alt

সারাদেশ

হরিণছড়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ হারালেন কৃষ্ণা ও তিন প্রতিবেশী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানের বাসিন্দা কৃষ্ণা রবিদাশ প্রতিদিন টমটম নিয়ে বের হলেও সেটি এখন একপাশে পড়ে আছে।

প্রতিবেশী দুই ভাইকে বাঁচাতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণার। কিন্তু কৃষ্ণার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার মা এবং স্বজনরা। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা দেওন্তি রবিদাশ।

বুধবার রাতে শ্রীমঙ্গলের সীমান্তবর্তী হরিণছড়া চা বাগানের পশ্চিম লাইনে মোবাইল তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে চারজনের মৃত্যু হয়। ১৯ বছর বয়সী কৃষ্ণা রবিদাশ তাদেরই একজন; একই বাগানের জহর লাল রবিদাসের ছেলে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়েছেন আরও একজন।

মৃত বাকিরা হলেন হরিণছড়া বাগানের উদয় পটনায়েকের ছেলে রানা পটনায়েক (১৭), তার ভাই শ্রাবণ পটনায়েক (১৯) ও লক্ষ্মীন্দর ফুলমালির ছেলে নৃপেন ফুলমালি (২৭)।

বৃহস্পতিবার বিকালে কৃষ্ণা রবিদাশের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়িভর্তি মানুষের কান্নার রোল। এ সময় এক নারী পাশের টমটমটি দেখিয়ে বলছিলেন, “ওই যে টমটম দেখছেন কৃষ্ণা ওটাই চালাতো।” তখনই এক নারী কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারালেন। কাছে যেতেই কয়েকজন বলে উঠলেন, তিনি কৃষ্ণার মা দেওন্তি রবিদাশ। তখন জ্ঞান ফেরাতে তার মুখের উপর পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

জ্ঞান ফেরার পর কান্না জড়িত কন্ঠে দেওন্তি রবিদাশ বলেন, “আমার ছেলেটা ওদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবনটা দিয়ে দিলো। তার এই টমটম এখন কে চালাবে? কে আমাকে বাজার করে খাওয়াবে?”

একই চিত্র রানা, শ্রাবণ ও নৃপেনের বাড়িতেও। বাগানজুড়ে কারও ঘরে বৃহস্পতিবার দুপুরে চুলায় হাঁড়ি বসেনি। সবাই ব্যথিত, শোকে মুহ্যমান।

সেপটিক ট্যাংকে মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে চার তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় সবাই হতবাক। এত ছোট জায়গায় কীভাবে চারজনের মৃত্যু হতে পারে, সেটি যেন ভেবেই পাচ্ছেন না তারা।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় হরিণছড়া চা বাগানের অধিবাসী সবুজ তজু বলেন, “বুধবার মধ্যরাতে বাগানের পশ্চিম লাইনের রানা পটনায়েক টয়লেটে গেলে এ সময় তার মোবাইল ফোনটি সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। তখন সে তার ভাই শ্রাবণ পটনায়েককে ডেকে মোবাইল ফোনটি তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নামে। কিন্তু সে উঠে না আসলে শ্রাবণও ট্যাংকে নামেন। এরপর সেও উঠে না আসায় বাগানের অপর তিনজন নৃপেন ফুলমালি, কৃষ্ণা রবিদাশ ও রবিন্দ্র বুনার্জীও ট্যাংকে নামেন।”

তিনি বলেন, “তারা কেউই উঠে না আসলে বাগানের অন্য শ্রমিকরা মিলে দ্রুত তাদের সেপটিক ট্যাংক থেকে তুলে রাত ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় তাদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অসুস্থ রবিন্দ্র বুনার্জীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

হরিণছড়া চা বাগানের বাসিন্দা দয়াল বুনার্জী বলেন, “যারা এই সেপটিক ট্যাংক দেখছেন তারা সবাই হতবাক হচ্ছেন। মাত্র ৬ ফুট গর্তে পাঁচজন কীভাবে নামলেন আর চারজনই কীভাবে মারা গেলেন, এটা মেনে নিতে পারছেন না বাগানবাসী।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক ও মৌলভীবাজারের প্রাক্তন সিভিল সার্জন সত্যকাম চক্রবর্তী বলেন, “সেপটিক ট্যাংকে কয়েক ধরনের গ্যাস জমে। মূলত মিথেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইডসহ বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এই গ্যাসগুলো মানব জীবনের জন্য মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকি বহন করে।”

তিনি বলেন, “সচেতনতার অভাবে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে চা বাগান এলাকায়। এ জন্য প্রয়োজনে আইন করতে হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি ছাড়া কেউ সেপটিক ট্যাংকে নামতে পারবে না। আর নামলে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে নামতে হবে।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে চা বাগান এলাকায় এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক প্রিতম দাশ। তিনি বলেন, “চা বাগান এলাকায় প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও চা বাগান কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের সচেতন করতে হবে।”

