বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের সহায়তায় স্যালাইন বিতরণ করেছেন কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদ খান।
গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ক্রয়কৃত স্যালাইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এর মাধ্যমে তিনি বেতাগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় সরাসরি সহায়তা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদ খান। স্যালাইন হস্তান্তর শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বেতাগী আমার জন্মস্থান, আমি এই মাটির সন্তান। বর্তমানে বরগুনা জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে। অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই স্যালাইনগুলো দিচ্ছি। হয়তো এটি বড় কিছু নয়, তবে আমি বিশ্বাস করি সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। শুধু সরকার বা হাসপাতাল নয়, আমাদের প্রত্যেককেই নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আশপাশে পানি জমে থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এসব ডেঙ্গুর বিস্তারে সহায়ক। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদের সচেতন করতে হবে।’
স্যালাইন হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, আমার দেশ পত্রিকার বেতাগী প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান ডাবলু, প্রতিদিনের সংবাদ বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান অভি, বাংলাদেশের খবর উপজেলা প্রতিনিধি মো. ফোরকান ইসলাম, আজকালের পত্রিকা উপজেলা প্রতিনিধি হৃদয় হোসেন মুন্না, আমার সংবাদ উপজেলা প্রতিনিধি সুজন, রুপালী বাংলাদেশ প্রতিনিধি মো. জসিম উদ্দিন, আজকের সুন্দরবন উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষে চিকিৎসক ডা. মোবাশ্বের কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ডেঙ্গু চিকিৎসায় স্যালাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন তা পূরণে সহায়ক হয়। এই মুহূর্তে স্যালাইনের চাহিদা অনেক, তাই এ ধরনের সহযোগিতা নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও কার্যকর।’
অনুষ্ঠান শেষে কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদ উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিত। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবিকতা।’
ডেঙ্গুর এত ভাইরাসজনিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কর্নেল হারুনুর রশিদের এ ব্যতিক্রমী সামাজিক উদ্যোগ বেতাগীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অনেকেই মনে করছেন, তার এ প্রচেষ্টা সমাজের অন্য ব্যক্তিদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু রোগীদের সহায়তায় স্যালাইন বিতরণ করেছেন কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদ খান।
গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে ক্রয়কৃত স্যালাইন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন। এর মাধ্যমে তিনি বেতাগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবায় সরাসরি সহায়তা প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদ খান। স্যালাইন হস্তান্তর শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘বেতাগী আমার জন্মস্থান, আমি এই মাটির সন্তান। বর্তমানে বরগুনা জেলায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বেড়ে চলেছে। অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে আমি আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে এই স্যালাইনগুলো দিচ্ছি। হয়তো এটি বড় কিছু নয়, তবে আমি বিশ্বাস করি সচেতনতা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনগণের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি। শুধু সরকার বা হাসপাতাল নয়, আমাদের প্রত্যেককেই নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল হতে হবে। আশপাশে পানি জমে থাকা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এসব ডেঙ্গুর বিস্তারে সহায়ক। তাই আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং অন্যদের সচেতন করতে হবে।’
স্যালাইন হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ পরিষদ বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান, আমার দেশ পত্রিকার বেতাগী প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান ডাবলু, প্রতিদিনের সংবাদ বরগুনা জেলা প্রতিনিধি মাহবুবুর রহমান অভি, বাংলাদেশের খবর উপজেলা প্রতিনিধি মো. ফোরকান ইসলাম, আজকালের পত্রিকা উপজেলা প্রতিনিধি হৃদয় হোসেন মুন্না, আমার সংবাদ উপজেলা প্রতিনিধি সুজন, রুপালী বাংলাদেশ প্রতিনিধি মো. জসিম উদ্দিন, আজকের সুন্দরবন উপজেলা প্রতিনিধি ইমরান হোসেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষে চিকিৎসক ডা. মোবাশ্বের কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ডেঙ্গু চিকিৎসায় স্যালাইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রোগীর শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে স্যালাইন তা পূরণে সহায়ক হয়। এই মুহূর্তে স্যালাইনের চাহিদা অনেক, তাই এ ধরনের সহযোগিতা নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও কার্যকর।’
অনুষ্ঠান শেষে কর্নেল (অব.) হারুনুর রশিদ উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, ‘সমাজের সামর্থ্যবানদের এগিয়ে আসা উচিত। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোই মানবিকতা।’
ডেঙ্গুর এত ভাইরাসজনিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কর্নেল হারুনুর রশিদের এ ব্যতিক্রমী সামাজিক উদ্যোগ বেতাগীতে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অনেকেই মনে করছেন, তার এ প্রচেষ্টা সমাজের অন্য ব্যক্তিদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হবে।