শালগজারি গামারি বহেরাসহ দেশি প্রজাতিতে হবে বনায়ন বনায়নের গাছ কর্তন হবে না, সুবিধাভোগীরা পাবে লভ্যাংশ হচ্ছে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর গৃহ জরিপ ও জনশুমারি
মধুপুর (টাঙ্গাইল) : গাছের চারা রোপণ করছেন কর্মকর্তারা -সংবাদ
এক সময় দেশের তৃতীয় বৃহত্তর মধুপুর গড়ের শালবন ছিল ইতিহাস ঐতিহ্যখ্যাত। পত্র ঝরা এ বন ছিল সমৃদ্ধ বনাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্য আর অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণী পাখি ভেষজ গুল্মলতায় দূর্ভেদ্য ছিল। প্রায় ৪৫ হাজার একরের এ বনে ছিল বুনো খাদ্যের বিশাল ভান্ডার। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বুনোখাদ্য, নানা ফরমূলসহ বিরল ও দেশি প্রজাতির জানা অজানা বৃক্ষ লতার সমাহারে সজ্জিত এ বনটি নানা কারণে তার আয়তন সংকুচিত হয়ে গেছে।হারাচ্ছে তার অতীত ঐতিহ্য। খাদ্য ভান্ডার, জীব বৈচিত্র্যেও বিরূপ প্রভাবের দেখা দিচ্ছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে অনেক বৃক্ষ লতা। কমে যাচ্ছে বনের প্রাণীকূল। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বুনোখাদ্যের ভান্ডারে দেখা মেলে না আগের মতো বাহারি আলু লতা পাতাসহ নানা খাদ্য। বন সংকোচনের ফলে বেড়েছে সামাজিক বনায়ন। শাল গজারি মানানসই বৃক্ষ না বেড়ে , সামাজিক বনায়নে বেড়েছে বিদেশি প্রজাতির আগ্রাসীর দাপুটে বাগান। আর এসব বাগানে বাণিজ্যিক চাষাবাদের ফলে জীব বৈচিত্র্য যেমন কমে যাচ্ছে, তেমনি ঐতিহ্যও হারাচ্ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বনের ঐতিহ্য ফেরাতে সরকার বিদেশি প্রজাতির আগ্রাসী গাছ নিষিদ্ধের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শালগজারিসহ দেশি প্রজাতির গাছের চারা বীজ রোপন কার্যক্রম গ্রহন করেছে। এ কার্যক্রমের ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও প্রথাগত বনবাসীদের নিয়ে মধুপুর শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিটরা। সে লক্ষ্যে মধুপুর বনাঞ্চলে শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর গৃহ জরিপ ও জনশুমারি, বনের সীমানা চিহ্নিতকরণ, হারিয়ে যাওয়া বন্যপ্রানী সংরক্ষণ ও মত বিনিময় সভার কার্যক্রম করে যাচ্ছে বন বিভাগ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র সহায়তায় মধুপুর জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ ও উত্তর বঙ্গের জাতীয় আদিবাসী পরিষদের যৌথ উদ্যোগে জনস্বার্থে ১৮৩৪/২০১০ নং রিট পিটিশন দায়ের করে। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট প্রদত্ত রায়ে ৯ টি ইস্যু গঠন করে উচ্চ আদালত কর্তৃক মামলাটি নিষ্পত্তি করে রায়ে বাদীগণের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করে আদালতের নির্দেশনা সমূহ বাস্তবায়ন করে বিস্তাারিত প্রতিদেন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
সে প্রেক্ষিতে ইস্যুগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রধান বন সংরক্ষকের সভাপতিত্বে বন ভবন ও মধুপুর জাতীয় উদ্যানে পৃথক দুটি সভা করে বন বিভাগ।
সভা সমূহের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে মধুপুর শালবন ও শালবন সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রতিটি গৃহে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ২০ জনের জরিপসহকারিদের একদিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সে লক্ষ্যে ৯ জুলাই বুধবার বিকেলে বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জের বাংলোতে টাঙ্গাইল বন বিভাগের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশ গ্রহনে মধুপুর শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠা প্রকল্প আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা করে বন বিভাগ।