হরিণছড়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক বিকাশ সিংহ বলেন, “এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। তবে বিষয়টি হলো, কারও স্বজন ওখানে পড়ে গেলে তারা তাকে বাঁচাতে নামতেই চাইবে। এ বিষয়েও কিভাবে নামবে সতর্ক করতে হবে।”

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, “তিনটি পরিবারের চারজনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারে সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। পরে আরও সাহায্য করা হবে।”

সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাতে কেউ মারা না যায়, সে জন্য মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) এএসপি আনিসুর রহমান।

শ্রীনগরে ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য স্বপন মেম্বার গ্রেফতার হওয়ায় এলাকাবাসীর স্বস্তি! মিষ্টি বিতরণ

এবার ভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি বিএনপির

ছবি

ছিনতাইয়ের ফোন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও প্রতিবেশী দেশে পাচার, চট্টগ্রামে অভিযান

ছবি

সন্ধান মেলেনি সাগরে নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের

ছবি

তিস্তা-যমুনা চরের দারিদ্র্যতার ঝুঁকিতে ১৫ লাখ মানুষ

ছবি

বোয়ালখালীতে নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস

নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেল স্বামী

নিজ ঘরে স্টিলের বাক্সে গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী পুলিশ হেফাজতে

যাত্রাবাড়ীতে কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ, মারা গেলেন ইতি আক্তার

বোরকা পরে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকশ্রমিক নিহত

ছবি

মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার আলো ছড়ানোর ৩৭ বছর

হত্যার হুমকি দিয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ

লালমাইয়ে চার মাদকসেবী দণ্ডিত

ছবি

যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে ভাঙন দিশাহারা নদীপাড়ের মানুষ

ছবি

চকরিয়ায় সওজের জমি থেকে অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ অভিযান

স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা পরিষ্কার করলো যুবসমাজ

বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ

ছবি

৪০ টাকার কাঁচা মরিচ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁয় ২৪০ টাকা

শ্রীমঙ্গলে অবৈধ ভারতীয় চা পাতা উদ্ধার, জরিমানা

নিখোঁজ তানজিদের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

অবশেষে কাশিমপুর ক্রসবাঁধ অপসারিত

জীবন্ত গাছের নীরব কান্না পেরেক ঢুকিয়ে ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা

৯ মাস পর লিবিয়া থেকে ফিরলেন সাগর, মানবপাচারের ফাঁদ থেকে মুক্ত

সুন্দরবনে ৩টি ট্রলারসহ ২৭ জেলে আটক

১১ বছর পরে ফরিদপুরে রাজন হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাচ্ছে মধুপুর শালবন

শেরপুরে নবম শ্রেণীর ছাত্রকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল

দৌলতপুরের সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

ছবি

দশমিনার সবুজবাগে সরকারি খালটি মৃতপ্রায় জলাবদ্ধ শত শত পরিবার

চা শ্রমিক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার

চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস থেকে দেশকে মুক্তি দিতে চাই নড়াইলে পথসভায় নাহিদ

ফল জালিয়াতি রাজশাহীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত

ছবি

মাদারীপুরে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, সড়ক জলাবদ্ধ

tab

সারাদেশ

হরিণছড়ায় সেপটিক ট্যাংকে নেমে প্রাণ হারালেন কৃষ্ণা ও তিন প্রতিবেশী

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হরিণছড়া চা বাগানের বাসিন্দা কৃষ্ণা রবিদাশ প্রতিদিন টমটম নিয়ে বের হলেও সেটি এখন একপাশে পড়ে আছে।

প্রতিবেশী দুই ভাইকে বাঁচাতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে মৃত্যু হয়েছে কৃষ্ণার। কিন্তু কৃষ্ণার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না তার মা এবং স্বজনরা। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা দেওন্তি রবিদাশ।

বুধবার রাতে শ্রীমঙ্গলের সীমান্তবর্তী হরিণছড়া চা বাগানের পশ্চিম লাইনে মোবাইল তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নেমে চারজনের মৃত্যু হয়। ১৯ বছর বয়সী কৃষ্ণা রবিদাশ তাদেরই একজন; একই বাগানের জহর লাল রবিদাসের ছেলে। এ ঘটনায় অসুস্থ হয়েছেন আরও একজন।

মৃত বাকিরা হলেন হরিণছড়া বাগানের উদয় পটনায়েকের ছেলে রানা পটনায়েক (১৭), তার ভাই শ্রাবণ পটনায়েক (১৯) ও লক্ষ্মীন্দর ফুলমালির ছেলে নৃপেন ফুলমালি (২৭)।

বৃহস্পতিবার বিকালে কৃষ্ণা রবিদাশের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বাড়িভর্তি মানুষের কান্নার রোল। এ সময় এক নারী পাশের টমটমটি দেখিয়ে বলছিলেন, “ওই যে টমটম দেখছেন কৃষ্ণা ওটাই চালাতো।” তখনই এক নারী কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারালেন। কাছে যেতেই কয়েকজন বলে উঠলেন, তিনি কৃষ্ণার মা দেওন্তি রবিদাশ। তখন জ্ঞান ফেরাতে তার মুখের উপর পানি ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

জ্ঞান ফেরার পর কান্না জড়িত কন্ঠে দেওন্তি রবিদাশ বলেন, “আমার ছেলেটা ওদের বাঁচাতে গিয়ে নিজের জীবনটা দিয়ে দিলো। তার এই টমটম এখন কে চালাবে? কে আমাকে বাজার করে খাওয়াবে?”

