সৈয়দপুর (নীলফামারী) : খড়খড়িয়া নদী থেকে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে -সংবাদ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে এক বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এতে করে নদীর পাড়সংলগ্ন বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদীতে বিলীন হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। এতে করে নদী সংলগ্ন আবাদি জমি ভেঙ্গে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা জমি হারিয়ে ভূমিহীনে পরিণত হচ্ছেন।
জানা যায়, শহরের কুন্দল এলাকায় ইকু পেপার মিলের উত্তরে খড়খড়িয়া নদী থেকে দিনে-দুপুরে অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। ওই বালুখেকো প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় বাধা দেয়ার সাহস পাচ্ছেন নাভুক্তভোগীরা। এ অবস্থায় গত ২৪ জুন শহরের নতুন বাবুপাড়া কলেজ রোড এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক সাফিয়া খাতুনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম নীলফামারী জেলা প্রশাসক, সৈয়দপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী, সৈয়দপুর ইউএনও এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের রংপুর জেলা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগের এক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এতে করে নদী সংলগ্ন জমির মালিকরা বিপাকে পড়েছেন।
অভিযোগ মতে, শহরের নতুন বাবুপাড়ার বাসিন্দা সুফিয়া খাতুন ২০০৫ সালে কুন্দল এলাকায় খড়খড়িয়া নদীর পাড়ে ৭২ শতক জমি ক্রয় করেন। সেই সময় থেকে ওই জমি আবাদ করে আসছেন। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে কুন্দল পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তি শ্যালো মেশিন বসিয়ে খড়খড়িয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালু ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এই বালু ব্যবসায়ীর দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জিম্মী হয়ে পড়েছেন। প্রতিকার পেতে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দেয়ার পরও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে জমির মালিক সুফিয়া খাতুনের ১১ শতক আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্য জমি মালিকদের জমিও ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ভাঙ্গন কবলিত জমি সরকারি খাস সম্পত্তিতে পরিণত হচ্ছে। ফলে জমি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়ছেন নদী পাড়ের জমি মালিকরা। অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্তরা জমির ভাঙন রোধে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে অভিযোগ দেয়ার পরও প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় ওই বালুখেকো ব্যবসায়ী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। আইনের তোয়াক্কাই না করে প্রকাশ্য বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। এ নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ না হওয়ায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই আলম সিদ্দিকী অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সৈয়দপুর (নীলফামারী) : খড়খড়িয়া নদী থেকে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন চলছে -সংবাদ
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
নীলফামারীর সৈয়দপুরে খড়খড়িয়া নদীতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে এক বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। এতে করে নদীর পাড়সংলগ্ন বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি ভাঙ্গনের কবলে পড়ে নদীতে বিলীন হচ্ছে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত জমি মালিকদের পক্ষ থেকে প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিলেও কোন প্রতিকার মেলেনি। এতে করে নদী সংলগ্ন আবাদি জমি ভেঙ্গে পড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত মালিকরা জমি হারিয়ে ভূমিহীনে পরিণত হচ্ছেন।
জানা যায়, শহরের কুন্দল এলাকায় ইকু পেপার মিলের উত্তরে খড়খড়িয়া নদী থেকে দিনে-দুপুরে অবাধে তোলা হচ্ছে বালু। ওই বালুখেকো প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ায় বাধা দেয়ার সাহস পাচ্ছেন নাভুক্তভোগীরা। এ অবস্থায় গত ২৪ জুন শহরের নতুন বাবুপাড়া কলেজ রোড এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিক সাফিয়া খাতুনের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম নীলফামারী জেলা প্রশাসক, সৈয়দপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী, সৈয়দপুর ইউএনও এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের রংপুর জেলা দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু অভিযোগের এক মাস পেরিয়ে গেলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। বরং প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ হচ্ছে না। এতে করে নদী সংলগ্ন জমির মালিকরা বিপাকে পড়েছেন।
অভিযোগ মতে, শহরের নতুন বাবুপাড়ার বাসিন্দা সুফিয়া খাতুন ২০০৫ সালে কুন্দল এলাকায় খড়খড়িয়া নদীর পাড়ে ৭২ শতক জমি ক্রয় করেন। সেই সময় থেকে ওই জমি আবাদ করে আসছেন। কিন্তু ২০১৪ সাল থেকে কুন্দল পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রভাবশালী এক ব্যক্তি শ্যালো মেশিন বসিয়ে খড়খড়িয়া নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে বালু ব্যবসা চালিয়ে আসছেন। এই বালু ব্যবসায়ীর দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা জিম্মী হয়ে পড়েছেন। প্রতিকার পেতে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দেয়ার পরও অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ইতোমধ্যে জমির মালিক সুফিয়া খাতুনের ১১ শতক আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া অন্য জমি মালিকদের জমিও ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বিলিন হয়ে যাচ্ছে। এতে করে ভাঙ্গন কবলিত জমি সরকারি খাস সম্পত্তিতে পরিণত হচ্ছে। ফলে জমি হারিয়ে ভূমিহীন হয়ে পড়ছেন নদী পাড়ের জমি মালিকরা। অভিযোগে ক্ষতিগ্রস্তরা জমির ভাঙন রোধে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করাসহ বালু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে অভিযোগ দেয়ার পরও প্রশাসন নিশ্চুপ থাকায় ওই বালুখেকো ব্যবসায়ী আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। আইনের তোয়াক্কাই না করে প্রকাশ্য বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছেন। এ নিয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলার জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও যোগাযোগ না হওয়ায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই আলম সিদ্দিকী অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।