বরুড়া (কুমিল্লা) : খেত থেকে উত্তোলন করা শসার স্তূপ -সংবাদ
কুমিল্লার শস্যভারখ্যাত বরুড়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে স্থানীয় জাতের শসার আবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে শসার আবাদ হয়ে থাকলেও উপজেলার মুগুজি, শরাপতি, মহেশপুর, পৌরশহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ব্যপকভাবে শসার আবাদ করে থাকেন এখানকার কৃষকেরা।
আবাদকৃত সুমিষ্ট, সুস্বাদু স্থানীয় জাতের এ শসা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ হয়ে থাকে
একদিকে বাজারে এ সবজি ফসলটির ব্যপক চাহিদা থাকায় অপর দিকে অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর আবাদ করে লাভের পরিমান বেশি হওয়ায় বছরে রবি এবং খরিপ এই দুই মৌসুমে এ সবজি ফসলটির আবাদ করে থাকেন কৃষকেরা।
চলতি খরিপ মৌসুমে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের শসার আবাদ হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছেন। আর এ আবাদকৃত সুমিষ্ট, সুস্বাদু স্থানীয় জাতের এ শসা এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ হয়ে থাকে। কৃষক মো. তোফায়েল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি তার ৬০ শতক জমিতে স্থানীয় জাতের শসা আবাদ করেছেন। এতে উৎপাদত ব্যায় হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত শসা তিনি বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকা। এতে তিনি আর্থিক ভাবে লাভবান ৪০ হাজার টাকা। কৃষক মো. মোসলেম মিয়া জানান, তিনি তার ৭৮ শতক জমিতে স্থানীয় জাতের শসার আবাদ করেছেন। এতে তার উৎপাদন বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। আর উৎপাদিত শসা বিক্রি করেছেন প্রায় দেড় লাখ টাকা।
লাভ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি জানান, বছরে দুই বার অগ্রহায়ন-পৌষ মাস তথা রবি মৌসুমে এবং বৈশাখ মাস তথা খরিপ মৌসুমে তারা শসার আবাদ করে থাকেন। ধান ফসলের চেয়ে অধিক লাভবান হওয়ার কারনে তারা এ শসা সবজি জাতীয় ফসলটি আবাদ করে থাকেন। বাজারে এর চাহিদা রয়েছে বেশী, দামে ও তারা লাভবান হচ্ছেন। ফলে তারা আর্থিক ভাবে অধিক লাভবান হচ্ছেন। যার ফলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে সমৃদ্ধিতে বসবাস করে আসছেন। আর এ সবজি ফসলটি আবাদে তারা স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শসহ বিষমুক্ত শসা আবাদে নানা প্রযুক্তির সাহায়তাও পেয়ে থাকেন বলে তারা জানিয়েছেন।
চলতি মৌসুমে তারা কেজি প্রতি ৪০ থেতে ৫০ টাকা দরে শসা বিক্রি করেছেন। অন্য কৃষকেরাও একই অভিমত ব্যক্ত করেন। সবজি বেপারী মোসলেম মিয়া, মো. মনির হোসেন জানান তারা প্রায় ৩৭ বছর যাবৎ এ এলাকা থেকে স্থানীয় জাতের শসা কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে স্থানীয় বাজারসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, উত্তর বঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকেন। এতে তারও লাভবান হচ্ছেন।
তারা এখানকার কৃষক কাছ থেকে প্রায় ৪শত থেকে ৫ শত মন শসা ক্রয় করে থাকেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, বরুড়া উপজেলার কৃষকেরা স্থানীয় জাতের শসার আবাদ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে ছাহিদা মিটিয়ে দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ হচ্ছে শসা নামক এসবজি ফসলটি। কৃষি বিভাগ থেকে এ ফসলটি আবাদে কৃষকদেরকে যথাযথ পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিষমুক্ত তথা জৈব পদ্ধতিতে শসা আবাদে প্রযুক্তির প্রশিক্ষন সহ নানা উপাদান সরবরাহ হয়ে থাকে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বরুড়া (কুমিল্লা) : খেত থেকে উত্তোলন করা শসার স্তূপ -সংবাদ
