বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন চাষের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ৪ হাজার ৮০০ জমিতে হবে আমনের আবাদ। আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
আষাঢ়ের শেষ সময়ে উপজেলার মাঠ জুড়ে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরী ও বীজতলায় বীজ ধান রোপণে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন এই অঞ্চলের কৃষকরা।
কৃষকেরা জানান, আমনের জমি বীজতলা তৈরির জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। সঠিক সময়ে বৃষ্টি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক আকারে আমন ধান চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
রোববার সকালে পৌরসভাসহ উপজেলার সারোয়াতলী, করলডেঙ্গা, আমুচিয়া, শ্রীপুর খরনদ্বীপ, শাকপুরা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, চলতি আমন মৌসুমের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
একদিকে চলছে উচু জমিতে বীজতলা তৈরির কাজ। অন্যদিকে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে অন্যান্য জমি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। এ জন্য বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯৫ হেক্টর জমি। চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সারসহ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো আবদুল জলিল ও এস এম বাবর বলেন, বর্ষার শুরু থেকে মাঝে মধ্যে দুয়েকদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকলেও তা প্রতিদিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এই বৃষ্টিপাতে খুশি কৃষক। তবে অতিবৃষ্টি হলে এই খুশি ম্লান হতেও সময় লাগবে না। তাদের আকুতি এই বৃষ্টিই যেন থাকে।
এবার ৪ একর জমিতে আমন ধান চাষ করবেন
উপজেলার সারোয়াতলি গ্রামের কৃষক মোর্শেদ আলম। তিনি বলেন, বীজতলা তৈরি করেছি।
আগামী ১০/১৫ দিন পর রোপণ শুরু করবো।
এরকম যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের জন্য আশির্বাদ হবে, আর অতিবৃষ্টি হলে সর্বনাশ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন,আমন ধান চাষ হয়ে থাকে বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে। এ বছর নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে আমন চাষের জন্য মাঠও প্রস্তুত করে নিচ্ছে।
আষাঢ় মাসে আমন ধানের বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়। এবার বোয়ালখালীতে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হবে। উন্নত জাতের ১০৩,৪৯, ৫১,৫২, ৯৩ ও বীণা ২৩ ধান চাষ করা হবে।
পানিতে ডুবে না এমন উঁচু খোলামেলা জমিতে বীজতলা তৈরি করতে হবে। আশপাশের জমির থেকে একটু উঁচু জমি আমন ধানের বীজতলার জন্য উপযুক্ত। জলাবদ্ধতার কারণে রোপা আমনের বীজতলা করার মতো জায়গা না থাকলে ভাসমান বীজতলা করে চারা উৎপাদন করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। এবার আমন চাষের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) : আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন চাষের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত কৃষক -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
চলতি মৌসুমে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে ৪ হাজার ৮০০ জমিতে হবে আমনের আবাদ। আমন ধানের বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
আষাঢ়ের শেষ সময়ে উপজেলার মাঠ জুড়ে রোপা আমন ধানের বীজতলা তৈরী ও বীজতলায় বীজ ধান রোপণে কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েন এই অঞ্চলের কৃষকরা।
কৃষকেরা জানান, আমনের জমি বীজতলা তৈরির জন্য এখনই উপযুক্ত সময়। সঠিক সময়ে বৃষ্টি এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ব্যাপক আকারে আমন ধান চাষ করার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
রোববার সকালে পৌরসভাসহ উপজেলার সারোয়াতলী, করলডেঙ্গা, আমুচিয়া, শ্রীপুর খরনদ্বীপ, শাকপুরা এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, চলতি আমন মৌসুমের বীজতলা তৈরির কাজ শুরু হয়েছে।
একদিকে চলছে উচু জমিতে বীজতলা তৈরির কাজ। অন্যদিকে চারা রোপণের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে অন্যান্য জমি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বোয়ালখালীতে এবার আমনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। এ জন্য বীজতলার লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২৯৫ হেক্টর জমি। চলতি মৌসুমে আমন ধান আবাদ বৃদ্ধির লক্ষ্যে পৌরসভাসহ উপজেলার ৯টি ইউনিয়নে প্রান্তিক কৃষকদের বিনামূল্যে বীজ সারসহ প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে।
আমুচিয়া ইউনিয়নের কৃষক মো আবদুল জলিল ও এস এম বাবর বলেন, বর্ষার শুরু থেকে মাঝে মধ্যে দুয়েকদিন বৃষ্টি বন্ধ থাকলেও তা প্রতিদিনই বৃষ্টিপাত হচ্ছে। আর এই বৃষ্টিপাতে খুশি কৃষক। তবে অতিবৃষ্টি হলে এই খুশি ম্লান হতেও সময় লাগবে না। তাদের আকুতি এই বৃষ্টিই যেন থাকে।
এবার ৪ একর জমিতে আমন ধান চাষ করবেন
উপজেলার সারোয়াতলি গ্রামের কৃষক মোর্শেদ আলম। তিনি বলেন, বীজতলা তৈরি করেছি।
আগামী ১০/১৫ দিন পর রোপণ শুরু করবো।
এরকম যদি বৃষ্টি হয় তাহলে আমাদের জন্য আশির্বাদ হবে, আর অতিবৃষ্টি হলে সর্বনাশ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আতিক উল্লাহ বলেন,আমন ধান চাষ হয়ে থাকে বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভর করে। এ বছর নিয়মিত বৃষ্টি হচ্ছে। অনেকে আমন চাষের জন্য মাঠও প্রস্তুত করে নিচ্ছে।
আষাঢ় মাসে আমন ধানের বীজতলা তৈরির উপযুক্ত সময়। এবার বোয়ালখালীতে ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে আমন চাষ হবে। উন্নত জাতের ১০৩,৪৯, ৫১,৫২, ৯৩ ও বীণা ২৩ ধান চাষ করা হবে।
পানিতে ডুবে না এমন উঁচু খোলামেলা জমিতে বীজতলা তৈরি করতে হবে। আশপাশের জমির থেকে একটু উঁচু জমি আমন ধানের বীজতলার জন্য উপযুক্ত। জলাবদ্ধতার কারণে রোপা আমনের বীজতলা করার মতো জায়গা না থাকলে ভাসমান বীজতলা করে চারা উৎপাদন করার পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা করতে উপ—সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। এবার আমন চাষের যে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে তা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।