মধুপুর (টাঙ্গাইল) : মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় -সংবাদ
টাঙ্গাইলের অন্যতম বিদ্যাপিঠের নাম মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। লাল মাটির বংশাই বিধৌত নদীর তীরে অবস্থিত এ বিদ্যাপিঠটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অট্রালিকা সুরম্যসম সুন্দর মনোরম পরিবেশে চলছে পাঠদান। যোগাযোগ ব্যবস্থা আর বিদ্যালয়ের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার কারণে বরাবরের মতো এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অর্জন করেছে অভাবনীয় সাফল্য। শিক্ষক ছাত্রদের উপস্থিতি অভিভাবক সম্মেলন ও নিয়মিত পাঠদান পরীক্ষার কারণেই বিদ্যালয়টি জেলার মধ্যে বরাবরই অনন্য স্বাক্ষর রেখে চলছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২৬ জন। এমন অর্জনে শহরে সর্বত্র বইছে বিদ্যালয়ের প্রশংসা। সারা দেশে যখন পাশের হার নিম্নমুখী তখন এমন ফলাফলে খুশি অভিভাবক শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী ও পরিচালনা কমিটি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মোট ৩৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ছিল। বিজ্ঞান বিভাগে ২৩০ জনের মধ্যে ২০৬ জন জিপিএ ৫ আর ২৪ জন এ গ্রেড পেয়েছে। মানবিকে ১২৮ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২০, এ ৯৯ ও এ মাইনাস পেয়েছে ৯ জন। ব্যবসায় শিক্ষায় ১৪ জনের মধ্যে এ ৮ ও এ মাইনাস পেয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাশ ও জিপিএ প্রাপ্তিতে আনন্দের বন্যা বইছে। ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত টানা শতভাগ পাশ করে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র শিক্ষকদের উপস্থিতি আশানুরূপ। শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি আর শিক্ষার্থীদের ৯৯% উপস্থিতির কারণে এমন ফলাফল অর্জন। বিদ্যালয়ের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলা বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পড়াশোনার মানকে বরাবরই এগিয়ে নিচ্ছে। যার কারণে এবারেরও শতভাগ পাশ ও জিপিএ অর্জন করেছে বলে তিনি মনে করেন।
সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী শিহাব জানান, হোম ভিজিট তদারকি, অভিভাবক সম্মেলন করা হয়। নিয়মিত পরীক্ষা ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট নিয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীদের স্পেশাল ক্লাস পরীক্ষা নেয়া হয়। নিয়মিত পাঠদানের মধ্যে দিয়ে কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলায় এ বিদ্যালয় বরাবরই সুনাম অর্জন করে আসছে। তিনি জানান, অধিকতর যত্নশীল হয়ে এখন টার্গেট হচ্ছে বোর্ডে টপটেন হওয়া।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় শতকরা পাসের হারে মধুপুর উপজেলা টাঙ্গাইল জেলায় ১ম এবং জিপিএ ফাইভে ২য় হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকদের শ্রম এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায় ও মেধার বিনিময়ে এটা সম্ভব হয়েছে।
০৫ আগষ্ট ২০২৪ সাল পরবর্তী উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ প্রাপ্তি তার খুবই আনন্দের বলে তিনি জানান।
মধুপুর (টাঙ্গাইল) : মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় -সংবাদ
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
টাঙ্গাইলের অন্যতম বিদ্যাপিঠের নাম মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। লাল মাটির বংশাই বিধৌত নদীর তীরে অবস্থিত এ বিদ্যাপিঠটি শহরের প্রাণ কেন্দ্রে অট্রালিকা সুরম্যসম সুন্দর মনোরম পরিবেশে চলছে পাঠদান। যোগাযোগ ব্যবস্থা আর বিদ্যালয়ের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার কারণে বরাবরের মতো এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অর্জন করেছে অভাবনীয় সাফল্য। শিক্ষক ছাত্রদের উপস্থিতি অভিভাবক সম্মেলন ও নিয়মিত পাঠদান পরীক্ষার কারণেই বিদ্যালয়টি জেলার মধ্যে বরাবরই অনন্য স্বাক্ষর রেখে চলছে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় শতভাগ পাশ আর জিপিএ ৫ পেয়েছে ২২৬ জন। এমন অর্জনে শহরে সর্বত্র বইছে বিদ্যালয়ের প্রশংসা। সারা দেশে যখন পাশের হার নিম্নমুখী তখন এমন ফলাফলে খুশি অভিভাবক শিক্ষক ছাত্র ছাত্রী ও পরিচালনা কমিটি।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় মোট ৩৭২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে ছিল। বিজ্ঞান বিভাগে ২৩০ জনের মধ্যে ২০৬ জন জিপিএ ৫ আর ২৪ জন এ গ্রেড পেয়েছে। মানবিকে ১২৮ জনের মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২০, এ ৯৯ ও এ মাইনাস পেয়েছে ৯ জন। ব্যবসায় শিক্ষায় ১৪ জনের মধ্যে এ ৮ ও এ মাইনাস পেয়েছে ৬ জন শিক্ষার্থী। শতভাগ পাশ ও জিপিএ প্রাপ্তিতে আনন্দের বন্যা বইছে। ২০২১ সাল থেকে এ পর্যন্ত টানা শতভাগ পাশ করে যাচ্ছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র শিক্ষকদের উপস্থিতি আশানুরূপ। শিক্ষকদের শতভাগ উপস্থিতি আর শিক্ষার্থীদের ৯৯% উপস্থিতির কারণে এমন ফলাফল অর্জন। বিদ্যালয়ের কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলা বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পড়াশোনার মানকে বরাবরই এগিয়ে নিচ্ছে। যার কারণে এবারেরও শতভাগ পাশ ও জিপিএ অর্জন করেছে বলে তিনি মনে করেন।
সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুন্নবী শিহাব জানান, হোম ভিজিট তদারকি, অভিভাবক সম্মেলন করা হয়। নিয়মিত পরীক্ষা ক্লাস টেস্ট, মডেল টেস্ট নিয়ে দুর্বল শিক্ষার্থীদের স্পেশাল ক্লাস পরীক্ষা নেয়া হয়। নিয়মিত পাঠদানের মধ্যে দিয়ে কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলায় এ বিদ্যালয় বরাবরই সুনাম অর্জন করে আসছে। তিনি জানান, অধিকতর যত্নশীল হয়ে এখন টার্গেট হচ্ছে বোর্ডে টপটেন হওয়া।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন জানান, এবারের এসএসসি পরীক্ষায় শতকরা পাসের হারে মধুপুর উপজেলা টাঙ্গাইল জেলায় ১ম এবং জিপিএ ফাইভে ২য় হয়েছে। এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষকদের শ্রম এবং শিক্ষার্থীদের অধ্যবসায় ও মেধার বিনিময়ে এটা সম্ভব হয়েছে।
০৫ আগষ্ট ২০২৪ সাল পরবর্তী উপজেলার প্রতিটি মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দায়িত্ব পালন করে আসছে। এ প্রাপ্তি তার খুবই আনন্দের বলে তিনি জানান।