জীবিকার তাগিদে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেঁচো পোকা নারিকেলের সলার মধ্যে ডুকিয়ে কুইচ্চা মাছ শিকারের জন্য ছোট ছোট খাঁচা ফেলছেন খোকন। প্রায় সময় তাকে মাছ শিকার করার জন্য সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া এলাকায় দেখা যায়।
তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার মরিচ খালি গ্রামে। স্ত্রী ৫ মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তিনি। টানপোড়নের সংসারে স্ত্রী ও মেয়েরাও স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করে থাকেন।
পিপুলিয়া এলাকায় বিভিন্ন ডোবায় গত দুই বছর যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিন দুপুর থেকে মাছের খাঁচা ফেলেন খোকন। এবং পরদিন সকালবেলা এসে খাঁচাগুলো তুলে নেন। আর এতেই আটকা পরে কুইচ্চা মাছ। মাছ শিকারি খোকন জানান, প্রতিদিন ১ থেকে ৩ কেজি মাছ পেয়ে থাকেন তিনি। আর ৪০ থেকে ৫০ কেজি মাছ একসাথ হলে তা বিক্রি করতে নিয়ে যান মতলব ফেরিঘাটে। প্রতি কেজি কুইচ্চা মাছ বিক্রি হয় ৩শ থেকে ৪ শ টাকা। পানি থেকে সাবধানে খাঁচা তুলে বস্তার মধ্যে ফেলতে হয়। কেননা, সাপের ভয়ও যে প্রতিনিয়ত তারা করে বেড়ায়।
ছকিনা বিবি নামক একজন মধ্যবয়স্ক নারী বলেন, আমি প্রতিদিন দেখি এই লোকটা এখানে এসে খাঁচা ফেলে যায়। এবং পরদিন এসে কুইচ্চা মাছ দরে। এইদিকে তো ডোবা এলাকা তাই সে কুইচ্চা মাছও বেশি পায়।
একদিন মাছের খাঁচায় সাপ ধরেছিল খোকন। তবুও বসে নেই খোকন কর্ম চালিয়ে যাওয়ার নামই জীবন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা মৎস অফিসার অর্ণব চৌধুরী বলেন, এই জাতীয় মানুষদের কিছু প্রণোদনা কিংবা রাজস্ব খাত থেকে সহযোগীতা করার প্রকল্প রয়েছে। এ এলাকায় সুযোগ নেই। তবুও আমরা আশা করছি নিম্ন আয়ের মৎস শিকারীদের জন্য একটা প্রকল্প নিয়ে আসার জন্য যদি আসে সেক্ষেত্রে আমরা তাদের জন্য কিছু একটা করতে পারবো।
মঙ্গলবার, ০৮ জুলাই ২০২৫
জীবিকার তাগিদে রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে কেঁচো পোকা নারিকেলের সলার মধ্যে ডুকিয়ে কুইচ্চা মাছ শিকারের জন্য ছোট ছোট খাঁচা ফেলছেন খোকন। প্রায় সময় তাকে মাছ শিকার করার জন্য সদর দক্ষিণ উপজেলার পিপুলিয়া এলাকায় দেখা যায়।
তার বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার মরিচ খালি গ্রামে। স্ত্রী ৫ মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তার সংসার। দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে তিনি। টানপোড়নের সংসারে স্ত্রী ও মেয়েরাও স্থানীয় একটি ইটভাটায় কাজ করে থাকেন।
পিপুলিয়া এলাকায় বিভিন্ন ডোবায় গত দুই বছর যাবৎ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। প্রতিদিন দুপুর থেকে মাছের খাঁচা ফেলেন খোকন। এবং পরদিন সকালবেলা এসে খাঁচাগুলো তুলে নেন। আর এতেই আটকা পরে কুইচ্চা মাছ। মাছ শিকারি খোকন জানান, প্রতিদিন ১ থেকে ৩ কেজি মাছ পেয়ে থাকেন তিনি। আর ৪০ থেকে ৫০ কেজি মাছ একসাথ হলে তা বিক্রি করতে নিয়ে যান মতলব ফেরিঘাটে। প্রতি কেজি কুইচ্চা মাছ বিক্রি হয় ৩শ থেকে ৪ শ টাকা। পানি থেকে সাবধানে খাঁচা তুলে বস্তার মধ্যে ফেলতে হয়। কেননা, সাপের ভয়ও যে প্রতিনিয়ত তারা করে বেড়ায়।
ছকিনা বিবি নামক একজন মধ্যবয়স্ক নারী বলেন, আমি প্রতিদিন দেখি এই লোকটা এখানে এসে খাঁচা ফেলে যায়। এবং পরদিন এসে কুইচ্চা মাছ দরে। এইদিকে তো ডোবা এলাকা তাই সে কুইচ্চা মাছও বেশি পায়।
একদিন মাছের খাঁচায় সাপ ধরেছিল খোকন। তবুও বসে নেই খোকন কর্ম চালিয়ে যাওয়ার নামই জীবন।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা মৎস অফিসার অর্ণব চৌধুরী বলেন, এই জাতীয় মানুষদের কিছু প্রণোদনা কিংবা রাজস্ব খাত থেকে সহযোগীতা করার প্রকল্প রয়েছে। এ এলাকায় সুযোগ নেই। তবুও আমরা আশা করছি নিম্ন আয়ের মৎস শিকারীদের জন্য একটা প্রকল্প নিয়ে আসার জন্য যদি আসে সেক্ষেত্রে আমরা তাদের জন্য কিছু একটা করতে পারবো।