দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) : যমুনা নদী ভাঙতে ভাঙতে চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্পর্শ করে। সে সময় ভেঙে ফেলা বিদ্যালয়টির পতিত জমির দৃশ্য -সংবাদ
দেওয়ানগঞ্জের চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে নদীতে যায় যায় অবস্থায় ওই মাসেই বিদ্যালয়টিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস নিলামে বিক্রি করে দেয়। এখন বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন পার্শ্ববর্তী ফারাজিপাড়ারা গ্রামের একটি খাসজমি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বিদ্যালয়টি চর ডাকাতিয়া পাড়াতেই ফের প্রতিষ্ঠা করা হোক।
১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারিকরণ হয় ২০১৩ সালে।টিনশেড ঘর থেকে যাত্রা শুর করা বিদ্যালয়টি দালানে রূপ নেয়। ২৯ বছর পর বিদ্যালয়টি যমুনা নদীতে যায় যায় অবস্থার ফলে দুই লাখ ছয় হাজার ২৫০ টাকা মূল্যে নিলামে বিক্রি করা হয়। ওই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পুনঃপ্রতিষ্ঠায় উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণ হয়েছে চর ডাকাতিয়াপাড়া গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রাম ফারাজিপাড়ার একটি খাস জমি। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে জমিদান ও আর্থিক সহায়তা করে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃতি পান মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রাহমান। মৃত মতিউর রহমানের স্ত্রী হাসনা হেনাসহ ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের দাবি বিদ্যালয়টি চর ডাকাতিয়া পাড়াতেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হোক।
চর ডাকাতিয়াপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন, সালমান শাহ, তারা মিয়া, ইউসুফ আলী, আরব আলী, শেফালি বেগম, রেহানা, আছিরনসহ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারবর্গের ভাষ্য, স্কুলটি অন্য এলাকায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হলে এই এলাকার (চরডাকাতিয়াপাড়া) শিক্ষার্থীরা যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে পিছিয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে এলাকার জনগণ নির্বাচনী ভোটকেন্দ্র হারাবে। তাই বিদ্যালয়টি চর ডাকাতিয়াপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা দরকার।
প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী হাসনা হেনা আরও বলেন, চর ডাকাতিয়া পাড়াতেই স্কুলটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে নতুন করে জমিদানসহ যত সহযোগিতা লাগবে করবেন। এ লক্ষ্যে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদনও করেছেন।
স্কুলটি পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুলটি পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন জায়গা নির্ধারণে স্থানীয়দের মতামত ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ভৌগোলিক অবস্থার দিক থেকে চর ডাকাতিয়া পাড়া পুরো গ্রামটিই যমুনা নদীর হুমকিতে। বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বর্তমানে নির্ধারিত জায়গাটিই উপযুক্ত এবং জায়গাটি নির্ধারণের বিষয়ে অভিভাবক সমাবেশ করে মতামত নেয়া হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠাতা পরিবারগণ বা ওই এলাকার (চর ডাকাতিয়াপাড়া) লোকজন যদি উপযুক্ত জায়গা দেন তাহলে সেখানেই বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।
দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) : যমুনা নদী ভাঙতে ভাঙতে চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে স্পর্শ করে। সে সময় ভেঙে ফেলা বিদ্যালয়টির পতিত জমির দৃশ্য -সংবাদ
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
দেওয়ানগঞ্জের চর ডাকাতিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে নদীতে যায় যায় অবস্থায় ওই মাসেই বিদ্যালয়টিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস নিলামে বিক্রি করে দেয়। এখন বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন পার্শ্ববর্তী ফারাজিপাড়ারা গ্রামের একটি খাসজমি নির্ধারণ করেছে। কিন্তু বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা পরিবার ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বিদ্যালয়টি চর ডাকাতিয়া পাড়াতেই ফের প্রতিষ্ঠা করা হোক।
১৯৯৬ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সরকারিকরণ হয় ২০১৩ সালে।টিনশেড ঘর থেকে যাত্রা শুর করা বিদ্যালয়টি দালানে রূপ নেয়। ২৯ বছর পর বিদ্যালয়টি যমুনা নদীতে যায় যায় অবস্থার ফলে দুই লাখ ছয় হাজার ২৫০ টাকা মূল্যে নিলামে বিক্রি করা হয়। ওই অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে দ্রুত বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পুনঃপ্রতিষ্ঠায় উপযুক্ত জায়গা নির্ধারণ হয়েছে চর ডাকাতিয়াপাড়া গ্রামের পাশ্ববর্তী গ্রাম ফারাজিপাড়ার একটি খাস জমি। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে জমিদান ও আর্থিক সহায়তা করে প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে স্বীকৃতি পান মুক্তিযোদ্ধা মতিউর রাহমান। মৃত মতিউর রহমানের স্ত্রী হাসনা হেনাসহ ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের দাবি বিদ্যালয়টি চর ডাকাতিয়া পাড়াতেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হোক।
চর ডাকাতিয়াপাড়া গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা জসিম উদ্দিন, সালমান শাহ, তারা মিয়া, ইউসুফ আলী, আরব আলী, শেফালি বেগম, রেহানা, আছিরনসহ প্রতিষ্ঠাতা পরিবারবর্গের ভাষ্য, স্কুলটি অন্য এলাকায় পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হলে এই এলাকার (চরডাকাতিয়াপাড়া) শিক্ষার্থীরা যাতায়াত ব্যবস্থার কারণে পিছিয়ে পড়বে। সেই সঙ্গে এলাকার জনগণ নির্বাচনী ভোটকেন্দ্র হারাবে। তাই বিদ্যালয়টি চর ডাকাতিয়াপাড়া ৪ নং ওয়ার্ডেই পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা দরকার।
প্রতিষ্ঠাতার স্ত্রী হাসনা হেনা আরও বলেন, চর ডাকাতিয়া পাড়াতেই স্কুলটি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে নতুন করে জমিদানসহ যত সহযোগিতা লাগবে করবেন। এ লক্ষ্যে গ্রামবাসী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত আবেদনও করেছেন।
স্কুলটি পুনঃপ্রতিষ্ঠার বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা সুলতানা বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করে দ্রুত সময়ের মধ্যে স্কুলটি পুনঃপ্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নতুন জায়গা নির্ধারণে স্থানীয়দের মতামত ছিল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আতাউর রহমান বলেন, ভৌগোলিক অবস্থার দিক থেকে চর ডাকাতিয়া পাড়া পুরো গ্রামটিই যমুনা নদীর হুমকিতে। বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় বর্তমানে নির্ধারিত জায়গাটিই উপযুক্ত এবং জায়গাটি নির্ধারণের বিষয়ে অভিভাবক সমাবেশ করে মতামত নেয়া হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠাতা পরিবারগণ বা ওই এলাকার (চর ডাকাতিয়াপাড়া) লোকজন যদি উপযুক্ত জায়গা দেন তাহলে সেখানেই বিদ্যালয়টি পুনঃপ্রতিষ্ঠা হবে।