প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাবার ২ বছর ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আজও বৃত্তির টাকা পায়নি মাতৃহারা মেধাবী ছাত্রী সিদরাতুল মোনতাহা। তার পরিবর্তে বৃত্তি না পেয়েও ওই টাকা পাচ্ছে প্রিয়ন্তী রানীর নামের এক ছাত্রী।
সিদরাতুল মোনতাহা বর্তমানে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। মাদারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সিদরাতুল মোনতাহার ট্যালেন্টপুলের বৃত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর আগেই তার কাগজপত্র জাল জালিয়াতি করে উপজেলার দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর বৃত্তি না পাওয়া ছাত্রী প্রিয়ন্তী রানীর নামে ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠিয়ে দেন ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। প্রিয়ন্তী বৃত্তি না পেয়েও বৃত্তির টাকা পাচ্ছে। আর ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির টাকা পাচ্ছনা সিদরাতুল মুনতাহার। এ ভাবেই অতিবাহিত হয়েছে ২ বছর ৬ মাস। এদিকে বৃত্তি না পেয়েও প্রিয়ন্তী বৃত্তির টাকা পাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সিদরাতুল মোনতাহার কাগজপত্র জাল-জালিয়াতী করে প্রিয়ন্তীর নামে পাঠানোর ঘটনাটি। একবারপুর কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আসমা খাতুন- জানান, তার বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সিদরাতুল মোনতাহা ও প্রিয়ন্তী অংশগ্রহণ করে। সিদরাতুল মোনতাহা ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। সিদরাতুল মোনতাহার আইডি নং ১১২০২২৭০৫০৪০০৯১০ রোল নম্বর- ম-৯১০। আমার বিদ্যালয়ের অপর পরীক্ষার্থী ছাত্রী প্রিয়ন্তী বৃত্তি পায়নি। আমি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাাপ্তীর যাবতীয় কাগজপত্র সিদরাতুল মোনতাহাকে দিয়েছি তখনই। আমি সাম্প্রতিক সময়ে জানতে পেরেছি মোনতাহা বৃত্তির টাকা পাচ্ছে না। বৃত্তি না পেয়েও টাকা পাচ্ছে প্রিয়ন্তী। বিষয়টি দুঃখ জনক। প্রিয়ন্তী বৃত্তি পায়নি সূতরাং তাকে বৃত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। এ বিষয়ে আমার কিছুই করার নেই। এ দায় দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ জেড এম তৈয়মুর রহমান বলেন, প্রিয়ন্তীর নামে ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ কাগজ পত্র পাঠিয়েছে করনীক। বিষয়টি জানার পর ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলা বন্ধ করা হয়েছে।
সিদরাতুল মুনতাহার বাবা মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমার মাতৃহারা মেয়েটি ট্যালেন্টপুলে প্রাথমিকের বৃত্তি প্রাপ্তীর ৩০ মাস গত হয়েছে। দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেরামতির কারণে আমার মেয়ে বৃত্তির টাকা পাচ্ছে না। ফলাফলসিট ঘষামাজা করে বৃত্তি না পাওয়া প্রিয়ন্তী নামে অন্য এক ছাত্রীর কাগজ জমা দিয়েছে। তার নামেই টাকা আসছে। আমি বিষয়টি নিয়ে দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের হেড মাস্টার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দীর্ঘদিন ধরে ঘোরা ফিরা করে কোন ফল পায়নি। আমার মেয়ে ট্যালেন্বাটপুলে বৃত্তি পেয়েও বৃত্তির সম্মানী না পাওয়ায় হতাশ হয়েছে। বাধ্য হয়ে গত ২৫ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির নিকট এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পাবার ২ বছর ৬ মাস অতিবাহিত হলেও আজও বৃত্তির টাকা পায়নি মাতৃহারা মেধাবী ছাত্রী সিদরাতুল মোনতাহা। তার পরিবর্তে বৃত্তি না পেয়েও ওই টাকা পাচ্ছে প্রিয়ন্তী রানীর নামের এক ছাত্রী।
সিদরাতুল মোনতাহা বর্তমানে ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী। মাদারগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সিদরাতুল মোনতাহার ট্যালেন্টপুলের বৃত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর আগেই তার কাগজপত্র জাল জালিয়াতি করে উপজেলার দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর বৃত্তি না পাওয়া ছাত্রী প্রিয়ন্তী রানীর নামে ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠিয়ে দেন ওই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। প্রিয়ন্তী বৃত্তি না পেয়েও বৃত্তির টাকা পাচ্ছে। আর ট্যালেন্টপুলে বৃত্তির টাকা পাচ্ছনা সিদরাতুল মুনতাহার। এ ভাবেই অতিবাহিত হয়েছে ২ বছর ৬ মাস। এদিকে বৃত্তি না পেয়েও প্রিয়ন্তী বৃত্তির টাকা পাওয়ার কারণ অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সিদরাতুল মোনতাহার কাগজপত্র জাল-জালিয়াতী করে প্রিয়ন্তীর নামে পাঠানোর ঘটনাটি। একবারপুর কালিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা আসমা খাতুন- জানান, তার বিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় সিদরাতুল মোনতাহা ও প্রিয়ন্তী অংশগ্রহণ করে। সিদরাতুল মোনতাহা ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। সিদরাতুল মোনতাহার আইডি নং ১১২০২২৭০৫০৪০০৯১০ রোল নম্বর- ম-৯১০। আমার বিদ্যালয়ের অপর পরীক্ষার্থী ছাত্রী প্রিয়ন্তী বৃত্তি পায়নি। আমি ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাাপ্তীর যাবতীয় কাগজপত্র সিদরাতুল মোনতাহাকে দিয়েছি তখনই। আমি সাম্প্রতিক সময়ে জানতে পেরেছি মোনতাহা বৃত্তির টাকা পাচ্ছে না। বৃত্তি না পেয়েও টাকা পাচ্ছে প্রিয়ন্তী। বিষয়টি দুঃখ জনক। প্রিয়ন্তী বৃত্তি পায়নি সূতরাং তাকে বৃত্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র দেয়ার প্রশ্নই আসেনা। এ বিষয়ে আমার কিছুই করার নেই। এ দায় দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ জেড এম তৈয়মুর রহমান বলেন, প্রিয়ন্তীর নামে ব্যাংক হিসাব নম্বরসহ কাগজ পত্র পাঠিয়েছে করনীক। বিষয়টি জানার পর ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তোলা বন্ধ করা হয়েছে।
সিদরাতুল মুনতাহার বাবা মোসলেম উদ্দীন বলেন, আমার মাতৃহারা মেয়েটি ট্যালেন্টপুলে প্রাথমিকের বৃত্তি প্রাপ্তীর ৩০ মাস গত হয়েছে। দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কেরামতির কারণে আমার মেয়ে বৃত্তির টাকা পাচ্ছে না। ফলাফলসিট ঘষামাজা করে বৃত্তি না পাওয়া প্রিয়ন্তী নামে অন্য এক ছাত্রীর কাগজ জমা দিয়েছে। তার নামেই টাকা আসছে। আমি বিষয়টি নিয়ে দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের হেড মাস্টার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে দীর্ঘদিন ধরে ঘোরা ফিরা করে কোন ফল পায়নি। আমার মেয়ে ট্যালেন্বাটপুলে বৃত্তি পেয়েও বৃত্তির সম্মানী না পাওয়ায় হতাশ হয়েছে। বাধ্য হয়ে গত ২৫ জুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও দশ মৌজা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতির নিকট এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।