মৌলভীবাজার : কুলাউড়া পৃথ্বিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমামবাড়া থেকে বের হওয়া আশুড়ার তাজিয়া মিছিল -সংবাদ
প্রায় সাড়ে তিনশত বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজারের পৃথ্বিমপাশা নবাব বাড়ির ইমামবাড়ায় সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়েছে মহরম মাসের আশুরা।
রবিবার ৬ জুলাই মহরমের শেষ দিনে ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্য ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে এউৎসব পালন করেন। অনুষ্ঠানের কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে ইমামবাড়ায় ইমাম হোসাইন ও কারবালার শহীদদের স্মরণে মজলিশ, মাতম, মর্সিয়া, জারি, নোহা, তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমে শোক পালন। রোববার বিকেলে ‘হায় হোসেন হায় হোসেন’ মর্সিয়া শোক ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে তাজিয়া মিছিল। শোক মাতমে নিজ শরীর রক্তাক্ত করে সরব হয়েছে লংলা অঞ্চলের ইমামবাড়াগুলো।
রোববার বিকেলে নবাব বাড়ির হোসেনি দালান থেকে বের হয় সু-সজ্জিত তাজিয়া মিছিল। শিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ‘সহস্রাধিক’ পুরুষ তাজিয়া, কালো, লাল ও সবুজ নিশান নিয়ে কালোপোষাক পড়ে খালিপায়ে মিছিলে অংশ নেয়।
কুলাউড়ার পৃথ্বিমপাশা নবাব বাড়ি ইমামবারার মহরম উদযাপন অনুষ্ঠানের মোতাওয়াল্লি ও সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাছ খান জানান, দীর্ঘ সাড়ে তিনশত বছর ধরে পৃথ্বিমপাশায় শিয়া, সুন্নি ও অন্যান্য মতাবলম্বী এবং উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আশুরার শোক পালন করা হয়েছে। তিনি বলেন, মহরমের ১০ দশ দিন নানা কর্মসুচি পালিত হয়েছে। এরমধ্যে ওয়াজ, মাতম, মার্সিয়া এবং শোক মিছিল। ইমাম হোসেন এবং কারবালার শহীদদের স্মারণে এসব কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
অ্যাডভোকেট নবাব আলী আব্বাস খান বলেন, ইমাম হোসেন শিক্ষা দেন ঈয়াজিদের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোস না করার। এতে এলাকার লোকজনের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আশা লোকজনও অংশ নিয়েছেন। মহরমকে কেন্দ্র করে নবাববাড়ির আশপাশের এলাকায় লোকে লোকারণ্য ছিল। ভাসমান প্রায় কয়েক শতাধিক দোকান-পাটের মেলা বসে।
মহরমের প্রথম দশদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে পহেলা মহরম থেকে দশ মহরম পর্যন্ত পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমামবাড়া, তরফি সাহেব বাড়ি, ছোট সাহেব বাড়ি, মরহুম শাহাদাত হোসেনের বাড়ি, বাঘ বাড়ি, মনরাজ সাহেব বাড়ি, পাল্লাকান্দি সাহেব বাড়ি, সরদার বাড়ি, মেম্বারের বাড়িসহ অন্যান্য ইমামবাড়াগুলোতে মহরম ও কারবালার ইতিহাস স্মরণে মজলিস, মাতম, নোহা, জিয়ারত, দোয়া, জারি, শিরনির আয়োজন করা হয়।
মৌলভীবাজার : কুলাউড়া পৃথ্বিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমামবাড়া থেকে বের হওয়া আশুড়ার তাজিয়া মিছিল -সংবাদ
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
প্রায় সাড়ে তিনশত বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় মৌলভীবাজারের পৃথ্বিমপাশা নবাব বাড়ির ইমামবাড়ায় সপ্তাহব্যাপী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পালিত হয়েছে মহরম মাসের আশুরা।
রবিবার ৬ জুলাই মহরমের শেষ দিনে ধর্মীয় ভাবগাম্বীর্য ও নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে এউৎসব পালন করেন। অনুষ্ঠানের কর্মসুচির মধ্যে রয়েছে ইমামবাড়ায় ইমাম হোসাইন ও কারবালার শহীদদের স্মরণে মজলিশ, মাতম, মর্সিয়া, জারি, নোহা, তাজিয়া মিছিলের মাধ্যমে শোক পালন। রোববার বিকেলে ‘হায় হোসেন হায় হোসেন’ মর্সিয়া শোক ধ্বনিতে মুখরিত হয়েছে তাজিয়া মিছিল। শোক মাতমে নিজ শরীর রক্তাক্ত করে সরব হয়েছে লংলা অঞ্চলের ইমামবাড়াগুলো।
রোববার বিকেলে নবাব বাড়ির হোসেনি দালান থেকে বের হয় সু-সজ্জিত তাজিয়া মিছিল। শিয়া সম্প্রদায়ের প্রায় ‘সহস্রাধিক’ পুরুষ তাজিয়া, কালো, লাল ও সবুজ নিশান নিয়ে কালোপোষাক পড়ে খালিপায়ে মিছিলে অংশ নেয়।
কুলাউড়ার পৃথ্বিমপাশা নবাব বাড়ি ইমামবারার মহরম উদযাপন অনুষ্ঠানের মোতাওয়াল্লি ও সাবেক সংসদ সদস্য নওয়াব আলী আব্বাছ খান জানান, দীর্ঘ সাড়ে তিনশত বছর ধরে পৃথ্বিমপাশায় শিয়া, সুন্নি ও অন্যান্য মতাবলম্বী এবং উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আশুরার শোক পালন করা হয়েছে। তিনি বলেন, মহরমের ১০ দশ দিন নানা কর্মসুচি পালিত হয়েছে। এরমধ্যে ওয়াজ, মাতম, মার্সিয়া এবং শোক মিছিল। ইমাম হোসেন এবং কারবালার শহীদদের স্মারণে এসব কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
অ্যাডভোকেট নবাব আলী আব্বাস খান বলেন, ইমাম হোসেন শিক্ষা দেন ঈয়াজিদের মতো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপোস না করার। এতে এলাকার লোকজনের পাশাপাশি দূর-দূরান্ত থেকে আশা লোকজনও অংশ নিয়েছেন। মহরমকে কেন্দ্র করে নবাববাড়ির আশপাশের এলাকায় লোকে লোকারণ্য ছিল। ভাসমান প্রায় কয়েক শতাধিক দোকান-পাটের মেলা বসে।
মহরমের প্রথম দশদিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে পহেলা মহরম থেকে দশ মহরম পর্যন্ত পৃথিমপাশা জমিদার বাড়ির ইমামবাড়া, তরফি সাহেব বাড়ি, ছোট সাহেব বাড়ি, মরহুম শাহাদাত হোসেনের বাড়ি, বাঘ বাড়ি, মনরাজ সাহেব বাড়ি, পাল্লাকান্দি সাহেব বাড়ি, সরদার বাড়ি, মেম্বারের বাড়িসহ অন্যান্য ইমামবাড়াগুলোতে মহরম ও কারবালার ইতিহাস স্মরণে মজলিস, মাতম, নোহা, জিয়ারত, দোয়া, জারি, শিরনির আয়োজন করা হয়।