এ সভায় সভাপতিত্ব করে সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন। উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র,রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন,কারিতাসের বাঁধন চিরানসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারি,সাংবাদিক ও জরিপসহকারি দল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে এ প্রকল্প শুরু হয়েছে। প্রায় ১৩ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দের এ প্রকল্প চলবে তিন বছর। বনের সীমানা চিহ্নিত, হারিয়ে যাওয়া বন্য প্রাণীর ব্যবস্থা করা,গৃহ জরিপ করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করা হচ্ছে। বন উপদেষ্টার মাধ্যমে সীমানা চিহ্নিত করণ ও বন্যপ্রাণীর ব্যবস্থাকরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন জরিপ কাজ শুরু করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গৃহ জরিপের কাজ, একটা বড় কাজ। বেলা আর কারিতাসের মাধ্যমে জরিপটি হয়েছিল। এখন বনাঞ্চলে বনের এলাকায় প্রথাগত বনবাসী আছে,তাদের সবারই জরিপ করা হবে। ৮ ইউনিয়নে ১শ’২ টি গ্রামে জরিপ চলবে বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি, সিএমসির সদস্যদের নিয়ে সভা করে সবার উপস্থিতিতে এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ্যাপসের মাধ্যমে এ ডাটা সংগ্রহে থাকবে খানার লোকসংখ্যা, জমির পরিমান,আনারস কলা পেঁপেসহ চাষবাদকৃত কৃষি পরিমান,জমি অন্যত্র লিজ দেয়া থাকলে লিজকৃত ব্যক্তির নাম, শালবনে কিকি গাছ লাগাতে পছন্দ এসব তথ্যে সমৃদ্ধ করা হবে। জরিপ শেষে শাল গজারি ও শাল লাগসই গাছ লাগানো হবে। এভাবে শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। অশিংদার যারা হবে তারা প্লটের গাছের পরিমান প্রভৃতি গাছ ঠিক করবে। লেজারে হিসাব কষে অংশিদার পাবে আবৃতের মূল্য ৪৫% অর্থ। তবে বনায়নের গাছ কাটা হবে না। এভাবে প্রতি আর্বতে একই ভাবে টাকা পাবে।
তিনি বলেন, এভাবে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বন উদ্ধার হবে। জীববৈচিত্র্যও রক্ষা পাবে। আগের প্রকল্পগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে বন বিভাগ এভাবেই কাজ করবে।
বনের হারানো ঐতিহ্য রক্ষায় শাল গজারির মানানসই দেশি প্রজাতির গাছের গুরুত্ব তোলে ধরে তিনি বলেন, শেরপুরের মডেল বাসকপাতা। বাসক চাষ সফল ভাবে শেষ হয়েছে। কলা আনারসের মত এত অর্থের প্রয়োজন হয় না। এমন কিছু করা যায় কিনা সে বিষয়েও অবহিত করেন তিনি। গৃহ জরিপ ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে শেষ হবে। তথ্য সংগ্রহকারিরা সবাই ঘরে ঘরে যাবে। প্রত্যেক পরিবারেই গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। জরিপের তালিকা উন্মুক্ত করা হবে। যাতে কেউ বাদ না যায়। এ তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার প্রকাশের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়বে বলেও তিনি মনে করেন।
মধুপুর বনের শাল গজারি পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেলে এ বন তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। সামাজিক বনায়নে শাল গজারিসহ দেশী পরিবেশ সম্মত বনজে ভরে উঠবে লাল মাটির এ শালবন। এমনটাই আশা স্থানীয়দের।
