মাত্র ৩০০ বই নিয়ে শুরু করে এখন এই গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ১২০০
ঝালকাঠি শহরের কাটপট্টি এলাকায় বাকলাই সড়কে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কবি সুফয়া কামাল গ্রন্থাগার নামে আরও একাট পাঠাগার।
২০১৫ সনে এটি গড়ে তোলেন মো. মাহমুদুল হক। যিনি মুদ্রাক্ষরিক পেশায় নিয়েজিত। গ্রন্থাগারটি সরকারের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয় ২০১৭ সনে। মূলত এটি নিজের বিবেকের তারনায় এলাকাবাসীকে বই পড়ায় উৎসাহী করতেই গড়ে তোলেন মাহমুদুল হক। এ ঠিকানায় কাঠের ঘরের বারান্দায় প্রথমে কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। মাত্র ৩০০ বই নিয়ে শুরু করে এখন এই গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ১২০০। প্রথমে নিজের আয়ের টাকায় কিছু বই ও দৈনিক পত্রিকা রাখতেন পাঠকদের জন্য। এরপর সরকারি অনুদান ও ব্যক্তি উদ্যোগে বইয়ের সংখ্যা কিছু বেড়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে পাঠকের সংখ্যা। কিন্তু স্থান স্বল্পতার জন্য পাঠকদের বসতে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এলাকাটি আবাসিক হওয়ায় এর পাশে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। তাই শিক্ষার্থীরা এখানে নিয়মিত আসে। নারী পাঠকসহ প্রবীণ ব্যক্তিরাও এখানে এসে সহজেই অবসর সময় জ্ঞান অর্জন করছে। কিন্তু স্থান সংকুলানের অভাবে সবাই একসঙ্গে বসার সুযোগ পাচ্ছে না।
মো. মাহমুদুল হক জানান, আর্থিক সংকটের কারণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও আমি এখন আমার পাকা ঘরের ছাদে লাইব্রেরির কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কিন্তু কক্ষটির দরজা, জানালা, ছাদেরটিন, বৈদ্যুতিক পাখা জরুরি। মাথার উপর পুরাতনটিনের ফাঁকা দিয়ে বৃষ্টির পানি পরে পাঠকদের জ্ঞান অর্জনে ব্যাঘাত ঘটছে। দমকা বাতাসে বই কাগজপত্র উড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানি ভিতরে প্রবেশ করায় পাঠকরা ও বই ভিজে যাচ্ছে। আবার গরমে বৈদ্যুতিক পাখা না থাকায় বসা যাচ্ছে না। এসব সমস্যা সমাধানে এবং কক্ষটি সম্প্রসারণে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তি সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সমাজের স্বাচ্ছল ব্যক্তিরা গ্রন্থাগারটির উন্নয়নে এগিয়ে এলে শিশু কিশোরদের বই পরায় উৎসাহী হবে। এটির পরিবেশ আরও ভালো হলে তারা এখানে এসে অবসর কাটানোর পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। যুব সমাজ মাদকসহ মোবাইল আসক্তে আগ্রহ হারিয়ে বইয়ের প্রতি আগ্রহী হবে। তাই বিশেষ করে বর্তমান জেলা প্রশাসক স্যারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। পাশাপাশি আমি সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিদের গ্রন্থাগারটির উন্নয়নে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। এভাবে প্রতিটি এলাকায় বই পড়ায় উৎসাহিত করতে নিজ উদ্দ্যোগে গ্রন্থাগার করার আহ্বান জানাচ্ছি।
মাত্র ৩০০ বই নিয়ে শুরু করে এখন এই গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ১২০০
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
ঝালকাঠি শহরের কাটপট্টি এলাকায় বাকলাই সড়কে ব্যক্তি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে কবি সুফয়া কামাল গ্রন্থাগার নামে আরও একাট পাঠাগার।
২০১৫ সনে এটি গড়ে তোলেন মো. মাহমুদুল হক। যিনি মুদ্রাক্ষরিক পেশায় নিয়েজিত। গ্রন্থাগারটি সরকারের রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্ত হয় ২০১৭ সনে। মূলত এটি নিজের বিবেকের তারনায় এলাকাবাসীকে বই পড়ায় উৎসাহী করতেই গড়ে তোলেন মাহমুদুল হক। এ ঠিকানায় কাঠের ঘরের বারান্দায় প্রথমে কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। মাত্র ৩০০ বই নিয়ে শুরু করে এখন এই গ্রন্থাগারে বইয়ের সংখ্যা ১২০০। প্রথমে নিজের আয়ের টাকায় কিছু বই ও দৈনিক পত্রিকা রাখতেন পাঠকদের জন্য। এরপর সরকারি অনুদান ও ব্যক্তি উদ্যোগে বইয়ের সংখ্যা কিছু বেড়েছে। সেই সঙ্গে বৃদ্ধি পাচ্ছে পাঠকের সংখ্যা। কিন্তু স্থান স্বল্পতার জন্য পাঠকদের বসতে দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এলাকাটি আবাসিক হওয়ায় এর পাশে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে। তাই শিক্ষার্থীরা এখানে নিয়মিত আসে। নারী পাঠকসহ প্রবীণ ব্যক্তিরাও এখানে এসে সহজেই অবসর সময় জ্ঞান অর্জন করছে। কিন্তু স্থান সংকুলানের অভাবে সবাই একসঙ্গে বসার সুযোগ পাচ্ছে না।
মো. মাহমুদুল হক জানান, আর্থিক সংকটের কারণে অবকাঠামোগত উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। যদিও আমি এখন আমার পাকা ঘরের ছাদে লাইব্রেরির কার্যক্রম পরিচালনা করছি। কিন্তু কক্ষটির দরজা, জানালা, ছাদেরটিন, বৈদ্যুতিক পাখা জরুরি। মাথার উপর পুরাতনটিনের ফাঁকা দিয়ে বৃষ্টির পানি পরে পাঠকদের জ্ঞান অর্জনে ব্যাঘাত ঘটছে। দমকা বাতাসে বই কাগজপত্র উড়ে যাচ্ছে। বৃষ্টির পানি ভিতরে প্রবেশ করায় পাঠকরা ও বই ভিজে যাচ্ছে। আবার গরমে বৈদ্যুতিক পাখা না থাকায় বসা যাচ্ছে না। এসব সমস্যা সমাধানে এবং কক্ষটি সম্প্রসারণে সরকারি অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তি সহযোগিতা প্রয়োজন। তিনি বলেন, সমাজের স্বাচ্ছল ব্যক্তিরা গ্রন্থাগারটির উন্নয়নে এগিয়ে এলে শিশু কিশোরদের বই পরায় উৎসাহী হবে। এটির পরিবেশ আরও ভালো হলে তারা এখানে এসে অবসর কাটানোর পাশাপাশি জ্ঞান অর্জন করতে পারবে। যুব সমাজ মাদকসহ মোবাইল আসক্তে আগ্রহ হারিয়ে বইয়ের প্রতি আগ্রহী হবে। তাই বিশেষ করে বর্তমান জেলা প্রশাসক স্যারের সুদৃষ্টি কামনা করছি। পাশাপাশি আমি সমাজের স্বচ্ছল ব্যক্তিদের গ্রন্থাগারটির উন্নয়নে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাচ্ছি। এভাবে প্রতিটি এলাকায় বই পড়ায় উৎসাহিত করতে নিজ উদ্দ্যোগে গ্রন্থাগার করার আহ্বান জানাচ্ছি।