চুয়াডাঙ্গা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ না হওয়ায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ভোকেশনাল বিভাগ থেকে অংশ নেয়া ৬৩ জন পরীক্ষার্থী ফেল করেছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। এমন বিপর্যয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, ২০২৫ সালে হাসাদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ শিক্ষার্থী ভোকেশনাল বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের টেড ইন্সট্রাকশন বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় সবাই অকৃতকার্য হয়েছ।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা শুক্রবার সকালে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সমস্যা সমাধানের জন্য মানববন্ধন করেন। তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।
অর্ক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সব বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়েছি, তবুও সবকিছু শেষ। কার কী দোষ আমি জানি না। ভালো পরীক্ষা দিয়েও কেন ব্যাবহারিককে ফেল এসেছে? কেন তা জানিনা-এটা তদন্ত করে সমাধান করা হোক।’
মিম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ব্যবহারিকের নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের হাত দিয়েই দেয়া হয়। নম্বর মার্কশিটে যোগ না হওয়ায় সবাই ফেল করেছে। কেন এমনটা হলো, এজন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দায়ী। তারা ভালোভাবে মনিটরিং করলে এমনটি হতো না।’
সিফাত নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সকলেই আমাদের ব্যবহারিক খাতা সময় মতো বিদ্যালয়ে জমা দিয়েছি। এটার দায় সম্পূর্ণ শিক্ষকদের। ওনাদের ব্যার্থতার দায় আমরা কেন নেব। এটার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এখান থেকে শিক্ষার্থীদের নম্বর যথাসময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছি। কিন্তু বোর্ড বলছে নম্বর পাননি, কারিগরি ত্রুটির কথা বলছেন তারা। তিনি আরও বলেন, বোর্ড থেকে বলা হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের ফলাফল অকৃতকার্য এসেছে সেগুলো নিয়ে বোর্ডে যাওয়ার জন্য। যেহেতু অনলাইনে হয়নি তাই ২৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ম্যানুয়্যালি নিয়ে যেতে হবে। আশা করি আগামী রোবিবার বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এজন্য ৬৩ পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়েছে। এ নিয়ে ঢাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে আমরা কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি।
চুয়াডাঙ্গা বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ না হওয়ায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ভোকেশনাল বিভাগ থেকে অংশ নেয়া ৬৩ জন পরীক্ষার্থী ফেল করেছে।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। এমন বিপর্যয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জানা গেছে, ২০২৫ সালে হাসাদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ শিক্ষার্থী ভোকেশনাল বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের টেড ইন্সট্রাকশন বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় সবাই অকৃতকার্য হয়েছ।
বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা শুক্রবার সকালে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সমস্যা সমাধানের জন্য মানববন্ধন করেন। তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবী করেন।
অর্ক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সব বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়েছি, তবুও সবকিছু শেষ। কার কী দোষ আমি জানি না। ভালো পরীক্ষা দিয়েও কেন ব্যাবহারিককে ফেল এসেছে? কেন তা জানিনা-এটা তদন্ত করে সমাধান করা হোক।’
মিম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ব্যবহারিকের নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের হাত দিয়েই দেয়া হয়। নম্বর মার্কশিটে যোগ না হওয়ায় সবাই ফেল করেছে। কেন এমনটা হলো, এজন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দায়ী। তারা ভালোভাবে মনিটরিং করলে এমনটি হতো না।’
সিফাত নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা সকলেই আমাদের ব্যবহারিক খাতা সময় মতো বিদ্যালয়ে জমা দিয়েছি। এটার দায় সম্পূর্ণ শিক্ষকদের। ওনাদের ব্যার্থতার দায় আমরা কেন নেব। এটার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এখান থেকে শিক্ষার্থীদের নম্বর যথাসময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছি। কিন্তু বোর্ড বলছে নম্বর পাননি, কারিগরি ত্রুটির কথা বলছেন তারা। তিনি আরও বলেন, বোর্ড থেকে বলা হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের ফলাফল অকৃতকার্য এসেছে সেগুলো নিয়ে বোর্ডে যাওয়ার জন্য। যেহেতু অনলাইনে হয়নি তাই ২৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ম্যানুয়্যালি নিয়ে যেতে হবে। আশা করি আগামী রোবিবার বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।
বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এজন্য ৬৩ পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়েছে। এ নিয়ে ঢাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে আমরা কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে আশা করছি।