বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে নিজ ঘর থেকে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও তার পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের হাত-পা বাঁধা এবং গলায় ফাঁস লাগানো ছিল।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান।
নিহতরা হলেন—লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আফতাব হোসেন (৭০) এবং তার বড় ছেলে সৌদি প্রবাসী শাহজাহানের স্ত্রী রিভা খাতুন (২৮)।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে দুইজনকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে। সকালে রিভার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে মালিহা ঘুম থেকে উঠে তার মাকে অচেতন অবস্থায় দেখে প্রতিবেশীদের ডাক দেয়। তারা এসে দেখতে পান—রিভা ও তার শ্বশুর আফতাব হোসেন উভয়েই হাত-পা বাঁধা এবং গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মৃত পড়ে আছেন।
রিভার ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল। স্বজনদের দাবি, দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার মোটিভ নিশ্চিত হতে পারেনি কেউ।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, “রিভার ঘরের আসবাবপত্রগুলো তছনছ ছিল। সম্ভবত লুট করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। তবে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।”
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লুটপাট, পারিবারিক বিরোধ, অথবা পূর্বশত্রুতার মতো সম্ভাব্য সব দিক মাথায় রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্ব শত্রুতা, পারিবারিক বিরোধ কিংবা চুরির উদ্দেশ্যে হামলাসহ সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে।”
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার জিয়ানগর ইউনিয়নের লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে নিজ ঘর থেকে এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও তার পুত্রবধূর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতদের হাত-পা বাঁধা এবং গলায় ফাঁস লাগানো ছিল।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) রাতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে বলে জানিয়েছেন বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান।
নিহতরা হলেন—লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের বাসিন্দা ও অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসা শিক্ষক আফতাব হোসেন (৭০) এবং তার বড় ছেলে সৌদি প্রবাসী শাহজাহানের স্ত্রী রিভা খাতুন (২৮)।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, রাতের কোনো এক সময় দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে দুইজনকে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে। সকালে রিভার পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে মালিহা ঘুম থেকে উঠে তার মাকে অচেতন অবস্থায় দেখে প্রতিবেশীদের ডাক দেয়। তারা এসে দেখতে পান—রিভা ও তার শ্বশুর আফতাব হোসেন উভয়েই হাত-পা বাঁধা এবং গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় মৃত পড়ে আছেন।
রিভার ঘরের আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থায় পড়ে ছিল। স্বজনদের দাবি, দুর্বৃত্তরা ঘরে ঢুকে কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হত্যার মোটিভ নিশ্চিত হতে পারেনি কেউ।
স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, “রিভার ঘরের আসবাবপত্রগুলো তছনছ ছিল। সম্ভবত লুট করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিতভাবে হত্যাকাণ্ডটি ঘটানো হয়েছে। তবে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ থেকেও এমন ঘটনা ঘটতে পারে।”
পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে লুটপাট, পারিবারিক বিরোধ, অথবা পূর্বশত্রুতার মতো সম্ভাব্য সব দিক মাথায় রেখে তদন্ত শুরু হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে পূর্ব শত্রুতা, পারিবারিক বিরোধ কিংবা চুরির উদ্দেশ্যে হামলাসহ সম্ভাব্য সব দিক বিবেচনায় তদন্ত চলছে।”