গোয়ালন্দে পদ্মার নদীর ইলিশের ইতিহাস অতি দীর্ঘ! গোলন্দের পদ্মার নদীর রুপালি ইলিশ একসময় পার্শ্ববতী দেশ ভারতের কলকাকায় যেত গোয়ালন্দঘাট থেকে ট্রেন যোগে। এ ছাড়াও অনেক কবি, লেখক তাদের গল্পের বইয়ে লেখনিতে গোয়ালন্দের পদ্মার নদীর রুপালি ইলিশের কথা উল্লেখ করেছেন। সেই পদ্মা নদীতে বর্তমানে মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ, এতে হতাশ ইলিশ ধরার জেলেরা। এখন পুরো বর্ষা মৌসুম ইলিশ ধরার পুরোপুরি সময় কিন্তু গোয়ালন্দ পদ্মা নদীতে মিলছে না ইলিশ। জেলেরা নদীতে জাল ফেলে ইলিশ না পাওয়ায় নদী থেকে ফিরছে খালি হাতে।
গল্পের বইয়ে লেখনিতে গোয়ালন্দের পদ্মার নদীর রুপালি ইলিশের কথা উল্লেখ করেছেন। সেই পদ্মা নদীতে বর্তমানে মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ, এতে হতাশ ইলিশ ধরার জেলেরা
জানা যায়, বর্তমানে চলছে বর্ষ মৌসুম পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার সময় কিন্তু মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ নদীতে ইলিশ ধরতে না পেরে হতাশ জেলেরা। নদীতে জাল ফেলে ইলিশ ধরতে না পেরে নদী থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। অনেকে জেলেরা গুটিয়ে রাখছেন তাদের জাল দড়ি নদীর পারে। এ নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে জেলাসহ ও ইলিশ ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
সরজমিনে দৌলতদিয়া পদ্মা পাড় এলাকা ঘওরে দেখা যায়, নদীতে পানি বৃদ্ধির পেয়েছে এ সময় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ার কথা কিন্তু প্রত্যাশিত ইলিশ নদীতে না থাকার কারণে অনেক জেলেরা নদীর পাড়ে নৌকা ভিড়িয়ে জাল মেরামত করছে। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছেঁড়া-ফাটা জাল মেরামত করছেন। কেউবা জাল গুটিয়ে খামাল (স্তূপ) দিয়ে রাখছেন আবার কেউ নৌকার সংস্কার কাজও করছেন। এ ছাড়া সরজমিন কথা হয় জেলে প্রদীপ হালদার ও কৃষ্ণ হালদার সঙ্গে তারা জানান, পদ্মা নদীতে এখন আর আগের মত ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না। সারারাত নদীতে জাল ফেলে খরচের টাকাও ওঠে না বর্তমানে অন্যান্য মাছও নদীতে অনেক কম। এ ছাড়াও কথা হয় হরিপদ হালর্দা এর সঙ্গে তিনি বলেন, নদীর পাড়ে বসে ছেঁড়া জাল মেরামত করছি, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির পেয়েছে এখন পদ্মায় ইলিশ ধরা পড়ার কথা কিন্তু ৬ দিন যাবত কোন মাছ পাইনি। আজ একবার নৌকা নিয়ে নদীতে সহযোগীরা সহ গিয়েছিল, কোন মাছ না পাওয়ায় নদীর পাড়ে নৌকার হাল মেরামত করছি। আমাদের সুতি জালে বড় মাছ ধরা পড়ে জাল ছেড়া থাকলে ছোট ছোট মাছ বেড়িয়ে যায় তাই সকলে মিলে জালগুলো ঠিক করছি। জেলে হযরত আলি বলেন, একসময় পদ্মা নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ত, তখন দামও কম ছিল, এখন পদ্মার ইলিশ কমে যাওয়ায় ইলিশ বেশি দামে বিক্রিহয় এ কারণে দিনদিন মানুষের ইলিশ কেনার সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। সপ্তাহ খানেক হলো কোন মাছই পাই না নৌকায় রান্না করার মতও কোন মাছ জালে উঠছেনা। আজ নৌকায় মুগডাল রান্না ও আলুভর্তা করেছি। আমার দুটি নৌকায় ১০ জনের প্রতিদিন গড়ে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে ধারদেনা করে আমাদের খেতে ও চলতে হচ্ছে। দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা জেলেদের ওপর নির্ভরশীল, তারা যদি মাছ না পায় তাহলে আমরা কীভাবে মাছ কিনব, আর কীভাবে এই মাছ অন্যত্র বিক্রি করে ব্যবসা করব। তারা (জেলেরা) মাছ না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হন, ঠিক তেমনি আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। দৌলতদিয়া এলাকার মৎস্যজীবীরা আরোও বলেন ‘আগে এখানে একবার জাল ফেললেই চার থেকে পাঁচ মণ ইলিশ পেতাম। জাল তুলতে কষ্ট হত আর এখন সারাদিন জাল ফেলে হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়। এখান সারাদিনে একটা ইলিশ পাওয়া যায় না। এখন নদীর গভীরতা না থাকায় ইলিশ পাওয়া যায় না।
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন ইলিশ সাধারণত গভীর পানির মাছ। পদ্মা নদীতে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। আর নাব্যতা সংকট থাকায় ইলিশের বিচরণ কিছুটা কম হয়ে থাকে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা গেলে এ এলাকায় ইলিশের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা যাবে।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
গোয়ালন্দে পদ্মার নদীর ইলিশের ইতিহাস অতি দীর্ঘ! গোলন্দের পদ্মার নদীর রুপালি ইলিশ একসময় পার্শ্ববতী দেশ ভারতের কলকাকায় যেত গোয়ালন্দঘাট থেকে ট্রেন যোগে। এ ছাড়াও অনেক কবি, লেখক তাদের গল্পের বইয়ে লেখনিতে গোয়ালন্দের পদ্মার নদীর রুপালি ইলিশের কথা উল্লেখ করেছেন। সেই পদ্মা নদীতে বর্তমানে মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ, এতে হতাশ ইলিশ ধরার জেলেরা। এখন পুরো বর্ষা মৌসুম ইলিশ ধরার পুরোপুরি সময় কিন্তু গোয়ালন্দ পদ্মা নদীতে মিলছে না ইলিশ। জেলেরা নদীতে জাল ফেলে ইলিশ না পাওয়ায় নদী থেকে ফিরছে খালি হাতে।
গল্পের বইয়ে লেখনিতে গোয়ালন্দের পদ্মার নদীর রুপালি ইলিশের কথা উল্লেখ করেছেন। সেই পদ্মা নদীতে বর্তমানে মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ, এতে হতাশ ইলিশ ধরার জেলেরা
জানা যায়, বর্তমানে চলছে বর্ষ মৌসুম পদ্মা নদীতে ইলিশ ধরার সময় কিন্তু মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ নদীতে ইলিশ ধরতে না পেরে হতাশ জেলেরা। নদীতে জাল ফেলে ইলিশ ধরতে না পেরে নদী থেকে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে জেলেদের। অনেকে জেলেরা গুটিয়ে রাখছেন তাদের জাল দড়ি নদীর পারে। এ নিয়ে হতাশা বিরাজ করছে জেলাসহ ও ইলিশ ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
সরজমিনে দৌলতদিয়া পদ্মা পাড় এলাকা ঘওরে দেখা যায়, নদীতে পানি বৃদ্ধির পেয়েছে এ সময় জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পড়ার কথা কিন্তু প্রত্যাশিত ইলিশ নদীতে না থাকার কারণে অনেক জেলেরা নদীর পাড়ে নৌকা ভিড়িয়ে জাল মেরামত করছে। কেউ কেউ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছেঁড়া-ফাটা জাল মেরামত করছেন। কেউবা জাল গুটিয়ে খামাল (স্তূপ) দিয়ে রাখছেন আবার কেউ নৌকার সংস্কার কাজও করছেন। এ ছাড়া সরজমিন কথা হয় জেলে প্রদীপ হালদার ও কৃষ্ণ হালদার সঙ্গে তারা জানান, পদ্মা নদীতে এখন আর আগের মত ইলিশ মাছ পাওয়া যায় না। সারারাত নদীতে জাল ফেলে খরচের টাকাও ওঠে না বর্তমানে অন্যান্য মাছও নদীতে অনেক কম। এ ছাড়াও কথা হয় হরিপদ হালর্দা এর সঙ্গে তিনি বলেন, নদীর পাড়ে বসে ছেঁড়া জাল মেরামত করছি, পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধির পেয়েছে এখন পদ্মায় ইলিশ ধরা পড়ার কথা কিন্তু ৬ দিন যাবত কোন মাছ পাইনি। আজ একবার নৌকা নিয়ে নদীতে সহযোগীরা সহ গিয়েছিল, কোন মাছ না পাওয়ায় নদীর পাড়ে নৌকার হাল মেরামত করছি। আমাদের সুতি জালে বড় মাছ ধরা পড়ে জাল ছেড়া থাকলে ছোট ছোট মাছ বেড়িয়ে যায় তাই সকলে মিলে জালগুলো ঠিক করছি। জেলে হযরত আলি বলেন, একসময় পদ্মা নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ত, তখন দামও কম ছিল, এখন পদ্মার ইলিশ কমে যাওয়ায় ইলিশ বেশি দামে বিক্রিহয় এ কারণে দিনদিন মানুষের ইলিশ কেনার সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে। সপ্তাহ খানেক হলো কোন মাছই পাই না নৌকায় রান্না করার মতও কোন মাছ জালে উঠছেনা। আজ নৌকায় মুগডাল রান্না ও আলুভর্তা করেছি। আমার দুটি নৌকায় ১০ জনের প্রতিদিন গড়ে ১ থেকে দেড় হাজার টাকা খরচ হয়। বর্তমানে ধারদেনা করে আমাদের খেতে ও চলতে হচ্ছে। দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, আমরা জেলেদের ওপর নির্ভরশীল, তারা যদি মাছ না পায় তাহলে আমরা কীভাবে মাছ কিনব, আর কীভাবে এই মাছ অন্যত্র বিক্রি করে ব্যবসা করব। তারা (জেলেরা) মাছ না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত হন, ঠিক তেমনি আমরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। দৌলতদিয়া এলাকার মৎস্যজীবীরা আরোও বলেন ‘আগে এখানে একবার জাল ফেললেই চার থেকে পাঁচ মণ ইলিশ পেতাম। জাল তুলতে কষ্ট হত আর এখন সারাদিন জাল ফেলে হাপিত্যেশ করে বসে থাকতে হয়। এখান সারাদিনে একটা ইলিশ পাওয়া যায় না। এখন নদীর গভীরতা না থাকায় ইলিশ পাওয়া যায় না।
রাজবাড়ী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা সাংবাদিকদের বলেন ইলিশ সাধারণত গভীর পানির মাছ। পদ্মা নদীতে অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। আর নাব্যতা সংকট থাকায় ইলিশের বিচরণ কিছুটা কম হয়ে থাকে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা গেলে এ এলাকায় ইলিশের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করা যাবে।