অতি ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরের বেশির ভাগ সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। মুহুরী নদীর পাড় ভেঙে ফুলগাজী এলাকায় দুটি দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে, যা চলতি বর্ষা মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আগামী দুই দিনও ফেনীতে মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।’
বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের কলেজ রোড, একাডেমি, কলাবাগান, হাসপাতাল মোড়, রামপুর শাহীন একাডেমি, পাঠানবাড়ি, পেট্রোবাংলা, নাজির রোড ও শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে দেখা যায়, কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরসমান পানি জমেছে। এতে দু-একটি রিকশা ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মানুষ পানি মাড়িয়ে কর্মস্থল ও গন্তব্যে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরাও ভেজা কাপড়ে স্কুল-কলেজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
ফেনী কলেজের শিক্ষার্থী রাইসা আক্তার বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে পুরো সড়ক ডুবে আছে। পানি মাড়িয়ে ভেজা কাপড়ে কলেজে যাচ্ছি। পরীক্ষা থাকায় যেতেই হচ্ছে।’ রিকশাচালক আবদুল জব্বার বলেন, ‘কোথাও কোথাও কোমরসমান পানি। রিকশা চালানো কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।’
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, সোমবার রাত থেকে বৃষ্টিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে গেছে। পানির স্রোতে দুটি দোকান নদীতে ধসে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ফুলগাজী-রাজেশপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফেনী পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন বলেন, অতি ভারী বৃষ্টিতে শহরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করতে পৌরসভার কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘জেলার সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বেড়েছে। তবে দুপুর পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। উজানে ভারী বৃষ্টি হলে পানি আরও বাড়তে পারে। ভাঙন রোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
অতি ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরের বেশির ভাগ সড়কে হাঁটুপানি জমেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। মুহুরী নদীর পাড় ভেঙে ফুলগাজী এলাকায় দুটি দোকান নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
জেলা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় ফেনীতে ৩৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে, যা চলতি বর্ষা মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আগামী দুই দিনও ফেনীতে মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।’
বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শহরের কলেজ রোড, একাডেমি, কলাবাগান, হাসপাতাল মোড়, রামপুর শাহীন একাডেমি, পাঠানবাড়ি, পেট্রোবাংলা, নাজির রোড ও শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কে দেখা যায়, কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরসমান পানি জমেছে। এতে দু-একটি রিকশা ছাড়া অন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। মানুষ পানি মাড়িয়ে কর্মস্থল ও গন্তব্যে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীরাও ভেজা কাপড়ে স্কুল-কলেজে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
ফেনী কলেজের শিক্ষার্থী রাইসা আক্তার বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে পুরো সড়ক ডুবে আছে। পানি মাড়িয়ে ভেজা কাপড়ে কলেজে যাচ্ছি। পরীক্ষা থাকায় যেতেই হচ্ছে।’ রিকশাচালক আবদুল জব্বার বলেন, ‘কোথাও কোথাও কোমরসমান পানি। রিকশা চালানো কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ।’
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, সোমবার রাত থেকে বৃষ্টিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে গেছে। পানির স্রোতে দুটি দোকান নদীতে ধসে গেছে। ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ফুলগাজী-রাজেশপুর আঞ্চলিক সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফেনী পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন বলেন, অতি ভারী বৃষ্টিতে শহরে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা দূর করতে পৌরসভার কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করছে।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম বলেন, ‘জেলার সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি বেড়েছে। তবে দুপুর পর্যন্ত পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। উজানে ভারী বৃষ্টি হলে পানি আরও বাড়তে পারে। ভাঙন রোধে আমরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’