টানা বৃষ্টির কারণে খানাখন্দে ভরে গেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। এর সঙ্গে ফোর লেন প্রকল্পের ধীরগতির কাজ মিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ যানজট। ছুটির দিন শুক্রবার সকাল থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড হয়ে শাহবাজপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে।
এতে কয়েক হাজার যানবাহন আটকে পড়েছে মহাসড়কে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
পরিবহন চালকদের অভিযোগ, চলমান ফোর লেন প্রকল্পে সড়ক সরু হয়ে গেছে, আর বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। বিশেষ করে আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড় এলাকার ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ জানিয়েছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের কাজ চলছে ৬ বছর ধরে। এক পাশের কাজ শেষ হলেও পুরো প্রকল্প এখনো চালু হয়নি। ফলে সরু রাস্তা দিয়ে গাদাগাদি করে চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, কিছু গর্তের গভীরতা তিন ফুটেরও বেশি। এতে গাড়িগুলো বাধ্য হচ্ছে ৭০ কিলোমিটার গতির বদলে ৫ কিলোমিটারে চলতে। একটি ট্রাক মোড় পেরোতে সময় নিচ্ছে ২০ মিনিট পর্যন্ত।
বাসযাত্রী অ্যাডভোকেট জুবায়ের রহমান বলেন, “হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলাম, কিন্তু যানজটে পড়ে সময়মতো মিটিংয়ে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।”
আরেক যাত্রী মুসলিমা আক্তার বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছি, কিন্তু দুই ঘণ্টা ধরে শাহবাজপুরে আটকে আছি। বাধ্য হয়ে হেঁটে, অটোরিকশায় করে কোনো রকমে এগোচ্ছি।”
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, “গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় যানজট হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।”
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
টানা বৃষ্টির কারণে খানাখন্দে ভরে গেছে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক। এর সঙ্গে ফোর লেন প্রকল্পের ধীরগতির কাজ মিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অংশে তৈরি হয়েছে ভয়াবহ যানজট। ছুটির দিন শুক্রবার সকাল থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর থেকে সরাইল বিশ্বরোড হয়ে শাহবাজপুর পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটারজুড়ে দীর্ঘ যানজট দেখা গেছে।
এতে কয়েক হাজার যানবাহন আটকে পড়েছে মহাসড়কে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন চালক ও যাত্রীরা।
পরিবহন চালকদের অভিযোগ, চলমান ফোর লেন প্রকল্পে সড়ক সরু হয়ে গেছে, আর বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে বড় গর্ত। বিশেষ করে আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড় এলাকার ব্যবস্থাপনায় ঘাটতি থাকায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়েছে।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ জানিয়েছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত চার লেন প্রকল্পের কাজ চলছে ৬ বছর ধরে। এক পাশের কাজ শেষ হলেও পুরো প্রকল্প এখনো চালু হয়নি। ফলে সরু রাস্তা দিয়ে গাদাগাদি করে চলতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে।
টানা বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন অংশে তৈরি হয়েছে গভীর গর্ত। হাইওয়ে পুলিশের তথ্যমতে, কিছু গর্তের গভীরতা তিন ফুটেরও বেশি। এতে গাড়িগুলো বাধ্য হচ্ছে ৭০ কিলোমিটার গতির বদলে ৫ কিলোমিটারে চলতে। একটি ট্রাক মোড় পেরোতে সময় নিচ্ছে ২০ মিনিট পর্যন্ত।
বাসযাত্রী অ্যাডভোকেট জুবায়ের রহমান বলেন, “হবিগঞ্জ থেকে ঢাকায় যাচ্ছিলাম, কিন্তু যানজটে পড়ে সময়মতো মিটিংয়ে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না।”
আরেক যাত্রী মুসলিমা আক্তার বলেন, “ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডাক্তার দেখাতে যাচ্ছি, কিন্তু দুই ঘণ্টা ধরে শাহবাজপুরে আটকে আছি। বাধ্য হয়ে হেঁটে, অটোরিকশায় করে কোনো রকমে এগোচ্ছি।”
সরাইল খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেন, “গাড়ির গতি কমে যাওয়ায় যানজট হচ্ছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে।”