জুলাই শহীদ নারীযোদ্ধা সুমাইয়া আক্তারের পরিবারের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। এ সময় তিনি বলেন, সুমাইয়াসহ ১১টি শহীদ নারীযোদ্ধার পরিবার রয়েছে। তাদের জীবন ও আত্মত্যাগ নিয়ে আমরা একটি গবেষণা ও পাবলিকেশন প্রকাশ করতে চাই। মেয়েরা অনেক গল্প বয়ে বেড়ায়, অনেক সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে, যা সামনে আসে না। আমরা চাই না, তারা হারিয়ে যাক। তাদের গল্পগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। রোববার সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় জুলাই শহীদ সুমাইয়ার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শহীদ সুমাইয়ার মা, ভাই-বোন এবং সন্তানগণও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, শহীদ সুমাইয়ার তিনটি ছোট ভাই, তার মা ও সন্তান রয়েছে। এই পরিবারের নিরাপত্তা, শিশুটির লেখাপড়া, এবং ভবিষ্যতের জীবনযাত্রা যেন নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা রিসোর্স ও ক্যাপাসিটি কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শারমিন মুরশিদ আরও বলেন, এই শহীদ পরিবারের সন্তানদের যারা যতœ করে বড় করবে, তাদের জন্য বিশেষ সহায়তা বা রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার থাকা উচিত। এটি শুধু দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের মানবিক দায়।
সুমাইয়ার বোন জামাই বিল্লাল হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত সুমাইয়ার নামে সরকার যে অনুদান দিয়েছে তা আমরা সঠিকভাবে পেয়েছি কিনা এসব বিষয়সহ সুমাইয়ার শিশুকন্যাসহ পরিবার সম্পর্কে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন। এ সময় সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ জুলাই পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় মায়ের বাসায় বেড়াতে এসে পোশাক শ্রমিক সুমাইয়া ঘরের বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
এর আগে সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ নারায়ণগঞ্জের আরেক জুলাই শহীদ রিয়া গোপের বাসা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা পুরো মাসটিকে ডেডিকেট করেছি এই জুলাই আন্দোলনের ওপর- যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে এটা বলা, আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং ভুলব না। তোমরা যে আত্মত্যাগ করে গেলে, যে ক্ষতি তোমাদের হয়েছে, সেটার জন্য রাষ্ট্র সর্বোচ্চটা করবে। এ দেশের মানুষও তাদের স্মরণে রাখবে। এটা যেন আমাদের মননে থাকে, বয়ানে থাকে। তিনি আরও বলেন, ছোট্ট রিয়ার নামে একটি স্টেডিয়াম হয়েছে। সেখানে যখন বাচ্চারা খেলতে যাবে, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ রিয়ার নামটা থাকবে। তারা যখনই দেখবে, তখনই জিজ্ঞেস করবে এই নাম কেন দেয়া হলো? তখনই রিয়ার গল্পটা সবাই জানবে।
উপদেষ্টা বলেন, স্টেডিয়ামে সুন্দর একটা কর্নার থাকবে। সেখানে আমাদের যে বাচ্চারা হারিয়ে গেছে, তাদের নামসহ একটি কর্নার থাকবে। আজ রিয়ার মায়ের কাছে আসতে পেরেছি। সব শহীদের বাড়িতে যাওয়া কঠিন। তবে এই ১১টি মেয়ে যারা শহীদ হয়েছে তাদের এবং ১৩৫টি শিশু যারা শহীদ হয়েছে তাদের পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
জুলাই শহীদ নারীযোদ্ধা সুমাইয়া আক্তারের পরিবারের সঙ্গে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সমাজকল্যাণ ও মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ। এ সময় তিনি বলেন, সুমাইয়াসহ ১১টি শহীদ নারীযোদ্ধার পরিবার রয়েছে। তাদের জীবন ও আত্মত্যাগ নিয়ে আমরা একটি গবেষণা ও পাবলিকেশন প্রকাশ করতে চাই। মেয়েরা অনেক গল্প বয়ে বেড়ায়, অনেক সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে, যা সামনে আসে না। আমরা চাই না, তারা হারিয়ে যাক। তাদের গল্পগুলো বাঁচিয়ে রাখতে হবে। রোববার সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় জুলাই শহীদ সুমাইয়ার বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শহীদ সুমাইয়ার মা, ভাই-বোন এবং সন্তানগণও উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, শহীদ সুমাইয়ার তিনটি ছোট ভাই, তার মা ও সন্তান রয়েছে। এই পরিবারের নিরাপত্তা, শিশুটির লেখাপড়া, এবং ভবিষ্যতের জীবনযাত্রা যেন নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। আমার মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা রিসোর্স ও ক্যাপাসিটি কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শারমিন মুরশিদ আরও বলেন, এই শহীদ পরিবারের সন্তানদের যারা যতœ করে বড় করবে, তাদের জন্য বিশেষ সহায়তা বা রাষ্ট্রীয় অগ্রাধিকার থাকা উচিত। এটি শুধু দায়িত্ব নয়, এটি আমাদের মানবিক দায়।
সুমাইয়ার বোন জামাই বিল্লাল হোসেন বলেন, এ পর্যন্ত সুমাইয়ার নামে সরকার যে অনুদান দিয়েছে তা আমরা সঠিকভাবে পেয়েছি কিনা এসব বিষয়সহ সুমাইয়ার শিশুকন্যাসহ পরিবার সম্পর্কে উপদেষ্টা জানতে চেয়েছেন। এ সময় সমাজকল্যাণ উপদেষ্টার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞাসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ জুলাই পাইনাদি নতুন মহল্লা এলাকায় মায়ের বাসায় বেড়াতে এসে পোশাক শ্রমিক সুমাইয়া ঘরের বারান্দায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
এর আগে সমাজ কল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ নারায়ণগঞ্জের আরেক জুলাই শহীদ রিয়া গোপের বাসা পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমরা পুরো মাসটিকে ডেডিকেট করেছি এই জুলাই আন্দোলনের ওপর- যারা চলে গেছে, তাদের পরিবারের কাছে গিয়ে এটা বলা, আমরা তোমাদের ভুলিনি এবং ভুলব না। তোমরা যে আত্মত্যাগ করে গেলে, যে ক্ষতি তোমাদের হয়েছে, সেটার জন্য রাষ্ট্র সর্বোচ্চটা করবে। এ দেশের মানুষও তাদের স্মরণে রাখবে। এটা যেন আমাদের মননে থাকে, বয়ানে থাকে। তিনি আরও বলেন, ছোট্ট রিয়ার নামে একটি স্টেডিয়াম হয়েছে। সেখানে যখন বাচ্চারা খেলতে যাবে, বছরের পর বছর, যুগের পর যুগ রিয়ার নামটা থাকবে। তারা যখনই দেখবে, তখনই জিজ্ঞেস করবে এই নাম কেন দেয়া হলো? তখনই রিয়ার গল্পটা সবাই জানবে।
উপদেষ্টা বলেন, স্টেডিয়ামে সুন্দর একটা কর্নার থাকবে। সেখানে আমাদের যে বাচ্চারা হারিয়ে গেছে, তাদের নামসহ একটি কর্নার থাকবে। আজ রিয়ার মায়ের কাছে আসতে পেরেছি। সব শহীদের বাড়িতে যাওয়া কঠিন। তবে এই ১১টি মেয়ে যারা শহীদ হয়েছে তাদের এবং ১৩৫টি শিশু যারা শহীদ হয়েছে তাদের পরিবারের চোখের জল মুছে দিতে।