ভালুকা (ময়মনসিংহ) : রামপর গ্রামে কালের সাক্ষী গাব গাছ -সংবাদ
ভালুকায় নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া প্রায় ৫০ প্রজাতির বৃক্ষলতা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম হতে বিলুপ্ত হওয়ার পথে। গ্রামের আনাচে-কানাচে সর্বত্র যে সব গাছপালা তরুলতা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হতো সেগুলো পর্যায়ক্রমে অপরিকল্পিত ভাবে কেটে ও সমুলে উঠিয়ে ফেলায় এখন আর চোখে পরেনা। এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে এসব গাছপালা রূপকথার গল্পের মতো। প্রাকৃতিকভাবে এখানে সেখানে জন্ম নেয়া হারিয়ে যাওয়া এসব গাছের মধ্যে বাজনা গাছ, তেঁতুল, ডেওয়া, কদবেল, কামরাঙ্গা, চালতা, গাব, আমড়া, বেল, হিজল, তমাল, অর্জুন, হরিতকি, আমলকি, গুইন্নারি, শেওড়া, পিতরাজ, কদম, দেশি কড়ই, দেশি নিম, গুডি কালোজাম, শ্রীফল, গিলা গাছ, খারাজরা ইত্যাদি। এ ছাড়া ঝাড়-জঙ্গলে পথের ধারে দেখা মিলতো দমকলস, ধুতরা, নিহুন্দা, দাতই, মটকিলা, ডেহুর, আহুন (আকন্দ), বাহস, বাইটগাছ, স্বর্ণলতা, এরাজ আরও নাম না জানা অনেক ছোট বড় বৃক্ষলতা হারিয়ে গেছে ভালুকার বিভিন্ন গ্রামের টেকটিলার ঝাড়-জঙ্গলা থেকে। হলুদ বাটো, গিলা বাটো, বর কনের গোসল করাতে আবহমান কাল হলে চলে আসছে গিলার ব্যবহার। এক সময় ভালুকার প্রত্যেক গ্রামে গিলা গাছ বাড়ির পাশে জঙ্গলে পাওয়া যেত। সবার ঘরে গিলার মাচা সংরক্ষিত থাকতো। বর্তমানে দশ গ্রাম ঘুরে একটি গিলা গাছ খোঁজে পাওয়া যায় না। এখন হতে অনুমান ৪০ বছর পূর্বেও গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়ির চারপাশে দুই-চারটি বাজনা গাছে থোকায় থোকায় বাজনা গুটা ঝুলে থাকতো। শ্রাবন ভাদ্র মাসে বাজনা গুটা পাকা শুরু করলে গাছ থেকে কেটে এনে রান্না ঘরের উনুনের উপরিভাগে সেগুলো সারি সারি গুজে রাখা হতো। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সেগুলি শুকিয়ে আবরণ ফেটে কালো দানাগুলো বের করে দাদি-নানিদের দক্ষ হাতে ঢেকিতে কুটে তৈরি করতেন সুস্বাদু ঘন তৈল। গরম ভাতের সঙ্গে বাজনা তেল মিশিয়ে খাবার স্বাদ তুলনাহীন। বাজনা কাঠের আসবাবপত্র ওটিনের চালের খাপ কুরো খুবই মজবুত ছিল। অথচ প্রায় বিশ বছর হয়ে গেছে বাজনা গাছ ভালুকার গ্রাম অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে গেছে। ঘন পাতায় আচ্ছাদিত গাব গাছের ছায়াতলে বসে পায়ে চলা পথিক দুপুর রোদে ক্লান্তি দূর করতেন। গাব গুটার কস (আঠা) জ্বাল করে মাছ ধরার জাল জালি ও কাঠের নৌকার তলায় লাগিয়ে শক্ত ও মজবুত করতেন। তেতুল নামটি শুনলেই যে কারো জিভে পানি চলে আসে। চিরল চিরল পাতার এ গাছটি সাধারণত বাড়ির আশপাশ থেকে একটু থাকতো। পাকা তেঁতুলে বাতাস লাগলে খোসায় খোসায় ঘর্ষণ লেগে ছর ছর শব্দ শোনা যেত। নারী শিশু যুবক-যুবতি সবার প্রিয় তেঁতুল ও তেঁতুলে আচার। তরকারি ও ডাল রাধলে চালতার ব্যবহারে স্বাদ বৃদ্ধি পায়। চালতার আচার খুবই সুস্বাদু। কদবেল সামান্য চুটকি হলেও এর চাহিদা