alt

সারাদেশ

দামুড়হুদায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন, দিশাহারা খামারিরা

প্রতিনিধি, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) : সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ব্যাপক হারে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে এই রোগে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। খামারিরা লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগে আক্রান্ত গরু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

গরুর ভাইরাস জনিত এই রোগ মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগে অনেক গরু মারা গেছে। ক্ষুরা রোগের চেয়েও লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) মারাত্মক ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসে বেশিরভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। বড় গরুগুলো আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিলে সেরে উঠছে

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলা সদর ইউনিয়নের সদর সহ দেউলি, দশমী, জয়রামপুর, পুড়াপাড়া নতিপোতা, কার্পাসডাঙ্গা হেমায়েতপুর সহ উপজেলার বিভিন গ্রামে এই ভাইরাস জনিত রোগ মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগে অনেক গরু মারা গেছে। ক্ষুরা রোগের চেয়েও লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) মারাত্মক ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসে বেশিরভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। বড় গরুগুলো আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিলে সেরে উঠছে।

উপজেলার দেউলি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মজিবার হোসেন বলেন, গত দুই দিন আগে তার একটি বড় গরু বিক্রির জন্য দাম দর হয় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর এক দিন পর ওই গরুর একই রোগে আক্রান্ত হলে তড়ি ঘড়ি করে গরুটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এ ছাড়া একই গ্রামের আজের হোসেনের ছেলে আহাদ আলির দুটি বাছুর গরুর মধ্যে একটি গরু আক্রান্ত হয়েছে। তিনি গরু নিয়ে খুবই চিন্তায় আছেন। তিনি বলেন দুটি গরু পৃথক জায়গায় রাখা হয়েছে আক্রান্ত গরু দ্রুত অসুস্থুতা বাড়ছে। এ ছাড়া ও ঐ গ্রামের একই পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে, তোতা মিয়া হালিমের ছেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, তাদের একটি ৭ মাসের এড়ে বাছুর ও ৯ মাস বয়সি এড়ে বাছুর রয়েছে এর মধ্যে একটি আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে জ্বর, গলা ফোলা ও ধীরে ধীরে শরীরে গুটি গুটি হয়। কিছুদিন পর সেগুলো গর্ত হতে সারা শরীর লোম উঠে যায় দেখতে খুব ভয়ংকর লাগে এবং দুর্গন্ধে কেউ কাছে যেতে পারেনা। কোন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে ও কোনো কাজ হয় না ধীরে ধীরে মারা যায়। উপজেলার খামারিদের দাবি এ উপজেলায় এই রোগ নিরময়ের জন্য সরকারি ভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ সহ প্রাণী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে জোর তদারকির করার জোর দাবি তুলেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পল্লী পশু চিকিৎসক বলেন, এই রোগ খুবই মারাত্মক এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এই রোগে আক্রান্ত প্রায় ৮০ ভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। ইতোমধ্যে অনেক গরুর মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে পশু চিকিৎসকরা ভ্যাকসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। রোগটি মশা বা মাছির মাধ্যমে আক্রান্ত পশু থেকে সুস্থ পশুর শরীরে ছড়াচ্ছে। আতঙ্কে মধ্যে রয়েছে গরু চাষিরা।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন, উপজেলায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে অফিসে ওই ভাইরাস প্রতিরোধের সরকারি কোন ভ্যাকসিন নাই। ওই ভ্যাকসিনের পরিবর্তে একমি কোম্পানির গো পক্স নামক ভ্যাকসিনে মোটামুটি কাজ হয়। আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খামারিদেরকে ওই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এই ভাইরাসে বেশিরভাগ ছোট ৩ থেকে ৬ মাস বয়সি বাচ্চা গরু মারা গেলেও বড় আক্রান্ত গরুগুলো চিকিৎসা দিলে ৯৫ ভাগই সুস্থ হচ্ছে।

শাহজাহান খানের দোসরদের সাথে সাবেক মেয়র আরিফের গোপন বৈঠক, দাবি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি সভাপতির