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার শস্যভারখ্যাত বরুড়ায় অন্যান্য ফসলের চেয়ে স্থানীয় জাতের শসার আবাদ করে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষিপ্তভাবে শসার আবাদ হয়ে থাকলেও উপজেলার মুগুজি, শরাপতি, মহেশপুর, পৌরশহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকায় ব্যপকভাবে শসার আবাদ করে থাকেন এখানকার কৃষকেরা।
আবাদকৃত সুমিষ্ট, সুস্বাদু স্থানীয় জাতের এ শসা উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ হয়ে থাকে
একদিকে বাজারে এ সবজি ফসলটির ব্যপক চাহিদা থাকায় অপর দিকে অন্যান্য ফসলের তুলনায় এর আবাদ করে লাভের পরিমান বেশি হওয়ায় বছরে রবি এবং খরিপ এই দুই মৌসুমে এ সবজি ফসলটির আবাদ করে থাকেন কৃষকেরা।
চলতি খরিপ মৌসুমে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের শসার আবাদ হয়েছে বলে কৃষি অফিস জানিয়েছেন। আর এ আবাদকৃত সুমিষ্ট, সুস্বাদু স্থানীয় জাতের এ শসা এ উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, সিলেট, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ হয়ে থাকে। কৃষক মো. তোফায়েল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে তিনি তার ৬০ শতক জমিতে স্থানীয় জাতের শসা আবাদ করেছেন। এতে উৎপাদত ব্যায় হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আর উৎপাদিত শসা তিনি বিক্রি করেছেন প্রায় ১ লাখ টাকা। এতে তিনি আর্থিক ভাবে লাভবান ৪০ হাজার টাকা। কৃষক মো. মোসলেম মিয়া জানান, তিনি তার ৭৮ শতক জমিতে স্থানীয় জাতের শসার আবাদ করেছেন। এতে তার উৎপাদন বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকা। আর উৎপাদিত শসা বিক্রি করেছেন প্রায় দেড় লাখ টাকা।
লাভ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। তিনি জানান, বছরে দুই বার অগ্রহায়ন-পৌষ মাস তথা রবি মৌসুমে এবং বৈশাখ মাস তথা খরিপ মৌসুমে তারা শসার আবাদ করে থাকেন। ধান ফসলের চেয়ে অধিক লাভবান হওয়ার কারনে তারা এ শসা সবজি জাতীয় ফসলটি আবাদ করে থাকেন। বাজারে এর চাহিদা রয়েছে বেশী, দামে ও তারা লাভবান হচ্ছেন। ফলে তারা আর্থিক ভাবে অধিক লাভবান হচ্ছেন। যার ফলে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে সুখে সমৃদ্ধিতে বসবাস করে আসছেন। আর এ সবজি ফসলটি আবাদে তারা স্থানীয় কৃষি অফিসের পরামর্শসহ বিষমুক্ত শসা আবাদে নানা প্রযুক্তির সাহায়তাও পেয়ে থাকেন বলে তারা জানিয়েছেন।
চলতি মৌসুমে তারা কেজি প্রতি ৪০ থেতে ৫০ টাকা দরে শসা বিক্রি করেছেন। অন্য কৃষকেরাও একই অভিমত ব্যক্ত করেন। সবজি বেপারী মোসলেম মিয়া, মো. মনির হোসেন জানান তারা প্রায় ৩৭ বছর যাবৎ এ এলাকা থেকে স্থানীয় জাতের শসা কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করে স্থানীয় বাজারসহ ঢাকা, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, ফেনী, উত্তর বঙ্গসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করে থাকেন। এতে তারও লাভবান হচ্ছেন।
তারা এখানকার কৃষক কাছ থেকে প্রায় ৪শত থেকে ৫ শত মন শসা ক্রয় করে থাকেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, বরুড়া উপজেলার কৃষকেরা স্থানীয় জাতের শসার আবাদ করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। স্থানীয় বাজারে ছাহিদা মিটিয়ে দেশের নানা প্রান্তে সরবরাহ হচ্ছে শসা নামক এসবজি ফসলটি। কৃষি বিভাগ থেকে এ ফসলটি আবাদে কৃষকদেরকে যথাযথ পরামর্শ প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়া বিষমুক্ত তথা জৈব পদ্ধতিতে শসা আবাদে প্রযুক্তির প্রশিক্ষন সহ নানা উপাদান সরবরাহ হয়ে থাকে বলে তিনি জানিয়েছেন।