ছির অনেক। কামরাঙ্গা ফল যা প্রায় বাড়িতেই ছিল যা এখন সারা গ্রাম খুঁজলে এক বাড়িতেও পাওয়া যায়না। দেশি আমড়া কাচায় টক পাকালে মিষ্টি সব বাড়ির আশপাশেই ছিল বর্তমানে নেই। এক সময় দেশি বেলের গাছ দুয়েকটা সব বাড়িতে দেখা গেলেও বর্তমানে চোখে পরেনা। গুডি কালোজাম খাওয়ার প্রতিযোগিতা চলতো ছেলে মেয়েদের মধ্যে। এই গাছটিও বিলুপ্ত হয়েছে। শ্রীফল দেখতে অনেকটা কদবেলের মত বিকেল আকৃতির গাছ। হারিয়ে গেছে পথের ধারে বিলের পাড়ে জন্মানো অনেক ঔষধি গাছ যা ছোট খাটো রোগ সারাতে গ্রামের মানুষ ব্যবহার করতেন। যেমন পায়ে কাঁটা বিধলে বা হাত পা কেটে গেলে বাহস গাছের কচি পাতা কচলিয়ে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে কাপড় দিয়ে দিলে রক্ত বন্ধ হয়ে যেতো। বাহশ গাছ কেটে এনে শুকিয়ে গৃহস্তরা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করতেন। এক ডালা বড় পাতার আহুন (আকন্দ) গাছ রাস্তার কিনারঘেঁষে বিলের ধারে প্রচুর জন্মাতো। সর্দি কাশিতে বুক ফুলে শ্বাস কষ্ট হলে এ গাছের পাতায় সরিষার তেল মেখে আগুনে সামান্য তাপ দিয়ে বুকে সেক দিলে সাময়িক আরাম পেতেন। দম কলস বাড়ির চারপাশে খালি জমিতে প্রচুর জন্মাতো। দমকলস গাছে সাদা ফুলে মৌমাছিরা উড়ে উড়ে মধু সংগ্রহ করে। দমকলস পাতার রস খেলে সর্দি কাশি উপশম হয়। খারাজরা গাছের পাতা কচলিয়ে পিচ্ছিল রস বের করে খাওয়ালে পেটের পীড়ার উপসম হতো। হৃদ রোগের আরোগ্য পেতে অর্জুন গাছ হতে ছাল তুলতে তুলতে কাঠ বের করে ফেলতেন এলাকার মানুষজন। এ ছাড়া নিমগাছ, মটকিলা, দাতই, নিহুন্দা, ডেহুর প্রভৃতি গাছের ফল বিভিন্ন কাজে লাগতো। খালবিলের পানিতে শাপলা শালুক বেটফুল শোভা বর্ধনসহ গ্রামের মানুষ পানিফল শালুক, মানহা, তিনকাটার সিংড়া ইত্যাদি সৌখিনতার সঙ্গে খেতে ভালো বাসতেন। ছোট ছেলে মেয়েরা সাদা শাপলা ফুলের মালা বানিয়ে গলায় ঝুলিয়ে অনাবির আনন্দে মেতে উঠতেন। এসবই বিলুপ্ত হওয়ার কারণে এই প্রজন্মের কাছে রূপকথার কল্প কাহিনীতে পরিণত হয়ে গেছে। বিভিন্ন বয়সের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় চল্লিশোর্ধ্ব নারী পুরুষরাই উপরোল্লিখিত বৃক্ষলতার সঙ্গে পরিচিত। প্রবীণদের মতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যৌথ পরিবার ভেঙে বহু পরিবারের সৃষ্টি হওয়ায় বাড়ি ঘর বেড়ে গেছে। মানুষ নির্বিচারে গাছপালা কেটে জঙ্গল সাফ করে নতুন নতুন বাড়ি করার কারণে ছোট বড় অনেক প্রজাতির গাছ প্রকৃতি হতে চিরতরে হারিয়ে গেছে। এ ছাড়া গত কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলায় একটি ফ্যাক্টরিতে ভালুকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গাছ কেটে ট্রাক ভরে কাঠ নিয়ে যাওয়ায় এ এলাকা দিন দিন বৃক্ষশূন্য হয়ে যাচ্ছে। মানুষের প্রয়োজনে আল্লাহর সৃষ্টি বৃক্ষলতা মানুষই সমুলে নষ্ট করেছে। অভিজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিভাগ উদ্যোগ নিলে এসব হারিয়ে যাওয়া বৃক্ষ পুনরায় গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) : রামপর গ্রামে কালের সাক্ষী গাব গাছ -সংবাদ