একই চিত্র রানা, শ্রাবণ ও নৃপেনের বাড়িতেও। বাগানজুড়ে কারও ঘরে বৃহস্পতিবার দুপুরে চুলায় হাঁড়ি বসেনি। সবাই ব্যথিত, শোকে মুহ্যমান।

সেপটিক ট্যাংকে মোবাইল ফোন তুলতে গিয়ে চার তরুণের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় সবাই হতবাক। এত ছোট জায়গায় কীভাবে চারজনের মৃত্যু হতে পারে, সেটি যেন ভেবেই পাচ্ছেন না তারা।

সেদিনের ঘটনার বর্ণনায় হরিণছড়া চা বাগানের অধিবাসী সবুজ তজু বলেন, “বুধবার মধ্যরাতে বাগানের পশ্চিম লাইনের রানা পটনায়েক টয়লেটে গেলে এ সময় তার মোবাইল ফোনটি সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যায়। তখন সে তার ভাই শ্রাবণ পটনায়েককে ডেকে মোবাইল ফোনটি তুলতে সেপটিক ট্যাংকে নামে। কিন্তু সে উঠে না আসলে শ্রাবণও ট্যাংকে নামেন। এরপর সেও উঠে না আসায় বাগানের অপর তিনজন নৃপেন ফুলমালি, কৃষ্ণা রবিদাশ ও রবিন্দ্র বুনার্জীও ট্যাংকে নামেন।”

তিনি বলেন, “তারা কেউই উঠে না আসলে বাগানের অন্য শ্রমিকরা মিলে দ্রুত তাদের সেপটিক ট্যাংক থেকে তুলে রাত ১টার দিকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় তাদের মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন। আর অসুস্থ রবিন্দ্র বুনার্জীকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।”

হরিণছড়া চা বাগানের বাসিন্দা দয়াল বুনার্জী বলেন, “যারা এই সেপটিক ট্যাংক দেখছেন তারা সবাই হতবাক হচ্ছেন। মাত্র ৬ ফুট গর্তে পাঁচজন কীভাবে নামলেন আর চারজনই কীভাবে মারা গেলেন, এটা মেনে নিতে পারছেন না বাগানবাসী।”

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক ও মৌলভীবাজারের প্রাক্তন সিভিল সার্জন সত্যকাম চক্রবর্তী বলেন, “সেপটিক ট্যাংকে কয়েক ধরনের গ্যাস জমে। মূলত মিথেন, কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন সালফাইডসহ বিভিন্ন প্রকার বিষাক্ত রাসায়নিক গ্যাসের সৃষ্টি হয়। এই গ্যাসগুলো মানব জীবনের জন্য মারাত্মক মৃত্যুঝুঁকি বহন করে।”

তিনি বলেন, “সচেতনতার অভাবে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে চা বাগান এলাকায়। এ জন্য প্রয়োজনে আইন করতে হবে। এ বিষয়ে প্রস্তুতি ছাড়া কেউ সেপটিক ট্যাংকে নামতে পারবে না। আর নামলে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে নামতে হবে।”

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে চা বাগান এলাকায় এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির পরামর্শ দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক প্রিতম দাশ। তিনি বলেন, “চা বাগান এলাকায় প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন ও চা বাগান কর্তৃপক্ষকে শ্রমিকদের সচেতন করতে হবে।”

হরিণছড়া চা বাগানের সহকারী ব্যবস্থাপক বিকাশ সিংহ বলেন, “এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা। তবে বিষয়টি হলো, কারও স্বজন ওখানে পড়ে গেলে তারা তাকে বাঁচাতে নামতেই চাইবে। এ বিষয়েও কিভাবে নামবে সতর্ক করতে হবে।”

শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইসলাম উদ্দিন বলেন, “তিনটি পরিবারের চারজনের প্রাণহানি হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারে সৎকারের জন্য জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে। পরে আরও সাহায্য করা হবে।”

সেপটিক ট্যাংকে পড়ে যাতে কেউ মারা না যায়, সে জন্য মানুষকে সচেতন করার আহ্বান জানিয়েছেন মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার (শ্রীমঙ্গল সার্কেল) এএসপি আনিসুর রহমান।

back to top