ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
শনিবার দুপুরে চাতলপাড় বাজারে ‘উল্টা গোষ্ঠী’ ও ‘মোল্লা গোষ্ঠী’র সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম।
নিহত সোহরাব মিয়া (২৮) চাঁন মিয়ার ছেলে এবং চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসম্পাদক। তিনি মোল্লা গোষ্ঠীর সমর্থক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, উল্টা ও মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ ঘটে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় বাজারের দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
আহতদের মধ্যে মোল্লা গোষ্ঠীর তিনজন—নেয়ামুল মিয়া, বাবুল মিয়া ও সুরাফ মিয়াকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব থেকেই এই সহিংসতার সূচনা। সংঘর্ষে একজন নিহত ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাজারের প্রায় ৫০০ দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
উল্টা গোষ্ঠীর সমর্থক মো. আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, “আমাদের লোকদের তারা সব সময় মারধর করত। এর জেরেই আজকের এই ঘটনা। বাজারের আমাদের প্রায় ২০টি দোকান লুটপাট করে কয়েক কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।”
অন্যদিকে মোল্লা গোষ্ঠীর পক্ষে থাকা মোতাহার হোসেন দাবি করেন, “আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আলাউদ্দিনের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এর মধ্যে সোহরাবকে টেঁটা মেরে হত্যা করে। আরও দুজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।”
ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।”
শনিবার, ০৫ জুলাই ২০২৫
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২০ জন।
শনিবার দুপুরে চাতলপাড় বাজারে ‘উল্টা গোষ্ঠী’ ও ‘মোল্লা গোষ্ঠী’র সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাসিরনগর থানার ওসি মো. আজহারুল ইসলাম।
নিহত সোহরাব মিয়া (২৮) চাঁন মিয়ার ছেলে এবং চাতলপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহসম্পাদক। তিনি মোল্লা গোষ্ঠীর সমর্থক ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের ভাষ্য, উল্টা ও মোল্লা গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে এ সংঘর্ষ ঘটে। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উভয় পক্ষ প্রায় এক ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় বাজারের দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটে।
আহতদের মধ্যে মোল্লা গোষ্ঠীর তিনজন—নেয়ামুল মিয়া, বাবুল মিয়া ও সুরাফ মিয়াকে কিশোরগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিনের গোষ্ঠীগত দ্বন্দ্ব থেকেই এই সহিংসতার সূচনা। সংঘর্ষে একজন নিহত ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বাজারের প্রায় ৫০০ দোকান বন্ধ হয়ে যায়।
উল্টা গোষ্ঠীর সমর্থক মো. আলাউদ্দিন অভিযোগ করেন, “আমাদের লোকদের তারা সব সময় মারধর করত। এর জেরেই আজকের এই ঘটনা। বাজারের আমাদের প্রায় ২০টি দোকান লুটপাট করে কয়েক কোটি টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।”
অন্যদিকে মোল্লা গোষ্ঠীর পক্ষে থাকা মোতাহার হোসেন দাবি করেন, “আমাদের ওপর মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আলাউদ্দিনের লোকজন অতর্কিত হামলা চালায়। এর মধ্যে সোহরাবকে টেঁটা মেরে হত্যা করে। আরও দুজনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন।”
ওসি আজহারুল ইসলাম বলেন, “ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।”