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
ভালুকায় নির্বিচারে বৃক্ষ নিধনের ফলে প্রাকৃতিকভাবে জন্ম নেয়া প্রায় ৫০ প্রজাতির বৃক্ষলতা উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম হতে বিলুপ্ত হওয়ার পথে। গ্রামের আনাচে-কানাচে সর্বত্র যে সব গাছপালা তরুলতা মানুষের বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহৃত হতো সেগুলো পর্যায়ক্রমে অপরিকল্পিত ভাবে কেটে ও সমুলে উঠিয়ে ফেলায় এখন আর চোখে পরেনা। এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে এসব গাছপালা রূপকথার গল্পের মতো। প্রাকৃতিকভাবে এখানে সেখানে জন্ম নেয়া হারিয়ে যাওয়া এসব গাছের মধ্যে বাজনা গাছ, তেঁতুল, ডেওয়া, কদবেল, কামরাঙ্গা, চালতা, গাব, আমড়া, বেল, হিজল, তমাল, অর্জুন, হরিতকি, আমলকি, গুইন্নারি, শেওড়া, পিতরাজ, কদম, দেশি কড়ই, দেশি নিম, গুডি কালোজাম, শ্রীফল, গিলা গাছ, খারাজরা ইত্যাদি। এ ছাড়া ঝাড়-জঙ্গলে পথের ধারে দেখা মিলতো দমকলস, ধুতরা, নিহুন্দা, দাতই, মটকিলা, ডেহুর, আহুন (আকন্দ), বাহস, বাইটগাছ, স্বর্ণলতা, এরাজ আরও নাম না জানা অনেক ছোট বড় বৃক্ষলতা হারিয়ে গেছে ভালুকার বিভিন্ন গ্রামের টেকটিলার ঝাড়-জঙ্গলা থেকে। হলুদ বাটো, গিলা বাটো, বর কনের গোসল করাতে আবহমান কাল হলে চলে আসছে গিলার ব্যবহার। এক সময় ভালুকার প্রত্যেক গ্রামে গিলা গাছ বাড়ির পাশে জঙ্গলে পাওয়া যেত। সবার ঘরে গিলার মাচা সংরক্ষিত থাকতো। বর্তমানে দশ গ্রাম ঘুরে একটি গিলা গাছ খোঁজে পাওয়া যায় না। এখন হতে অনুমান ৪০ বছর পূর্বেও গ্রামের প্রায় প্রত্যেক বাড়ির চারপাশে দুই-চারটি বাজনা গাছে থোকায় থোকায় বাজনা গুটা ঝুলে থাকতো। শ্রাবন ভাদ্র মাসে বাজনা গুটা পাকা শুরু করলে গাছ থেকে কেটে এনে রান্না ঘরের উনুনের উপরিভাগে সেগুলো সারি সারি গুজে রাখা হতো। তিন থেকে চার দিনের মধ্যে সেগুলি শুকিয়ে আবরণ ফেটে কালো দানাগুলো বের করে দাদি-নানিদের দক্ষ হাতে ঢেকিতে কুটে তৈরি করতেন সুস্বাদু ঘন তৈল। গরম ভাতের সঙ্গে বাজনা তেল মিশিয়ে খাবার স্বাদ তুলনাহীন। বাজনা কাঠের আসবাবপত্র ওটিনের চালের খাপ কুরো খুবই মজবুত ছিল। অথচ প্রায় বিশ বছর হয়ে গেছে বাজনা গাছ ভালুকার গ্রাম অঞ্চল থেকে সম্পূর্ণ বিলিন হয়ে গেছে। ঘন পাতায় আচ্ছাদিত গাব গাছের ছায়াতলে বসে পায়ে চলা পথিক দুপুর রোদে ক্লান্তি দূর করতেন। গাব গুটার কস (আঠা) জ্বাল করে মাছ ধরার জাল জালি ও কাঠের নৌকার তলায় লাগিয়ে শক্ত ও মজবুত করতেন। তেতুল নামটি শুনলেই যে কারো জিভে পানি চলে আসে। চিরল চিরল পাতার এ গাছটি সাধারণত বাড়ির আশপাশ থেকে একটু থাকতো। পাকা তেঁতুলে বাতাস লাগলে খোসায় খোসায় ঘর্ষণ লেগে ছর ছর শব্দ শোনা যেত। নারী শিশু যুবক-যুবতি সবার প্রিয় তেঁতুল ও তেঁতুলে আচার। তরকারি ও ডাল রাধলে চালতার ব্যবহারে স্বাদ বৃদ্ধি পায়। চালতার আচার খুবই সুস্বাদু। কদবেল সামান্য চুটকি হলেও এর চাহিদা