ছবি

ধনবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই নারী ও এক কিশোর নিহত, আহত ২

মোহনগঞ্জ পৌর শহরে দুই সপ্তাহ ধরে পানিবন্দি শতাধিক পরিবার, দুর্ভোগ চরমে

ছবি

কুলাউড়ায় পৃথ্বিমপাশা নবাব বাড়িতে আশুরা পালিত

চুয়াডাঙ্গা গাছ থেকে পড়ে কৃষকের মৃত্যু

মোড়েলগঞ্জে বাগান থেকে যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার

মোহনগঞ্জের পাটি শিল্প কদর আছে সারাদেশে

ছবি

শ্রীমঙ্গলের আতর আলী এখন কৃষি উদ্যোক্তা

ছবি

প্রবাস ফেরত আফজাল শেখের সাফল্যের গল্প

ছবি

মহাসড়কের পাশে ময়লার ভাগাড় সরালেন ইউএনও

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বহিষ্কৃত নেতা গ্রেপ্তার

ছবি

স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা সংস্কার করলো স্কাউটস সদস্যরা

বাংলাদেশ থেকে চিরতরে দুর্নীতি দূর করতে হবে রাণীনগরে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম

যমুনেশ্বরী নদীতে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি

মৎস্য ভান্ডার খ্যাত সিরাজগঞ্জ থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে বিল

সাভারে সংখ্যালঘু পরিবারের জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ

সাঘাটায় যৌথ বাহিনী অভিযানেগ্রেপ্তার ৬

ঝিকরগাছায় বিদেশি পিস্তলসহ আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

প্রশাসনের তৎপরতায়ও বন্ধ হচ্ছে না ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন

মহেশপুর সীমান্তে বিজিবির পৃথক অভিযানে মাদক উদ্ধার ১২ বাংলাদেশী আটক

কুষ্টিয়ায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, জেল-জরিমানা

কেন্দুয়ায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যার ঘটনায় মানববন্ধন-মামলা

নান্দাইলে বজ্রপাতে বাবা-ছেলের মৃত্যু

রাজশাহীতে বিদেশি পিস্তল গুলি উদ্ধার

ছবি

পদ্মায় মিলছে না প্রত্যাশিত ইলিশ খালি হাতে ফিরছেন জেলেরা

কুয়াকাটায় এক ইলিশ বিক্রি ৮ হাজারে

বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী জর্জের মতবিনিময়

ছবি

দেশের অন্যতম শিল্পাঞ্চল সীতাকুণ্ড

ছবি

পৌরবাসীর অভাবনীয় দুর্ভোগ মোরেলগঞ্জে ৬ দিনের টানা বর্ষণে ২ হাজার পরিবার জলাবদ্ধতায়

জুলাই শহীদ নারী যোদ্ধারা যেন হারিয়ে না যায় : উপদেষ্টা শারমিন

মোরেলগঞ্জে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

দোয়ারাবাজারে নদীভাঙনে বিলীন হচ্ছে জনপদ, আতঙ্কে শত শত পরিবার

জামলা আবাসন থেকে ডাকাতিয়া খাল পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা

নিষিদ্ধ চায়না জালে ঘাটাইলে অস্তিত্ব সংকটে দেশীয় মাছ!

ছবি

আধিপত্যের জেরে খুন, মামলার সাহস পাচ্ছে না পরিবার

ঢাকার ট্যানারির অনাগ্রহে চামড়া বিপণনে সংকট

tab

সারাদেশ

দামুড়হুদায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর লাম্পি স্কিন, দিশাহারা খামারিরা

প্রতিনিধি, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা)

সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় ব্যাপক হারে গরুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে এই রোগে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে। খামারিরা লাম্পি স্কিন ডিজিজ ভাইরাস রোগে আক্রান্ত গরু নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

গরুর ভাইরাস জনিত এই রোগ মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগে অনেক গরু মারা গেছে। ক্ষুরা রোগের চেয়েও লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) মারাত্মক ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসে বেশিরভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। বড় গরুগুলো আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিলে সেরে উঠছে