শালগজারি গামারি বহেরাসহ দেশি প্রজাতিতে হবে বনায়ন বনায়নের গাছ কর্তন হবে না, সুবিধাভোগীরা পাবে লভ্যাংশ হচ্ছে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর গৃহ জরিপ ও জনশুমারি
মধুপুর (টাঙ্গাইল) : গাছের চারা রোপণ করছেন কর্মকর্তারা -সংবাদ
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
এক সময় দেশের তৃতীয় বৃহত্তর মধুপুর গড়ের শালবন ছিল ইতিহাস ঐতিহ্যখ্যাত। পত্র ঝরা এ বন ছিল সমৃদ্ধ বনাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম। প্রাকৃতিক নানা বৈচিত্র্য আর অভয়ারণ্যে বন্যপ্রাণী পাখি ভেষজ গুল্মলতায় দূর্ভেদ্য ছিল। প্রায় ৪৫ হাজার একরের এ বনে ছিল বুনো খাদ্যের বিশাল ভান্ডার। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বুনোখাদ্য, নানা ফরমূলসহ বিরল ও দেশি প্রজাতির জানা অজানা বৃক্ষ লতার সমাহারে সজ্জিত এ বনটি নানা কারণে তার আয়তন সংকুচিত হয়ে গেছে।হারাচ্ছে তার অতীত ঐতিহ্য। খাদ্য ভান্ডার, জীব বৈচিত্র্যেও বিরূপ প্রভাবের দেখা দিচ্ছে। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে অনেক বৃক্ষ লতা। কমে যাচ্ছে বনের প্রাণীকূল। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর বুনোখাদ্যের ভান্ডারে দেখা মেলে না আগের মতো বাহারি আলু লতা পাতাসহ নানা খাদ্য। বন সংকোচনের ফলে বেড়েছে সামাজিক বনায়ন। শাল গজারি মানানসই বৃক্ষ না বেড়ে , সামাজিক বনায়নে বেড়েছে বিদেশি প্রজাতির আগ্রাসীর দাপুটে বাগান। আর এসব বাগানে বাণিজ্যিক চাষাবাদের ফলে জীব বৈচিত্র্য যেমন কমে যাচ্ছে, তেমনি ঐতিহ্যও হারাচ্ছিল বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বনের ঐতিহ্য ফেরাতে সরকার বিদেশি প্রজাতির আগ্রাসী গাছ নিষিদ্ধের পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শালগজারিসহ দেশি প্রজাতির গাছের চারা বীজ রোপন কার্যক্রম গ্রহন করেছে। এ কার্যক্রমের ফলে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ও প্রথাগত বনবাসীদের নিয়ে মধুপুর শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশা করছে সংশ্লিটরা। সে লক্ষ্যে মধুপুর বনাঞ্চলে শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর গৃহ জরিপ ও জনশুমারি, বনের সীমানা চিহ্নিতকরণ, হারিয়ে যাওয়া বন্যপ্রানী সংরক্ষণ ও মত বিনিময় সভার কার্যক্রম করে যাচ্ছে বন বিভাগ।
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)’র সহায়তায় মধুপুর জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদ ও উত্তর বঙ্গের জাতীয় আদিবাসী পরিষদের যৌথ উদ্যোগে জনস্বার্থে ১৮৩৪/২০১০ নং রিট পিটিশন দায়ের করে। ২০১৯ সালের ২৮ আগস্ট প্রদত্ত রায়ে ৯ টি ইস্যু গঠন করে উচ্চ আদালত কর্তৃক মামলাটি নিষ্পত্তি করে রায়ে বাদীগণের সমন্বয়ে একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটি গঠন করে আদালতের নির্দেশনা সমূহ বাস্তবায়ন করে বিস্তাারিত প্রতিদেন দাখিলের জন্য বলা হয়েছে।
সে প্রেক্ষিতে ইস্যুগুলো বাস্তবায়নের জন্য প্রধান বন সংরক্ষকের সভাপতিত্বে বন ভবন ও মধুপুর জাতীয় উদ্যানে পৃথক দুটি সভা করে বন বিভাগ।
সভা সমূহের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে মধুপুর শালবন ও শালবন সংলগ্ন এলাকায় বসবাসরত বন নির্ভর জনগোষ্ঠীর প্রতিটি গৃহে জরিপ কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য ২০ জনের জরিপসহকারিদের একদিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। সে লক্ষ্যে ৯ জুলাই বুধবার বিকেলে বন বিভাগের দোখলা রেঞ্জের বাংলোতে টাঙ্গাইল বন বিভাগের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর অংশ গ্রহনে মধুপুর শালবন পুনঃ প্রতিষ্ঠা প্রকল্প আয়োজিত এক মতবিনিময় সভা করে বন বিভাগ।
