চন্দনেরি গন্ধ ভরা, শীতল করা, ক্লান্তি হরা, যেখানে তার অঙ্গ রাখি, সেখানটিতেই শীতল পাটি। এনেছি শীতল পাটি গরমের যম, পেতে নিয়ে শুয়ে পড়ো ফিরে পাও দম। মানুষের হাতে বোনা মেঝের গালিচা, বাংলার ঘরে ঘরে পাটির বাগিচা। এমনিভাবেই কবি, লেখকগণ পাটির বয়ান করেছেন। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে পাটির ঐতিহ্য।
উপজেলার জৈনপুর, ভাটাপাড়া, কেন্দুয়া, ছোট হাতনী, নোওয়াগাঁও, এবং পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা মহদীপুর ও তাহিরপুর পাটিশিল্পের জনপদ বলে পরিচিত। এ শিল্পের মূল কারিগর হচ্ছে মহিলা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গ্রামের উঠোনে, বারান্দায়, ঘরে বসে আপন মনে পাটি বুনছেন বিভিন্ন বয়সী মহিলারা। পাটি বোনায় রত একজন কিশোরীকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কার কাছ থেকে বুনন শিখেছো। সে জানায় বড়দের কাছ থেকে দেখে দেখেই শিখেছি। এলাকায় তারা পাটিকর হিসেবে পরিচিত। পাটি একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প। পারিবারিক প্রয়োজনে ও বিভিন্ন মাঙ্গলিক কাজে পাটির ব্যবহার দীর্ঘদিনের। এখানেও ছেদ পড়েছে। বিকল্প হিসেবে নানা ধরনের প্লাস্টিকের পাটিতে বাজার সয়লাব। কিন্তু বেতের পাটির সাথে কি প্লাস্টিকের পাটির তুলনা চলে ? এ প্রসঙ্গে পাটি ব্যবসায়ী বিধু চন্দ্র কর বলেন, প্লাস্টিকের পাটির জন্য বেচাকেনা আগের চেয়ে কম। মোহনগঞ্জের পাটি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোহনগঞ্জের পাটি কদরপ্রিয় উঠছে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে বলে জানান পাটি ব্যবসায়ী বিজেন্দ্র কর ও বিজয় চন্দ্র কর। মোহনগঞ্জ পৌরশহরের আখড়া গেটে হাটবারসহ প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন আকারের পাটি বেচাকেনা হয়। এছাড়া জৈনপুর উকিল বাজারে প্রতি শুক্রবার পাটির পাইকারী হাট বসে। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাটি নিয়ে জড়ো হন বিক্রেতারা। পাইকাররা এখান থেকে পাটি কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যান। একটি সাধারণ পাটি ৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা ও একটি শীতল পাটি ২০০০ টাকা থেকে শুরু বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। একটি সাধারণ পাটি ৭ দিন ও একটি শীতল পাটি বুনতে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগে বলে পাটির কারিগররা জানান। ভালো শীতল পাটি নিতে আগে অর্ডার দিতে হয়। এ শিল্পের উপাদান হলো মুত্তা গাছ। কারো কারো মুত্তার ঝাঁড়/বাগান থাকলেও অনেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মুত্তা গাছ সংগ্রহ করেন। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
অনেক পরিবার আছে এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। অনেকে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মোহনগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাটিশিল্পের প্রসার আরও বাড়বে বলে শিল্প সংশ্লিষ্টরা মত পোষণ করেন।
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
চন্দনেরি গন্ধ ভরা, শীতল করা, ক্লান্তি হরা, যেখানে তার অঙ্গ রাখি, সেখানটিতেই শীতল পাটি। এনেছি শীতল পাটি গরমের যম, পেতে নিয়ে শুয়ে পড়ো ফিরে পাও দম। মানুষের হাতে বোনা মেঝের গালিচা, বাংলার ঘরে ঘরে পাটির বাগিচা। এমনিভাবেই কবি, লেখকগণ পাটির বয়ান করেছেন। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে পাটির ঐতিহ্য।
উপজেলার জৈনপুর, ভাটাপাড়া, কেন্দুয়া, ছোট হাতনী, নোওয়াগাঁও, এবং পার্শ্ববর্তী সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা মহদীপুর ও তাহিরপুর পাটিশিল্পের জনপদ বলে পরিচিত। এ শিল্পের মূল কারিগর হচ্ছে মহিলা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি গ্রামের উঠোনে, বারান্দায়, ঘরে বসে আপন মনে পাটি বুনছেন বিভিন্ন বয়সী মহিলারা। পাটি বোনায় রত একজন কিশোরীকে জিজ্ঞেস করলাম, তুমি কার কাছ থেকে বুনন শিখেছো। সে জানায় বড়দের কাছ থেকে দেখে দেখেই শিখেছি। এলাকায় তারা পাটিকর হিসেবে পরিচিত। পাটি একটি ঐতিহ্যবাহী শিল্প। পারিবারিক প্রয়োজনে ও বিভিন্ন মাঙ্গলিক কাজে পাটির ব্যবহার দীর্ঘদিনের। এখানেও ছেদ পড়েছে। বিকল্প হিসেবে নানা ধরনের প্লাস্টিকের পাটিতে বাজার সয়লাব। কিন্তু বেতের পাটির সাথে কি প্লাস্টিকের পাটির তুলনা চলে ? এ প্রসঙ্গে পাটি ব্যবসায়ী বিধু চন্দ্র কর বলেন, প্লাস্টিকের পাটির জন্য বেচাকেনা আগের চেয়ে কম। মোহনগঞ্জের পাটি উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি হয়। এছাড়া দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোহনগঞ্জের পাটি কদরপ্রিয় উঠছে বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে বলে জানান পাটি ব্যবসায়ী বিজেন্দ্র কর ও বিজয় চন্দ্র কর। মোহনগঞ্জ পৌরশহরের আখড়া গেটে হাটবারসহ প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন আকারের পাটি বেচাকেনা হয়। এছাড়া জৈনপুর উকিল বাজারে প্রতি শুক্রবার পাটির পাইকারী হাট বসে। বিভিন্ন এলাকা থেকে পাটি নিয়ে জড়ো হন বিক্রেতারা। পাইকাররা এখান থেকে পাটি কিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যান। একটি সাধারণ পাটি ৪০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা ও একটি শীতল পাটি ২০০০ টাকা থেকে শুরু বিভিন্ন দামে বিক্রি হয় বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। একটি সাধারণ পাটি ৭ দিন ও একটি শীতল পাটি বুনতে কমপক্ষে ১৫ দিন লাগে বলে পাটির কারিগররা জানান। ভালো শীতল পাটি নিতে আগে অর্ডার দিতে হয়। এ শিল্পের উপাদান হলো মুত্তা গাছ। কারো কারো মুত্তার ঝাঁড়/বাগান থাকলেও অনেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মুত্তা গাছ সংগ্রহ করেন। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়।
অনেক পরিবার আছে এ শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। অনেকে বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে মোহনগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী পাটিশিল্পের প্রসার আরও বাড়বে বলে শিল্প সংশ্লিষ্টরা মত পোষণ করেন।