হবিগঞ্জ : আসামিকে মারধরের পর ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা -সংবাদ
হবিগঞ্জ শহরে স্কুলছাত্র জনি দাশ (১৭) হত্যা মামলার আসামি সাজু মিয়াকে (২২) আদালত প্রাঙ্গণে মারধর এবং পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। পরে পুলিশ ও আইনজীবীরা আসামিকে রক্ষা করেন। হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক শেখ নাজমুল হক বলেন, কিছু ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি সাজুকে আদালত প্রাঙ্গণে মারধরের চেষ্টা করে। তবে পুলিশ সতর্ক থাকায় তাদের চেষ্টা সফল হয়নি। আসামিকে আদালত তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) ভোর চারটার দিকে ঘরের পাশে শব্দ শুনে জনি দাশ ঘর থেকে বের হয়। এ সময় অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা জড়িয়ে পড়ে সে। একপর্যায়ে ওই অপরিচিত ব্যক্তি জনি দাশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় জনি দাশকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জনি দাশ হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর এলাকার নর্ধন দাশের ছেলে। সে হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত কিশোরের বাবা বাদী হয়ে গত শনিবার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার পুলিশ সাজু মিয়া নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাক গ্রামে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে সাজু দায় স্বীকার করেছেন। গতকাল বুধবার হবিগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ সাজু মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করে। এ সময় একদল শিক্ষার্থী সাজুর ওপর হামলা ও তাকে মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ হামলাকারীদের লাঠিচার্জ শুরু করে। পাশাপাশি একদল আইনজীবী ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম শাহাবুদ্দীন শাহীন বলেন, জনি দাশের কিছু সহপাঠী দল বেঁধে আসামির ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রদক্ষেপ গ্রহণ করায় হামলাকারীরা সফল হতে পারেনি। এ ঘটনায় আদালতে একটি অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। আদালত ওই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
হবিগঞ্জ : আসামিকে মারধরের পর ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
হবিগঞ্জ শহরে স্কুলছাত্র জনি দাশ (১৭) হত্যা মামলার আসামি সাজু মিয়াকে (২২) আদালত প্রাঙ্গণে মারধর এবং পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। পরে পুলিশ ও আইনজীবীরা আসামিকে রক্ষা করেন। হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
হবিগঞ্জ আদালতের পরিদর্শক শেখ নাজমুল হক বলেন, কিছু ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী হত্যা মামলার আসামি সাজুকে আদালত প্রাঙ্গণে মারধরের চেষ্টা করে। তবে পুলিশ সতর্ক থাকায় তাদের চেষ্টা সফল হয়নি। আসামিকে আদালত তিন দিনের পুলিশ রিমান্ড দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার,(১০ জুলাই ২০২৫) ভোর চারটার দিকে ঘরের পাশে শব্দ শুনে জনি দাশ ঘর থেকে বের হয়। এ সময় অপরিচিত এক তরুণের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা জড়িয়ে পড়ে সে। একপর্যায়ে ওই অপরিচিত ব্যক্তি জনি দাশকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় জনি দাশকে হবিগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জনি দাশ হবিগঞ্জ শহরের ডাকঘর এলাকার নর্ধন দাশের ছেলে। সে হবিগঞ্জ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র ছিল। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত কিশোরের বাবা বাদী হয়ে গত শনিবার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় সোমবার পুলিশ সাজু মিয়া নামের এক তরুণকে গ্রেপ্তার করে। তার বাড়ি আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিমবাক গ্রামে।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জ্ঞিাসাবাদে সাজু দায় স্বীকার করেছেন। গতকাল বুধবার হবিগঞ্জ সদর থানা-পুলিশ সাজু মিয়ার পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল আদালতে হাজির করে। এ সময় একদল শিক্ষার্থী সাজুর ওপর হামলা ও তাকে মারধর করে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ হামলাকারীদের লাঠিচার্জ শুরু করে। পাশাপাশি একদল আইনজীবী ঘটনাস্থলে এসে হামলাকারীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে এম শাহাবুদ্দীন শাহীন বলেন, জনি দাশের কিছু সহপাঠী দল বেঁধে আসামির ওপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রদক্ষেপ গ্রহণ করায় হামলাকারীরা সফল হতে পারেনি। এ ঘটনায় আদালতে একটি অভিযোগ দায়ে করা হয়েছে। আদালত ওই আসামির তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।