সিলেটে পাথর কোয়ারি নিয়ে আন্দোলন
# এটি জুলাই আন্দোলনের চেতনা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র
# ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের প্রশাসনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে
সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীপন্থী পরিবহন মালিকেরা। এ আন্দোলনকে মালিক-শ্রমিকের কল্যাণহীন দাবি করে জুলাই আন্দোলনের চেতনা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করা হয়।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ এ ঘোষণা দেন। এতে সিলেটে চলমান পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে নাটকীয় মোড়।
তিনি অভিযোগ করেন, পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানের চেয়ারে বসে ফ্যাসিস্টের দোসররা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসায় গোপন বৈঠক হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। একই সাথে আরিফুল হকের উস্কানিতে পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের প্রশাসনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মাওলানা লোকমান আহমদ।
রোববার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনালে এক জরুরি বৈঠকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভায় মাওলানা লোকমান আহমদ নিজেদের সিদ্ধান্তসহ উল্লেখিত মন্তব্য করেন।
জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ বলেন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া শ্রমিক কর্মবিরতি ও ধর্মঘটে তারা অংশ নেবেন না। বরং তাদের মালিকানাধীন যানবাহন সড়কে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সময় তিনি সাবেক সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনি পরিবহন সেক্টরে এসে বিভ্রান্তিমূলক সিদ্ধান্ত দিয়ে যেন অস্থিরতা সৃষ্টি না করেন। যদি আপনার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো বিরোধ থাকে, তা হলে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে বসে সমাধানে আসুন।”
তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “শাহজাহান খানের চেয়ারে বসে দুদু যদি সিলেটে এসে গোপন বৈঠক করে জুলাই চেতনা নস্যাৎ করার চেষ্টা করেন, তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
মঙ্গলবার থেকে সিলেট জেলার পাথর কোয়ারি খোলাসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট জেলা সর্বস্তরের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তবে জামায়াতপন্থী পরিবহন মালিকদের সরে যাওয়ার ঘোষণায় আন্দোলনে স্পষ্ট বিভাজন তৈরি হয়েছে।
সিলেটে পাথর কোয়ারি নিয়ে আন্দোলন
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
# এটি জুলাই আন্দোলনের চেতনা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র
# ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের প্রশাসনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে
সিলেটের সকল পাথর কোয়ারি খুলে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনে সমর্থন নেই বলে জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীপন্থী পরিবহন মালিকেরা। এ আন্দোলনকে মালিক-শ্রমিকের কল্যাণহীন দাবি করে জুলাই আন্দোলনের চেতনা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করা হয়।
সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ এ ঘোষণা দেন। এতে সিলেটে চলমান পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে হঠাৎ করেই দেখা দিয়েছে নাটকীয় মোড়।
তিনি অভিযোগ করেন, পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী শাহজাহান খানের চেয়ারে বসে ফ্যাসিস্টের দোসররা ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বাসায় গোপন বৈঠক হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। একই সাথে আরিফুল হকের উস্কানিতে পাথর ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের প্রশাসনের মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন মাওলানা লোকমান আহমদ।
রোববার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টায় দক্ষিণ সুরমা বাস টার্মিনালে এক জরুরি বৈঠকে সিলেট জেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভায় মাওলানা লোকমান আহমদ নিজেদের সিদ্ধান্তসহ উল্লেখিত মন্তব্য করেন।
জামায়াত নেতা মাওলানা লোকমান আহমদ বলেন, মঙ্গলবার থেকে শুরু হতে যাওয়া শ্রমিক কর্মবিরতি ও ধর্মঘটে তারা অংশ নেবেন না। বরং তাদের মালিকানাধীন যানবাহন সড়কে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এ সময় তিনি সাবেক সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আপনি পরিবহন সেক্টরে এসে বিভ্রান্তিমূলক সিদ্ধান্ত দিয়ে যেন অস্থিরতা সৃষ্টি না করেন। যদি আপনার জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কোনো বিরোধ থাকে, তা হলে বিএনপি-জামায়াতসহ রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে বসে সমাধানে আসুন।”
তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “শাহজাহান খানের চেয়ারে বসে দুদু যদি সিলেটে এসে গোপন বৈঠক করে জুলাই চেতনা নস্যাৎ করার চেষ্টা করেন, তাহলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
মঙ্গলবার থেকে সিলেট জেলার পাথর কোয়ারি খোলাসহ পাঁচ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট জেলা সর্বস্তরের পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। তবে জামায়াতপন্থী পরিবহন মালিকদের সরে যাওয়ার ঘোষণায় আন্দোলনে স্পষ্ট বিভাজন তৈরি হয়েছে।