চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ব্যাপক হারে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে এই রোগে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। খামারিরা লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগে আক্রান্ত গরু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
গরুর ভাইরাস জনিত এই রোগ মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগে অনেক গরু মারা গেছে। ক্ষুরা রোগের চেয়েও লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) মারাত্মক ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসে বেশিরভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। বড় গরুগুলো আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিলে সেরে উঠছে
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলা সদর ইউনিয়নের সদর সহ দেউলি, দশমী, জয়রামপুর, পুড়াপাড়া নতিপোতা, কার্পাসডাঙ্গা হেমায়েতপুর সহ উপজেলার বিভিন গ্রামে এই ভাইরাস জনিত রোগ মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগে অনেক গরু মারা গেছে। ক্ষুরা রোগের চেয়েও লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) মারাত্মক ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসে বেশিরভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। বড় গরুগুলো আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিলে সেরে উঠছে।
উপজেলার দেউলি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মজিবার হোসেন বলেন, গত দুই দিন আগে তার একটি বড় গরু বিক্রির জন্য দাম দর হয় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর এক দিন পর ওই গরুর একই রোগে আক্রান্ত হলে তড়ি ঘড়ি করে গরুটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এ ছাড়া একই গ্রামের আজের হোসেনের ছেলে আহাদ আলির দুটি বাছুর গরুর মধ্যে একটি গরু আক্রান্ত হয়েছে। তিনি গরু নিয়ে খুবই চিন্তায় আছেন। তিনি বলেন দুটি গরু পৃথক জায়গায় রাখা হয়েছে আক্রান্ত গরু দ্রুত অসুস্থুতা বাড়ছে। এ ছাড়া ও ঐ গ্রামের একই পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে, তোতা মিয়া হালিমের ছেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, তাদের একটি ৭ মাসের এড়ে বাছুর ও ৯ মাস বয়সি এড়ে বাছুর রয়েছে এর মধ্যে একটি আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে জ্বর, গলা ফোলা ও ধীরে ধীরে শরীরে গুটি গুটি হয়। কিছুদিন পর সেগুলো গর্ত হতে সারা শরীর লোম উঠে যায় দেখতে খুব ভয়ংকর লাগে এবং দুর্গন্ধে কেউ কাছে যেতে পারেনা। কোন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে ও কোনো কাজ হয় না ধীরে ধীরে মারা যায়। উপজেলার খামারিদের দাবি এ উপজেলায় এই রোগ নিরময়ের জন্য সরকারি ভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ সহ প্রাণী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে জোর তদারকির করার জোর দাবি তুলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পল্লী পশু চিকিৎসক বলেন, এই রোগ খুবই মারাত্মক এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এই রোগে আক্রান্ত প্রায় ৮০ ভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। ইতোমধ্যে অনেক গরুর মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে পশু চিকিৎসকরা ভ্যাকসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। রোগটি মশা বা মাছির মাধ্যমে আক্রান্ত পশু থেকে সুস্থ পশুর শরীরে ছড়াচ্ছে। আতঙ্কে মধ্যে রয়েছে গরু চাষিরা।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন, উপজেলায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে অফিসে ওই ভাইরাস প্রতিরোধের সরকারি কোন ভ্যাকসিন নাই। ওই ভ্যাকসিনের পরিবর্তে একমি কোম্পানির গো পক্স নামক ভ্যাকসিনে মোটামুটি কাজ হয়। আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খামারিদেরকে ওই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এই ভাইরাসে বেশিরভাগ ছোট ৩ থেকে ৬ মাস বয়সি বাচ্চা গরু মারা গেলেও বড় আক্রান্ত গরুগুলো চিকিৎসা দিলে ৯৫ ভাগই সুস্থ হচ্ছে।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ব্যাপক হারে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে এই রোগে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। খামারিরা লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগে আক্রান্ত গরু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
গরুর ভাইরাস জনিত এই রোগ মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগে অনেক গরু মারা গেছে। ক্ষুরা রোগের চেয়েও লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) মারাত্মক ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসে বেশিরভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। বড় গরুগুলো আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিলে সেরে উঠছে
জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলা সদর ইউনিয়নের সদর সহ দেউলি, দশমী, জয়রামপুর, পুড়াপাড়া নতিপোতা, কার্পাসডাঙ্গা হেমায়েতপুর সহ উপজেলার বিভিন গ্রামে এই ভাইরাস জনিত রোগ মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগে অনেক গরু মারা গেছে। ক্ষুরা রোগের চেয়েও লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) মারাত্মক ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসে বেশিরভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। বড় গরুগুলো আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিলে সেরে উঠছে।
উপজেলার দেউলি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মজিবার হোসেন বলেন, গত দুই দিন আগে তার একটি বড় গরু বিক্রির জন্য দাম দর হয় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর এক দিন পর ওই গরুর একই রোগে আক্রান্ত হলে তড়ি ঘড়ি করে গরুটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এ ছাড়া একই গ্রামের আজের হোসেনের ছেলে আহাদ আলির দুটি বাছুর গরুর মধ্যে একটি গরু আক্রান্ত হয়েছে। তিনি গরু নিয়ে খুবই চিন্তায় আছেন। তিনি বলেন দুটি গরু পৃথক জায়গায় রাখা হয়েছে আক্রান্ত গরু দ্রুত অসুস্থুতা বাড়ছে। এ ছাড়া ও ঐ গ্রামের একই পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে, তোতা মিয়া হালিমের ছেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, তাদের একটি ৭ মাসের এড়ে বাছুর ও ৯ মাস বয়সি এড়ে বাছুর রয়েছে এর মধ্যে একটি আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে জ্বর, গলা ফোলা ও ধীরে ধীরে শরীরে গুটি গুটি হয়। কিছুদিন পর সেগুলো গর্ত হতে সারা শরীর লোম উঠে যায় দেখতে খুব ভয়ংকর লাগে এবং দুর্গন্ধে কেউ কাছে যেতে পারেনা। কোন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে ও কোনো কাজ হয় না ধীরে ধীরে মারা যায়। উপজেলার খামারিদের দাবি এ উপজেলায় এই রোগ নিরময়ের জন্য সরকারি ভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ সহ প্রাণী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে জোর তদারকির করার জোর দাবি তুলেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পল্লী পশু চিকিৎসক বলেন, এই রোগ খুবই মারাত্মক এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এই রোগে আক্রান্ত প্রায় ৮০ ভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। ইতোমধ্যে অনেক গরুর মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে পশু চিকিৎসকরা ভ্যাকসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। রোগটি মশা বা মাছির মাধ্যমে আক্রান্ত পশু থেকে সুস্থ পশুর শরীরে ছড়াচ্ছে। আতঙ্কে মধ্যে রয়েছে গরু চাষিরা।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন, উপজেলায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে অফিসে ওই ভাইরাস প্রতিরোধের সরকারি কোন ভ্যাকসিন নাই। ওই ভ্যাকসিনের পরিবর্তে একমি কোম্পানির গো পক্স নামক ভ্যাকসিনে মোটামুটি কাজ হয়। আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খামারিদেরকে ওই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এই ভাইরাসে বেশিরভাগ ছোট ৩ থেকে ৬ মাস বয়সি বাচ্চা গরু মারা গেলেও বড় আক্রান্ত গরুগুলো চিকিৎসা দিলে ৯৫ ভাগই সুস্থ হচ্ছে।