দখল আর দূষণে খালের পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। ময়লা-আবর্জানায় খালটি প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পড়েছে। ফলে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। বেড়েছে মশা-মাছির উপদ্রব। একই সঙ্গে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে স্থানীয়রা। এরপর থেকেই খালটি উদ্ধারে নেওয়া হয় উদ্যোগ। এরই অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকালে ইটেরপুল এলাকার নিম্ন কুমার নদের পাড় হতে শুরু হয় খনন কার্যক্রম।
মাদারীপুর পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু খাল অবৈধ দখলের কারণে ভরাট হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছিলো। তাই শহরের মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
পৌরসভার প্রশাসক ও উপ-সচিব মো. হাবিবুল আলম বলেন, শহরের ঐতিহ্যবাহী খালগুলো দীর্ঘদিন ধরে বেদখল হয়ে যাওয়ায় পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এতে করে সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছিলো।
আমরা খালগুলো উদ্ধার করে পুনরায় খনন করে পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।
তিনি আরও জানান, পর্যায়ক্রমে শহরের সবকটি খাল উদ্ধারের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হবে।
মাদারীপুর পৌর সভার সচিব খন্দকার ফিরোজ আহমেদ ইলিয়াস জানান, খালগুলো থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হচ্ছে এবং জনগণকে খাল ও জলাশয় রক্ষায় সচেতন করা হচ্ছে।
এই বিষয়ে মাদারীপুর উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি এ্যাড. মাসুদ পারভেজ বলেন, খালটি খননের দাবী আমাদের দীর্ঘদিনের ছিল। প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষ খালটি এখন উদ্ধার করে খনন করায় এই খালটিকে ঘিরে শত শত বিঘা জমির ফসল উৎপাদনে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে এই কার্যক্রম। যা আমাদের কৃষি খাতের অর্থনীতি সচল করবে।