চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল নেতা মুহাম্মদ সেলিমকে গুলি করে হত্যার পর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে। একজনের হাতে অগ্নেয়াস্ত্র, বাকিরা বোরকা ও মুখোশ পরে একটি অটোরিকশা থেকে নেমে এদিক–ওদিক হাঁটাহাটি করে আরেকটি অটোরিকশায় উঠে দ্রুত পাহাড়ি পথে চলে যায়। পাশের একটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে এই দৃশ্য ধরা পড়ে।
গতকাল রোববার দুপুরে আত্মীয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ইশান ভট্টের হাটে সেলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তাঁর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে ও ১৮ মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। বালু ব্যবসা ও মুরগির খামারের সঙ্গে যুক্ত সেলিম ২০২২ সালে গঠিত কমিটিতে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন।
সেলিমকে হত্যার ঘটনায় আজ সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরিবার মামলার সাহস পাচ্ছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সেলিমের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কী কারণে সেলিমকে খুন করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা ব্যবসায়িক আধিপত্যের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। সন্ত্রাসীদের বহনকারী একটি অটোরিকশার চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনো তথ্য মেলেনি। হত্যাকাণ্ডে সাত থেকে আটজন অংশ নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে, তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
সেলিমকে গুলি করে হত্যার পর সন্ত্রাসীদের পালানোর সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা ও মুখোশধারী সাত–আটজন সন্ত্রাসী কদলপুর ইশান ভট্টের হাট হয়ে ভোমরপাড়া হজরত আশরাফ মাজারের ফটকে একটি অটোরিকশা থেকে অস্ত্র হাতে নামে। পরে সেখান থেকে আরেকটি অটোরিকশা নিয়ে পাহাড়ি পথে চলে যায়। সশস্ত্র ব্যক্তিদের দেখে আশপাশের লোকজন দিগ্বিদিক পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের শনাক্তের কাজ চলছে। এরই মধ্যে তিন–চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল রাত ও আজ ভোরে পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সন্ত্রাসীরা বারবার অবস্থান পরিবর্তন করায় ধরা যাচ্ছে না।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া আজ দুপুরে বলেন, ‘আমরা তিন–চারজন খুনিকে শনাক্ত করেছি। তাঁদের একজন মুহাম্মদ রায়হান, যিনি আগের বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডেও জড়িত। সেলিমকেও আধিপত্য বিস্তারের জেরে হত্যা করা হয়েছে। শিগগিরই মামলা হবে এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, সেলিমের বিরুদ্ধেও নানা রাজনৈতিক ও অপরাধের মামলা ছিল। তিনি বালু, মাটি ও পাহাড়ি ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। সন্ত্রাসীরাও এসব ব্যবসায় জড়িত। আধিপত্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাউজানে ১৮ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১০টি রাজনৈতিক হত্যা, অর্ধশতাধিক গোলাগুলি, সংঘর্ষ ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির স্থানীয় দুটি পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের দাবি। এসব ঘটনায় ৩৫টির বেশি মামলা হয়েছে।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রামের রাউজানে যুবদল নেতা মুহাম্মদ সেলিমকে গুলি করে হত্যার পর অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে। একজনের হাতে অগ্নেয়াস্ত্র, বাকিরা বোরকা ও মুখোশ পরে একটি অটোরিকশা থেকে নেমে এদিক–ওদিক হাঁটাহাটি করে আরেকটি অটোরিকশায় উঠে দ্রুত পাহাড়ি পথে চলে যায়। পাশের একটি বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজে এই দৃশ্য ধরা পড়ে।
গতকাল রোববার দুপুরে আত্মীয়ের জানাজার নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার কদলপুর ইউনিয়নের ইশান ভট্টের হাটে সেলিমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তিনি কদলপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শমসেরপাড়া গ্রামের আমির হোসেনের ছেলে। তাঁর পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছেলে ও ১৮ মাস বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। বালু ব্যবসা ও মুরগির খামারের সঙ্গে যুক্ত সেলিম ২০২২ সালে গঠিত কমিটিতে ইউনিয়ন যুবদলের সদস্যসচিব ছিলেন।
সেলিমকে হত্যার ঘটনায় আজ সোমবার দুপুর ২টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। পরিবার মামলার সাহস পাচ্ছে না বলে স্থানীয় বাসিন্দা ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সেলিমের স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, কী কারণে সেলিমকে খুন করা হয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বা ব্যবসায়িক আধিপত্যের জেরে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ ও স্থানীয়রা। সন্ত্রাসীদের বহনকারী একটি অটোরিকশার চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও কোনো তথ্য মেলেনি। হত্যাকাণ্ডে সাত থেকে আটজন অংশ নেয় বলে পুলিশ জানিয়েছে, তবে কাউকে আটক করা যায়নি।
সেলিমকে গুলি করে হত্যার পর সন্ত্রাসীদের পালানোর সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ফুটেজে দেখা যায়, বোরকা ও মুখোশধারী সাত–আটজন সন্ত্রাসী কদলপুর ইশান ভট্টের হাট হয়ে ভোমরপাড়া হজরত আশরাফ মাজারের ফটকে একটি অটোরিকশা থেকে অস্ত্র হাতে নামে। পরে সেখান থেকে আরেকটি অটোরিকশা নিয়ে পাহাড়ি পথে চলে যায়। সশস্ত্র ব্যক্তিদের দেখে আশপাশের লোকজন দিগ্বিদিক পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের শনাক্তের কাজ চলছে। এরই মধ্যে তিন–চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল রাত ও আজ ভোরে পাহাড়ি এলাকায় সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সন্ত্রাসীরা বারবার অবস্থান পরিবর্তন করায় ধরা যাচ্ছে না।
রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া আজ দুপুরে বলেন, ‘আমরা তিন–চারজন খুনিকে শনাক্ত করেছি। তাঁদের একজন মুহাম্মদ রায়হান, যিনি আগের বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডেও জড়িত। সেলিমকেও আধিপত্য বিস্তারের জেরে হত্যা করা হয়েছে। শিগগিরই মামলা হবে এবং আসামিদের আইনের আওতায় আনা হবে।’
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানিয়েছেন, সেলিমের বিরুদ্ধেও নানা রাজনৈতিক ও অপরাধের মামলা ছিল। তিনি বালু, মাটি ও পাহাড়ি ব্যবসায় জড়িত ছিলেন। সন্ত্রাসীরাও এসব ব্যবসায় জড়িত। আধিপত্যের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে তাঁদের ধারণা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রাউজানে ১৮ আগস্ট থেকে এ পর্যন্ত ১০টি রাজনৈতিক হত্যা, অর্ধশতাধিক গোলাগুলি, সংঘর্ষ ও অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। বিএনপির স্থানীয় দুটি পক্ষের দ্বন্দ্বের জের ধরে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশের দাবি। এসব ঘটনায় ৩৫টির বেশি মামলা হয়েছে।