alt

সারাদেশ

দৌলতপুরের সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

প্রতিনিধি, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) : শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বুলবুল আহাম্মেদ টোকেন চৌধুরীর সম্পদের বিবরণ চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে দুদকের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে এ নোটিশ দেওয়া হয়। দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জারিকৃত নোটিশে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ গোপনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী, নির্ধারিত ফরমে সম্পদ বিবরণী ২১ কার্য দিবসে মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

রেজাউল হক চৌধুরী দৌলতপুর আসনে ২০১৪ ও ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র ভোট করে এমপি নির্বাচিত হয় ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ছোট ভাই বুলবুল আহাম্মেদ টোকেন চৌধুরী ২০২৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে গেল বছরের ৫ আগস্টের পর এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান তারা। দুদকের নোটিশ জারির পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

দুদকের নোটিশ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রেজাউল হক ও টোকেন চৌধুরীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে রেজাউল হক চৌধুরীর ছেলে ইমরান চৌধুরী কলিন্স বলেন, ‘দুদকের নোটিশের বিষয়ে শুনেছি, তবে এখনো হাতে পাইনি। ব্যাংক হিসাব জব্দের বিষয়টিও আমরা সংবাদমাধ্যম থেকেই জেনেছি। আমাদের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই, বরং আমরা ব্যাংকের কাছে ঋণগ্রস্থ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পদের হিসাব ফরম জমা দেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়া দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমাদের কাছে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে। তারই আলোকে সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও তার ভাই টোকেন চৌধুরীর বাড়িতে সম্পদ হিসাবের বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা বাড়িতে না থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তার ভাই ও ভাতিজার সম্মুখে নোটিশ তাদের বাড়িতে ঝুলিয়ে দিয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের বিবরণ না দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে ।

শ্রীনগরে ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য স্বপন মেম্বার গ্রেফতার হওয়ায় এলাকাবাসীর স্বস্তি! মিষ্টি বিতরণ

এবার ভোটের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণার দাবি বিএনপির

ছবি

ছিনতাইয়ের ফোন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও প্রতিবেশী দেশে পাচার, চট্টগ্রামে অভিযান

ছবি

সন্ধান মেলেনি সাগরে নিখোঁজ চবি শিক্ষার্থী অরিত্র হাসানের

ছবি

তিস্তা-যমুনা চরের দারিদ্র্যতার ঝুঁকিতে ১৫ লাখ মানুষ

ছবি

বোয়ালখালীতে নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস

নবাবগঞ্জে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু

চট্টগ্রামে স্ত্রীকে খুন করে পালিয়ে গেল স্বামী

নিজ ঘরে স্টিলের বাক্সে গৃহবধূর মরদেহ, স্বামী পুলিশ হেফাজতে

যাত্রাবাড়ীতে কয়েল জ্বালানোর সময় বিস্ফোরণ, মারা গেলেন ইতি আক্তার

বোরকা পরে স্ত্রীকে তুলে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন

ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে পোশাকশ্রমিক নিহত

ছবি

মোহনগঞ্জ সাধারণ পাঠাগার আলো ছড়ানোর ৩৭ বছর

হত্যার হুমকি দিয়ে স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

কুষ্টিয়ায় অটোচালককে হত্যার প্রতিবাদে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী মহাসড়ক অবরোধ

লালমাইয়ে চার মাদকসেবী দণ্ডিত

ছবি

যমুনায় পানি বৃদ্ধির সঙ্গে বাড়ছে ভাঙন দিশাহারা নদীপাড়ের মানুষ

ছবি

চকরিয়ায় সওজের জমি থেকে অবৈধ মার্কেট উচ্ছেদ অভিযান

স্বেচ্ছাশ্রমে রাস্তা পরিষ্কার করলো যুবসমাজ

বিষ প্রয়োগে পুকুরের মাছ নিধনের অভিযোগ

ছবি

৪০ টাকার কাঁচা মরিচ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নওগাঁয় ২৪০ টাকা

শ্রীমঙ্গলে অবৈধ ভারতীয় চা পাতা উদ্ধার, জরিমানা

নিখোঁজ তানজিদের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

অবশেষে কাশিমপুর ক্রসবাঁধ অপসারিত

জীবন্ত গাছের নীরব কান্না পেরেক ঢুকিয়ে ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রচার-প্রচারণা

৯ মাস পর লিবিয়া থেকে ফিরলেন সাগর, মানবপাচারের ফাঁদ থেকে মুক্ত

সুন্দরবনে ৩টি ট্রলারসহ ২৭ জেলে আটক

১১ বছর পরে ফরিদপুরে রাজন হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন

ছবি

পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাচ্ছে মধুপুর শালবন

শেরপুরে নবম শ্রেণীর ছাত্রকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল

ছবি

দশমিনার সবুজবাগে সরকারি খালটি মৃতপ্রায় জলাবদ্ধ শত শত পরিবার

চা শ্রমিক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার

চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস থেকে দেশকে মুক্তি দিতে চাই নড়াইলে পথসভায় নাহিদ

ফল জালিয়াতি রাজশাহীর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরখাস্ত

ছবি

মাদারীপুরে কয়েক দিনের বৃষ্টিতে জনজীবন বিপর্যস্ত, সড়ক জলাবদ্ধ

মোরেলগঞ্জে ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

tab

সারাদেশ

দৌলতপুরের সাবেক এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সম্পদের হিসাব চেয়েছে দুদক

প্রতিনিধি, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)

শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

কুষ্টিয়া দৌলতপুর উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও তার ছোট ভাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বুলবুল আহাম্মেদ টোকেন চৌধুরীর সম্পদের বিবরণ চেয়ে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (৯ জুলাই) দুপুরে দুদকের কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে এ নোটিশ দেওয়া হয়। দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জারিকৃত নোটিশে বলা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং সম্পদ গোপনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। দুদক আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী, নির্ধারিত ফরমে সম্পদ বিবরণী ২১ কার্য দিবসে মধ্যে জমা দিতে বলা হয়েছে।

রেজাউল হক চৌধুরী দৌলতপুর আসনে ২০১৪ ও ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র ভোট করে এমপি নির্বাচিত হয় ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার ছোট ভাই বুলবুল আহাম্মেদ টোকেন চৌধুরী ২০২৪ সালের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

জানা গেছে গেল বছরের ৫ আগস্টের পর এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যান তারা। দুদকের নোটিশ জারির পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

দুদকের নোটিশ ও ব্যাংক হিসাব জব্দের বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও রেজাউল হক ও টোকেন চৌধুরীর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে রেজাউল হক চৌধুরীর ছেলে ইমরান চৌধুরী কলিন্স বলেন, ‘দুদকের নোটিশের বিষয়ে শুনেছি, তবে এখনো হাতে পাইনি। ব্যাংক হিসাব জব্দের বিষয়টিও আমরা সংবাদমাধ্যম থেকেই জেনেছি। আমাদের কোনো অবৈধ সম্পদ নেই, বরং আমরা ব্যাংকের কাছে ঋণগ্রস্থ। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সম্পদের হিসাব ফরম জমা দেওয়া হবে।’

কুষ্টিয়া দুদকের উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমাদের কাছে তাদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ রয়েছে। তারই আলোকে সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও তার ভাই টোকেন চৌধুরীর বাড়িতে সম্পদ হিসাবের বিবরণী চেয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। তারা বাড়িতে না থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তার ভাই ও ভাতিজার সম্মুখে নোটিশ তাদের বাড়িতে ঝুলিয়ে দিয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান চলছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্পদের বিবরণ না দিলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে ।

back to top