ছির অনেক। কামরাঙ্গা ফল যা প্রায় বাড়িতেই ছিল যা এখন সারা গ্রাম খুঁজলে এক বাড়িতেও পাওয়া যায়না। দেশি আমড়া কাচায় টক পাকালে মিষ্টি সব বাড়ির আশপাশেই ছিল বর্তমানে নেই। এক সময় দেশি বেলের গাছ দুয়েকটা সব বাড়িতে দেখা গেলেও বর্তমানে চোখে পরেনা। গুডি কালোজাম খাওয়ার প্রতিযোগিতা চলতো ছেলে মেয়েদের মধ্যে। এই গাছটিও বিলুপ্ত হয়েছে। শ্রীফল দেখতে অনেকটা কদবেলের মত বিকেল আকৃতির গাছ। হারিয়ে গেছে পথের ধারে বিলের পাড়ে জন্মানো অনেক ঔষধি গাছ যা ছোট খাটো রোগ সারাতে গ্রামের মানুষ ব্যবহার করতেন। যেমন পায়ে কাঁটা বিধলে বা হাত পা কেটে গেলে বাহস গাছের কচি পাতা কচলিয়ে ক্ষত স্থানে লাগিয়ে কাপড় দিয়ে দিলে রক্ত বন্ধ হয়ে যেতো। বাহশ গাছ কেটে এনে শুকিয়ে গৃহস্তরা জ্বালানি হিসাবে ব্যবহার করতেন। এক ডালা বড় পাতার আহুন (আকন্দ) গাছ রাস্তার কিনারঘেঁষে বিলের ধারে প্রচুর জন্মাতো। সর্দি কাশিতে বুক ফুলে শ্বাস কষ্ট হলে এ গাছের পাতায় সরিষার তেল মেখে আগুনে সামান্য তাপ দিয়ে বুকে সেক দিলে সাময়িক আরাম পেতেন। দম কলস বাড়ির চারপাশে খালি জমিতে প্রচুর জন্মাতো। দমকলস গাছে সাদা ফুলে মৌমাছিরা উড়ে উড়ে মধু সংগ্রহ করে। দমকলস পাতার রস খেলে সর্দি কাশি উপশম হয়। খারাজরা গাছের পাতা কচলিয়ে পিচ্ছিল রস বের করে খাওয়ালে পেটের পীড়ার উপসম হতো। হৃদ রোগের আরোগ্য পেতে অর্জুন গাছ হতে ছাল তুলতে তুলতে কাঠ বের করে ফেলতেন এলাকার মানুষজন। এ ছাড়া নিমগাছ, মটকিলা, দাতই, নিহুন্দা, ডেহুর প্রভৃতি গাছের ফল বিভিন্ন কাজে লাগতো। খালবিলের পানিতে শাপলা শালুক বেটফুল শোভা বর্ধনসহ গ্রামের মানুষ পানিফল শালুক, মানহা, তিনকাটার সিংড়া ইত্যাদি সৌখিনতার সঙ্গে খেতে ভালো বাসতেন। ছোট ছেলে মেয়েরা সাদা শাপলা ফুলের মালা বানিয়ে গলায় ঝুলিয়ে অনাবির আনন্দে মেতে উঠতেন। এসবই বিলুপ্ত হওয়ার কারণে এই প্রজন্মের কাছে রূপকথার কল্প কাহিনীতে পরিণত হয়ে গেছে। বিভিন্ন বয়সের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানাযায় চল্লিশোর্ধ্ব নারী পুরুষরাই উপরোল্লিখিত বৃক্ষলতার সঙ্গে পরিচিত। প্রবীণদের মতে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে যৌথ পরিবার ভেঙে বহু পরিবারের সৃষ্টি হওয়ায় বাড়ি ঘর বেড়ে গেছে। মানুষ নির্বিচারে গাছপালা কেটে জঙ্গল সাফ করে নতুন নতুন বাড়ি করার কারণে ছোট বড় অনেক প্রজাতির গাছ প্রকৃতি হতে চিরতরে হারিয়ে গেছে। এ ছাড়া গত কয়েক বছর ধরে পার্শ্ববর্তী ত্রিশাল উপজেলায় একটি ফ্যাক্টরিতে ভালুকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে গাছ কেটে ট্রাক ভরে কাঠ নিয়ে যাওয়ায় এ এলাকা দিন দিন বৃক্ষশূন্য হয়ে যাচ্ছে। মানুষের প্রয়োজনে আল্লাহর সৃষ্টি বৃক্ষলতা মানুষই সমুলে নষ্ট করেছে। অভিজ্ঞরা মনে করেন, সরকারের উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিভাগ উদ্যোগ নিলে এসব হারিয়ে যাওয়া বৃক্ষ পুনরায় গ্রামে-গঞ্জে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব।