নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়ার ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় একদিকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, অপরদিকে দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও দোষীর ফাঁসির দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় রোয়াইলবাড়ী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের (১৭) সঙ্গে একই এলাকার নিলাম্বরখিলা গ্রামের আরজু মেম্বারের ছেলে আশরাফুল হক পূর্ণ (২০)-এর প্রেমের সম্পর্ক থেকে। তারা দুথজনেই একই মাদ্রাসা ও কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করতেন এবং দীর্ঘ এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর বাবা শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৭ জুন রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুমাইয়াকে তার নিজ ঘরে ধর্ষণ করে। এরপর ২৯ জুন রোয়াইলবাড়ী বাজারে প্রেম ও বিয়ের বিষয় অস্বীকার করলে সুমাইয়া ও পূর্ণের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে পূর্ণ প্রকাশ্যে সুমাইয়াকে মারধর করে। অপমানিত, দুঃখ ভারাক্রান্ত ও হতাশ সুমাইয়া সেদিনই বিষপান করেন।
তাকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরবর্তীতে ১ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, মৃত্যুর আগে ভুক্তভোগী সুমাইয়া নিজ মুখে মায়ের কাছে পূর্ণের দ্বারা একাধিকবার ধর্ষণের কথা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদ জানিয়ে এবং ধর্ষক আশরাফুল হক পূর্ণের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে (সোমবার)৭-৭-২০২৫ রোয়াইলবাড়ী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রজু হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় মেধাবী শিক্ষার্থী সুমাইয়ার ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় একদিকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে, অপরদিকে দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও দোষীর ফাঁসির দাবিতে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় রোয়াইলবাড়ী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমাইয়া আক্তারের (১৭) সঙ্গে একই এলাকার নিলাম্বরখিলা গ্রামের আরজু মেম্বারের ছেলে আশরাফুল হক পূর্ণ (২০)-এর প্রেমের সম্পর্ক থেকে। তারা দুথজনেই একই মাদ্রাসা ও কোচিং সেন্টারে পড়াশোনা করতেন এবং দীর্ঘ এক বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগীর বাবা শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত ৭ জুন রাতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সুমাইয়াকে তার নিজ ঘরে ধর্ষণ করে। এরপর ২৯ জুন রোয়াইলবাড়ী বাজারে প্রেম ও বিয়ের বিষয় অস্বীকার করলে সুমাইয়া ও পূর্ণের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়, এক পর্যায়ে পূর্ণ প্রকাশ্যে সুমাইয়াকে মারধর করে। অপমানিত, দুঃখ ভারাক্রান্ত ও হতাশ সুমাইয়া সেদিনই বিষপান করেন।
তাকে কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। পরবর্তীতে ১ জুলাই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, মৃত্যুর আগে ভুক্তভোগী সুমাইয়া নিজ মুখে মায়ের কাছে পূর্ণের দ্বারা একাধিকবার ধর্ষণের কথা জানিয়েছেন।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিবাদ জানিয়ে এবং ধর্ষক আশরাফুল হক পূর্ণের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে (সোমবার)৭-৭-২০২৫ রোয়াইলবাড়ী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন করেছেন।
সোমবার কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা রজু হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।