এ সভায় সভাপতিত্ব করে সহকারী বন সংরক্ষক মো. আবু সালেহ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন। উপজেলা পরিসংখান কর্মকর্তা নারায়ন চন্দ্র,রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন, সাংবাদিক জয়নাল আবেদীন,কারিতাসের বাঁধন চিরানসহ বন বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারি,সাংবাদিক ও জরিপসহকারি দল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইলের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ডের মাধ্যমে এ প্রকল্প শুরু হয়েছে। প্রায় ১৩ কোটি ৪৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দের এ প্রকল্প চলবে তিন বছর। বনের সীমানা চিহ্নিত, হারিয়ে যাওয়া বন্য প্রাণীর ব্যবস্থা করা,গৃহ জরিপ করাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম করা হচ্ছে। বন উপদেষ্টার মাধ্যমে সীমানা চিহ্নিত করণ ও বন্যপ্রাণীর ব্যবস্থাকরণের উদ্বোধন করা হয়েছে। এখন জরিপ কাজ শুরু করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গৃহ জরিপের কাজ, একটা বড় কাজ। বেলা আর কারিতাসের মাধ্যমে জরিপটি হয়েছিল। এখন বনাঞ্চলে বনের এলাকায় প্রথাগত বনবাসী আছে,তাদের সবারই জরিপ করা হবে। ৮ ইউনিয়নে ১শ’২ টি গ্রামে জরিপ চলবে বলেও তিনি জানান। এ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি, সিএমসির সদস্যদের নিয়ে সভা করে সবার উপস্থিতিতে এ সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।
এ্যাপসের মাধ্যমে এ ডাটা সংগ্রহে থাকবে খানার লোকসংখ্যা, জমির পরিমান,আনারস কলা পেঁপেসহ চাষবাদকৃত কৃষি পরিমান,জমি অন্যত্র লিজ দেয়া থাকলে লিজকৃত ব্যক্তির নাম, শালবনে কিকি গাছ লাগাতে পছন্দ এসব তথ্যে সমৃদ্ধ করা হবে। জরিপ শেষে শাল গজারি ও শাল লাগসই গাছ লাগানো হবে। এভাবে শালবন পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা হবে। অশিংদার যারা হবে তারা প্লটের গাছের পরিমান প্রভৃতি গাছ ঠিক করবে। লেজারে হিসাব কষে অংশিদার পাবে আবৃতের মূল্য ৪৫% অর্থ। তবে বনায়নের গাছ কাটা হবে না। এভাবে প্রতি আর্বতে একই ভাবে টাকা পাবে।
তিনি বলেন, এভাবে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে বন উদ্ধার হবে। জীববৈচিত্র্যও রক্ষা পাবে। আগের প্রকল্পগুলোর অভিজ্ঞতার আলোকে বন বিভাগ এভাবেই কাজ করবে।
বনের হারানো ঐতিহ্য রক্ষায় শাল গজারির মানানসই দেশি প্রজাতির গাছের গুরুত্ব তোলে ধরে তিনি বলেন, শেরপুরের মডেল বাসকপাতা। বাসক চাষ সফল ভাবে শেষ হয়েছে। কলা আনারসের মত এত অর্থের প্রয়োজন হয় না। এমন কিছু করা যায় কিনা সে বিষয়েও অবহিত করেন তিনি। গৃহ জরিপ ৩০ কর্ম দিবসের মধ্যে শেষ হবে। তথ্য সংগ্রহকারিরা সবাই ঘরে ঘরে যাবে। প্রত্যেক পরিবারেই গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করবে। জরিপের তালিকা উন্মুক্ত করা হবে। যাতে কেউ বাদ না যায়। এ তথ্য গণমাধ্যমে প্রচার প্রকাশের মাধ্যমে সচেতনতা বাড়বে বলেও তিনি মনে করেন।
মধুপুর বনের শাল গজারি পুনঃপ্রতিষ্ঠা পেলে এ বন তার হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। সামাজিক বনায়নে শাল গজারিসহ দেশী পরিবেশ সম্মত বনজে ভরে উঠবে লাল মাটির এ শালবন। এমনটাই আশা স্থানীয়দের।