খুলনা জেলার পাইলটপ্লান্ট উপজেলা ডুমুরিয়া। এ উপজেলায় রয়েছে ১৪টি ইউনিয়ন। ডুমুরিয়া সদর ছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় আকারের হাটবাজার। সেসব বাজারে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সবজি ও মাছের দাম। গত সপ্তাহ থেকে সব সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দিগুণ হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
দাম বাড়ার পেছনে কোন সিন্ডিকেট নেই। অতি বৃষ্টির দরুণ এমনটা হচ্ছে
গত মঙ্গলবার ডুমুরিয়া সদরের নতুন বাজার, সাপ্তাহিক হাটের পুরাতন বাজার, চুকনগর বাজার, আঠারো মাইল বাজার, সাহাপুর বাজার, থুকড়া বাজার, বানিয়াখালি বাজার, নোয়াকাটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পুঁইশাক ৩০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা প্রতি পিস, লাল শাক কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ১৩০-১৫০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা কেজি, আলু ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা ২৫ টাকা হালি, শসা ৭০-৮০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা এবং রসুন ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, কই মাছ ২০০-২৫০ টাকা কেজি, রুই মাছ ২৫০-৩০০, টেংরা ৪০০-৫০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-২০০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা এবং পাঙাস মাছ ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়েছে। বর্ষায় ক্রেতাও কম, সবজির সরবরাহও কম। ডুমুরিয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা একটু কম। এ ছাড়া সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজারের থেকে সামান্য লাভে খুচরা বাজারে সবজি বিক্রি করা হয়। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে সবজির দাম কমতে পারে।
চুকনগর বাজারে মাছ বিক্রেতা অজয় সরকার বলেন, মাছের বাজারে এক সপ্তাহ ধরে ক্রেতা নেই বললেই চলে। দাম কিছুটা বেড়েছে ঠিকই কিন্তু মাছ কেনার লোক নাই। এজন্য মাছের বাজার ঠান্ডা। মাছ বিক্রি করে লাভ করা কঠিন হয়ে পড়েছ। বানিয়াখালি বাজারের ক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, শাকসবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। মুরগির দামও অনেকটা বেড়েছে। তবে এভাবে বাড়তে থাকলে সবজি ৬০-৭০ টাকা দিয়েও কিনতে হতে পারে। থুকড়া বাজারে আসা আবদুল করিম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম বেড়েছে। কাচা মরিচের দাম কেজিতে প্রায় ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আঠারো মাইল পাইকারি কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও বিজন কুমার বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে সবজি সরবরাহ অনেকটা কমে গেছে। এজন্য সব ধরনের সবজিতে পাঁচ থেকে দশ টাকা দাম বেড়েছে। তবে সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম আবারো কমে আসবে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, অতিবৃষ্টির কারণে এমনটা হচ্ছে। ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের নতুন বাজার কমিটির সভাপতিও জানান, এই দাম বাড়ার পিছনে কোন সিন্ডিকেট নেই। অতিবৃষ্টির দরুণ এমনটা হচ্ছে।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
খুলনা জেলার পাইলটপ্লান্ট উপজেলা ডুমুরিয়া। এ উপজেলায় রয়েছে ১৪টি ইউনিয়ন। ডুমুরিয়া সদর ছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে রয়েছে বেশ কয়েকটি বড় আকারের হাটবাজার। সেসব বাজারে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সবজি ও মাছের দাম। গত সপ্তাহ থেকে সব সবজির দাম কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়েছে। কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দিগুণ হয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি বৃষ্টির কারণে বাজারে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
দাম বাড়ার পেছনে কোন সিন্ডিকেট নেই। অতি বৃষ্টির দরুণ এমনটা হচ্ছে
গত মঙ্গলবার ডুমুরিয়া সদরের নতুন বাজার, সাপ্তাহিক হাটের পুরাতন বাজার, চুকনগর বাজার, আঠারো মাইল বাজার, সাহাপুর বাজার, থুকড়া বাজার, বানিয়াখালি বাজার, নোয়াকাটি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সবজির বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পুঁইশাক ৩০ টাকা, বেগুন ৪০-৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৩০ টাকা, করলা ৪০-৫০ টাকা, লাউ ৫০ টাকা প্রতি পিস, লাল শাক কেজি ৩০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা কেজি, ঢেঁড়স ৫০-৬০ টাকা কেজি, কাঁচামরিচ ১৩০-১৫০ টাকা কেজি, মিষ্টিকুমড়া ৩০ টাকা কেজি, আলু ২৫-৩০ টাকা, কাঁচকলা ২৫ টাকা হালি, শসা ৭০-৮০ টাকা কেজি, পেঁয়াজ ৬০-৭০ টাকা এবং রসুন ১০০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা কেজি, সোনালি মুরগি ২৮০-২৯০ টাকা, লেয়ার মুরগি ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি এবং খাসির মাংস ১১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে, কই মাছ ২০০-২৫০ টাকা কেজি, রুই মাছ ২৫০-৩০০, টেংরা ৪০০-৫০০, পাবদা ৩৫০-৪০০, চিংড়ি ৫০০-৬০০ টাকা, ছোট মাছ ২৫০-৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৫০-২০০ টাকা, ভেটকি মাছ ৪০০-৫০০ টাকা এবং পাঙাস মাছ ১৫০-১৬০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে।
খুচরা সবজি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়েছে। বর্ষায় ক্রেতাও কম, সবজির সরবরাহও কম। ডুমুরিয়া বাজারের সবজি বিক্রেতা রমজান আলী বলেন, বৃষ্টির কারণে বাজারে ক্রেতা একটু কম। এ ছাড়া সবজির সরবরাহ কম থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে পাইকারি বাজারের থেকে সামান্য লাভে খুচরা বাজারে সবজি বিক্রি করা হয়। সরবরাহ বৃদ্ধি পেলে সবজির দাম কমতে পারে।
চুকনগর বাজারে মাছ বিক্রেতা অজয় সরকার বলেন, মাছের বাজারে এক সপ্তাহ ধরে ক্রেতা নেই বললেই চলে। দাম কিছুটা বেড়েছে ঠিকই কিন্তু মাছ কেনার লোক নাই। এজন্য মাছের বাজার ঠান্ডা। মাছ বিক্রি করে লাভ করা কঠিন হয়ে পড়েছ। বানিয়াখালি বাজারের ক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, শাকসবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। মুরগির দামও অনেকটা বেড়েছে। তবে এভাবে বাড়তে থাকলে সবজি ৬০-৭০ টাকা দিয়েও কিনতে হতে পারে। থুকড়া বাজারে আসা আবদুল করিম বলেন, বাজারে সব সবজির দাম বেড়েছে। কাচা মরিচের দাম কেজিতে প্রায় ৫০-৬০ টাকা বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় মুরগির দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। আঠারো মাইল পাইকারি কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম ও বিজন কুমার বলেন, গত দুই সপ্তাহ ধরে সবজি সরবরাহ অনেকটা কমে গেছে। এজন্য সব ধরনের সবজিতে পাঁচ থেকে দশ টাকা দাম বেড়েছে। তবে সবজির সরবরাহ বাড়লে দাম আবারো কমে আসবে। তাদের বক্তব্য হচ্ছে, অতিবৃষ্টির কারণে এমনটা হচ্ছে। ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের নতুন বাজার কমিটির সভাপতিও জানান, এই দাম বাড়ার পিছনে কোন সিন্ডিকেট নেই। অতিবৃষ্টির দরুণ এমনটা হচ্ছে।