দুমকি (পটুয়াখালী) : টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ নিম্নাঞ্চল -সংবাদ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা ছয় দিনের ভারী বর্ষণে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষেতখামার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গত শনিবার থেকে অবিরাম ভারী বর্ষণের সাথে পায়রা-লোহালিয়া ও মুরাদিয়া নদীর জোয়ারের পানি যোগ হয়ে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের কার্তিকপাশা, আঠারগাছিয়া, পাংগাশিয়া ইউনিয়নের রাজগঞ্জ-চান্দখালী, বাঁশবুনিয়া, হাজিরহাট, আলগি, আংগারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর, জলিশা কদমতলা ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের উত্তর মুরাদিয়া, সন্তোষদি, চরগরবদি, দক্ষিণ মুরাদিয়ার কলাগাছিয়া, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চড়বয়েড়া, রাজাখালী, উত্তর শ্রীরামপুর, জামলা ও দক্ষিণ শ্রীরামপুরসহ বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চলে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে রয়েছে। বহু বাড়ির উঠান, মাছের ঘের ও বাগানে ঢুকে পড়ায় রান্না-বান্না, চলাচল, গবাদিপশু এবং রোগীদের যাতায়াতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ও শ্রেণীকক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ চত্বর,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চত্বরে পানি ঢুকে স্টাফ কোয়ার্টার, ডাকবাংলো, ডাকঘর, খেলার মাঠ ও রাস্তা তলিয়ে গেছে। পায়রা, পাতাবুনিয়া ও মুরাদিয়া নদীর তীরবর্তী ওয়াপদা বেড়িবাঁধের বাইরের অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। ৫-৬ ফুট উচ্চতার পানিতে ওইসব এলাকার শত শত পরিবার ও গবাদি পশু পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বৃষ্টির পানিতে আমন বীজতলা ও সবজি ক্ষেত ডুবে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যাতায়াতে ভোগান্তির পাশাপাশি রোগবালাইও বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার প্রাণকেন্দ্রের পীরতলা খালটি খননের অভাবে এবং রাজনৈতিক প্রভাবে খালের জায়গা দখল হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে মৃতপ্রায় হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অচল হয়ে জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে তারা অভিযোগ করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃষ্টিপাত ও নিম্নচাপের অবস্থা পর্যেবক্ষণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তবে সতর্কতার অংশ হিসেবে কাঁচা ঘরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
দুমকি (পটুয়াখালী) : টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ নিম্নাঞ্চল -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে টানা ছয় দিনের ভারী বর্ষণে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে রাস্তা-ঘাট, ঘরবাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ক্ষেতখামার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় জনজীবনে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। গত শনিবার থেকে অবিরাম ভারী বর্ষণের সাথে পায়রা-লোহালিয়া ও মুরাদিয়া নদীর জোয়ারের পানি যোগ হয়ে উপজেলার লেবুখালী ইউনিয়নের কার্তিকপাশা, আঠারগাছিয়া, পাংগাশিয়া ইউনিয়নের রাজগঞ্জ-চান্দখালী, বাঁশবুনিয়া, হাজিরহাট, আলগি, আংগারিয়া ইউনিয়নের বাহেরচর, জলিশা কদমতলা ও মুরাদিয়া ইউনিয়নের উত্তর মুরাদিয়া, সন্তোষদি, চরগরবদি, দক্ষিণ মুরাদিয়ার কলাগাছিয়া, শ্রীরামপুর ইউনিয়নের চড়বয়েড়া, রাজাখালী, উত্তর শ্রীরামপুর, জামলা ও দক্ষিণ শ্রীরামপুরসহ বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চলে হাঁটু থেকে কোমর সমান পানি জমে রয়েছে। বহু বাড়ির উঠান, মাছের ঘের ও বাগানে ঢুকে পড়ায় রান্না-বান্না, চলাচল, গবাদিপশু এবং রোগীদের যাতায়াতে বিপর্যয় নেমে এসেছে। কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠ ও শ্রেণীকক্ষে পানি ঢুকে পড়ায় অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা ও পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলা পরিষদ চত্বর,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চত্বরে পানি ঢুকে স্টাফ কোয়ার্টার, ডাকবাংলো, ডাকঘর, খেলার মাঠ ও রাস্তা তলিয়ে গেছে। পায়রা, পাতাবুনিয়া ও মুরাদিয়া নদীর তীরবর্তী ওয়াপদা বেড়িবাঁধের বাইরের অবস্থা আরও নাজুক হয়ে পড়েছে। ৫-৬ ফুট উচ্চতার পানিতে ওইসব এলাকার শত শত পরিবার ও গবাদি পশু পানিবন্দি হয়ে রয়েছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, বৃষ্টির পানিতে আমন বীজতলা ও সবজি ক্ষেত ডুবে গিয়ে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যাতায়াতে ভোগান্তির পাশাপাশি রোগবালাইও বাড়ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, উপজেলার প্রাণকেন্দ্রের পীরতলা খালটি খননের অভাবে এবং রাজনৈতিক প্রভাবে খালের জায়গা দখল হয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে মৃতপ্রায় হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা অচল হয়ে জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী হয়ে উঠছে। প্রতি বছরই এমন দুর্ভোগ পোহাতে হয় বলে তারা অভিযোগ করেন এবং দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বৃষ্টিপাত ও নিম্নচাপের অবস্থা পর্যেবক্ষণ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হতে পারে। তবে সতর্কতার অংশ হিসেবে কাঁচা ঘরের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।