জানা গেছে, দামুড়হুদা উপজেলা সদর ইউনিয়নের সদর সহ দেউলি, দশমী, জয়রামপুর, পুড়াপাড়া নতিপোতা, কার্পাসডাঙ্গা হেমায়েতপুর সহ উপজেলার বিভিন গ্রামে এই ভাইরাস জনিত রোগ মারাত্মক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। এই রোগে অনেক গরু মারা গেছে। ক্ষুরা রোগের চেয়েও লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি) মারাত্মক ভাইরাস। তবে এই ভাইরাসে বেশিরভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। বড় গরুগুলো আক্রান্ত হলে চিকিৎসা দিলে সেরে উঠছে।

উপজেলার দেউলি গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে মজিবার হোসেন বলেন, গত দুই দিন আগে তার একটি বড় গরু বিক্রির জন্য দাম দর হয় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। এর এক দিন পর ওই গরুর একই রোগে আক্রান্ত হলে তড়ি ঘড়ি করে গরুটি ১ লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়া হয়। এ ছাড়া একই গ্রামের আজের হোসেনের ছেলে আহাদ আলির দুটি বাছুর গরুর মধ্যে একটি গরু আক্রান্ত হয়েছে। তিনি গরু নিয়ে খুবই চিন্তায় আছেন। তিনি বলেন দুটি গরু পৃথক জায়গায় রাখা হয়েছে আক্রান্ত গরু দ্রুত অসুস্থুতা বাড়ছে। এ ছাড়া ও ঐ গ্রামের একই পাড়ার আমির হোসেনের ছেলে, তোতা মিয়া হালিমের ছেলে জহিরুল ইসলাম বলেন, তাদের একটি ৭ মাসের এড়ে বাছুর ও ৯ মাস বয়সি এড়ে বাছুর রয়েছে এর মধ্যে একটি আক্রান্ত হয়েছে। প্রথমে জ্বর, গলা ফোলা ও ধীরে ধীরে শরীরে গুটি গুটি হয়। কিছুদিন পর সেগুলো গর্ত হতে সারা শরীর লোম উঠে যায় দেখতে খুব ভয়ংকর লাগে এবং দুর্গন্ধে কেউ কাছে যেতে পারেনা। কোন ধরনের চিকিৎসা দিয়ে ও কোনো কাজ হয় না ধীরে ধীরে মারা যায়। উপজেলার খামারিদের দাবি এ উপজেলায় এই রোগ নিরময়ের জন্য সরকারি ভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ সহ প্রাণী প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মাঠ পর্যায়ে জোর তদারকির করার জোর দাবি তুলেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পল্লী পশু চিকিৎসক বলেন, এই রোগ খুবই মারাত্মক এই রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। এই রোগে আক্রান্ত প্রায় ৮০ ভাগ বাচ্চা গরু মারা যায়। ইতোমধ্যে অনেক গরুর মৃত্যু হয়েছে। এই ভাইরাস প্রতিরোধে পশু চিকিৎসকরা ভ্যাকসিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না। রোগটি মশা বা মাছির মাধ্যমে আক্রান্ত পশু থেকে সুস্থ পশুর শরীরে ছড়াচ্ছে। আতঙ্কে মধ্যে রয়েছে গরু চাষিরা।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নিলিমা আক্তার হ্যাপি বলেন, উপজেলায় ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে। বর্তমানে অফিসে ওই ভাইরাস প্রতিরোধের সরকারি কোন ভ্যাকসিন নাই। ওই ভ্যাকসিনের পরিবর্তে একমি কোম্পানির গো পক্স নামক ভ্যাকসিনে মোটামুটি কাজ হয়। আমরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে খামারিদেরকে ওই ভ্যাকসিন দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। এই ভাইরাসে বেশিরভাগ ছোট ৩ থেকে ৬ মাস বয়সি বাচ্চা গরু মারা গেলেও বড় আক্রান্ত গরুগুলো চিকিৎসা দিলে ৯৫ ভাগই সুস্থ হচ্ছে।

back to top