সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের নিচু এলাকার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে মেরুং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এতে চিটাইগ্যাংয়া পাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ মেরুং বাজার সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মেরুং বাজারও ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি চৈতন্য রায় দুপুরে বলেন, “সকাল ১০টার দিকে গেছি তখন সড়কে হাঁটু সমান পানি ছিল। এক ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত এক ফুট পানি বেড়েছে। সড়কের উপর পানি উঠায় ফিরে যাচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যে পানি আরও বাড়বে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন ও মো. রায়হানুল ইসলাম জানান, এখানে তিন দিন ধরে টানা বর্ষণ হচ্ছে। মাইনী নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে মেরুংয়ের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির যে পরিস্থিতি তাতে রাতের মধ্যে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবে। অনেকগুলো পরিবার ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য জমিলা খাতুন বলেন, “আমাদের নিচু এলাকা গত জুনের শুরুতেও ডুবেছিল। এবারও একই অবস্থা। বৃষ্টি বাড়ছে। নদীতে পানি বাড়লে আমাদের মেরুং বাজারও ডুবে যাবে। এরই মধ্যে ৫০টি পরিবার ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আরও আসছে। তাদের জন্য সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।”
দীঘিনালা দ্বিতীয় শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বেলুন মেকার সূভূতি চাকমা বলেন, বিকাল পর্যন্ত ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌর শহরের শালবন, কুমিল্লা টিলা, সবুজবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন স্থানীয়রা। পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে সাড়ে তিন হাজার পরিবার। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে প্রচার চালাচ্ছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রাণহানি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
তিনি বলেন, “আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। অনেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। যেহেতু টানা বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড় ধসের শঙ্কা আরও বেশি। পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে গেছে। কিন্তু বারবার অনুরোধ করার পরও তারা বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে না। তারপরও আশ্রয়কেন্দ্রে আমরা গরম খাবার দিচ্ছি। খাবার নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আমরা প্রচুর চেষ্টা করছি কিন্তু বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন না।”
এদিকে খাগড়াছড়ির সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের কয়েকটি এলাকায় মাটি ধসের ঘটনা ঘটেছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, “সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কে কয়েকটি স্থানে সড়কের মাটি ধসে গেছে। সড়ক বিভাগের কর্মীরা গিয়ে মাটি সরিয়ে নিয়েছে পরে। যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের নিচু এলাকার কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে মেরুং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠতে শুরু করে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এতে চিটাইগ্যাংয়া পাড়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষ মেরুং বাজার সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মেরুং বাজারও ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি চৈতন্য রায় দুপুরে বলেন, “সকাল ১০টার দিকে গেছি তখন সড়কে হাঁটু সমান পানি ছিল। এক ঘণ্টার ব্যবধানে অন্তত এক ফুট পানি বেড়েছে। সড়কের উপর পানি উঠায় ফিরে যাচ্ছি। কিছুক্ষণের মধ্যে পানি আরও বাড়বে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হবে।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন ও মো. রায়হানুল ইসলাম জানান, এখানে তিন দিন ধরে টানা বর্ষণ হচ্ছে। মাইনী নদীর পানির প্রবাহ বেড়ে মেরুংয়ের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির যে পরিস্থিতি তাতে রাতের মধ্যে আরও কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হবে। অনেকগুলো পরিবার ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছে।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত আসনের নারী সদস্য জমিলা খাতুন বলেন, “আমাদের নিচু এলাকা গত জুনের শুরুতেও ডুবেছিল। এবারও একই অবস্থা। বৃষ্টি বাড়ছে। নদীতে পানি বাড়লে আমাদের মেরুং বাজারও ডুবে যাবে। এরই মধ্যে ৫০টি পরিবার ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আরও আসছে। তাদের জন্য সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া হবে।”
দীঘিনালা দ্বিতীয় শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের বেলুন মেকার সূভূতি চাকমা বলেন, বিকাল পর্যন্ত ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌর শহরের শালবন, কুমিল্লা টিলা, সবুজবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছেন স্থানীয়রা। পাহাড় ধসের শঙ্কায় রয়েছে সাড়ে তিন হাজার পরিবার। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে প্রচার চালাচ্ছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসন।
খাগড়াছড়ি জেলা সদরে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রাণহানি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার।
তিনি বলেন, “আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। অনেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে। যেহেতু টানা বৃষ্টি হচ্ছে পাহাড় ধসের শঙ্কা আরও বেশি। পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে গেছে। কিন্তু বারবার অনুরোধ করার পরও তারা বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসছে না। তারপরও আশ্রয়কেন্দ্রে আমরা গরম খাবার দিচ্ছি। খাবার নিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। আমরা প্রচুর চেষ্টা করছি কিন্তু বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন না।”
এদিকে খাগড়াছড়ির সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কের কয়েকটি এলাকায় মাটি ধসের ঘটনা ঘটেছে।
খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, “সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কে কয়েকটি স্থানে সড়কের মাটি ধসে গেছে। সড়ক বিভাগের কর্মীরা গিয়ে মাটি সরিয়ে নিয়েছে পরে। যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।”