আধুনিক যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া নেই চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার জয়নগর ও কদমতলী গ্রামে। সু-শিক্ষা গ্রহনে নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। বছরের পুরো সময় হেঁটে চলাই জয়নগর উত্তাংশ ও কদমতলী গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। এ দুই গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহনের কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।
২০০৪ সালে চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনের প্রচেষ্টায় তানজিলা নাহার হক প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় চালু করা হয়।
জানা গেছে, তৎকালীন সময়ে ওই বিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য জয়নগর গ্রামের অধিবাসী আব্দুর রহিম পাটওয়ারী ১৫ শতাংশসহ ৩৫ শতাংশ ভূমি দেন স্থানীয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ওই সময়ে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন করা হয়। আসবাবপত্রসহ ভবনটি এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। ওই ভবনে ৪ জন শিক্ষকের মাধ্যমে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। যা প্রায় ২ বছর পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে শিক্ষকদের মাসিক বেতন, সরকারি বিভিন্ন বিধি বিধান না পূরন হওয়ায় দুই বছরের মাথায় ২০০৬ সালের শেষ দিকে তা বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘ দিন এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা কাঁচা রাস্তা ও বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে অনেক কষ্টে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার দূরে রাগদৈল ও বায়েক গ্রামে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী সু-শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের জমি দাতা আব্দুর রহিম পাটওয়ারী জানান, আমাদের গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকেই শিশু শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কোন ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। তাই গ্রামের মানুষের পরামর্শে ওই গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেই। মাঝ পথে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় নতুন করে বিদ্যালয়টি স্থাপনের জোড় দাবী জানাই।
স্থানীয় অধিবাসী বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াদুদ ব্যাপারী, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, বাবুল মিয়া ও সমাজ সেবক শহীদ উল্লাহ জানান, বিদ্যালয়টি পূনরায় চালু সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। আমরা এ গ্রামের শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষায় এগিয়ে নিতে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়টি পূনরায় চালু করনের বিষয়ে এলাকাবাসীর আবেদন পেয়েছি। বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়টি পূনরায় কার্যক্রম চালু করতে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেয়া হবে।
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
আধুনিক যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া নেই চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার জয়নগর ও কদমতলী গ্রামে। সু-শিক্ষা গ্রহনে নেই কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা। বছরের পুরো সময় হেঁটে চলাই জয়নগর উত্তাংশ ও কদমতলী গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা। এ দুই গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহনের কোন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই।
২০০৪ সালে চার দলীয় জোট সরকারের সময়ে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনের প্রচেষ্টায় তানজিলা নাহার হক প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় চালু করা হয়।
জানা গেছে, তৎকালীন সময়ে ওই বিদ্যালয়টি স্থাপনের জন্য জয়নগর গ্রামের অধিবাসী আব্দুর রহিম পাটওয়ারী ১৫ শতাংশসহ ৩৫ শতাংশ ভূমি দেন স্থানীয় এলাকাবাসী। পরবর্তীতে জেলা পরিষদের অর্থায়নে ওই সময়ে ৩ কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন করা হয়। আসবাবপত্রসহ ভবনটি এখন পরিত্যাক্ত অবস্থায় রয়েছে। ওই ভবনে ৪ জন শিক্ষকের মাধ্যমে প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষার্থী নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা হয়। যা প্রায় ২ বছর পরিচালনা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে শিক্ষকদের মাসিক বেতন, সরকারি বিভিন্ন বিধি বিধান না পূরন হওয়ায় দুই বছরের মাথায় ২০০৬ সালের শেষ দিকে তা বন্ধ হয়ে যায়।
দীর্ঘ দিন এ অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা কাঁচা রাস্তা ও বর্ষাকালে নৌকা দিয়ে অনেক কষ্টে প্রায় ২-৩ কিলোমিটার দূরে রাগদৈল ও বায়েক গ্রামে গিয়ে শিক্ষা অর্জন করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষার্থী সু-শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিদ্যালয়ের জমি দাতা আব্দুর রহিম পাটওয়ারী জানান, আমাদের গ্রামে স্বাধীনতার পর থেকেই শিশু শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে কোন ধরনের প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। তাই গ্রামের মানুষের পরামর্শে ওই গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেই। মাঝ পথে বিদ্যালয়টি বন্ধ থাকায় নতুন করে বিদ্যালয়টি স্থাপনের জোড় দাবী জানাই।
স্থানীয় অধিবাসী বিএনপি নেতা আব্দুল ওয়াদুদ ব্যাপারী, জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা, বাবুল মিয়া ও সমাজ সেবক শহীদ উল্লাহ জানান, বিদ্যালয়টি পূনরায় চালু সময়ের দাবীতে পরিনত হয়েছে। আমরা এ গ্রামের শিক্ষার্থীদের সু-শিক্ষায় এগিয়ে নিতে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সকলের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
কচুয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শাহীনা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়টি পূনরায় চালু করনের বিষয়ে এলাকাবাসীর আবেদন পেয়েছি। বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়টি পূনরায় কার্যক্রম চালু করতে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেয়া হবে।