টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফেনীর পাঁচ উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে ১১২টি গ্রাম। এতে বন্যাকবলিত হয়েছেন অন্তত ৩৪ হাজার ৬০০ জন মানুষ। পানি কিছুটা কমতে শুরু করায় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অনেকে বাড়িমুখো হয়েছেন। তবে এখনো বিভিন্ন এলাকায় কোমরসমান পানি থাকায় বিপাকে রয়েছেন অনেকে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, দাগনভূঞা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার তীব্রতা কমেনি।
বন্যার কারণে ফুলগাজী ও পরশুরামের অধিকাংশ এলাকা এখনো পানির নিচে। প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, পাঁচ উপজেলায় মোট ৮ হাজার ৯৬৬ জন মানুষ ২ হাজার ৬২৫টি পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। একইসঙ্গে ৬৪৮টি গবাদিপশুকেও রাখা হয়েছে এসব কেন্দ্রে। তবে অনেকে খাবার না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
উত্তর শ্রীপুর গ্রামের চা দোকানি মোহাম্মদ নুর নবী জানান, তার ঘর ও দোকান ভেঙে গেছে, পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন পার করছেন।
অপরদিকে ষাটোর্ধ্ব জাহানারা বেগম বলেন, চার দিন ধরে পানিবন্দি থাকলেও কেউ খবর নেয়নি।
সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বন্যায়। ফেনী-পরশুরাম, ফেনী-ছাগলনাইয়া ও বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন সড়কে এখনো পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তিন ফুটেরও বেশি গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড়ে, ফলে যানবাহনের গতি ৭০ কিলোমিটার থেকে কমে ৫ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। যাত্রীদের কেউ কেউ তিন-চার গুণ বেশি ভাড়ায় ট্রাক্টর বা অন্য যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
এদিকে ফুলগাজীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন নুরুল আলম নামে ৬২ বছরের এক বৃদ্ধ। নিহত ব্যক্তি দৌলতপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক কমান্ডারের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্যা আক্রান্তদের জন্য পাঁচ উপজেলায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আক্রান্ত উপজেলাগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের সব কর্মকর্তা তৎপর রয়েছেন। পরিস্থিতির দ্রুতই উন্নতি হচ্ছে।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে ফেনীর পাঁচ উপজেলায় প্লাবিত হয়েছে ১১২টি গ্রাম। এতে বন্যাকবলিত হয়েছেন অন্তত ৩৪ হাজার ৬০০ জন মানুষ। পানি কিছুটা কমতে শুরু করায় আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অনেকে বাড়িমুখো হয়েছেন। তবে এখনো বিভিন্ন এলাকায় কোমরসমান পানি থাকায় বিপাকে রয়েছেন অনেকে। শুক্রবার (১১ জুলাই) সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুলগাজী, পরশুরাম, ছাগলনাইয়া, দাগনভূঞা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার তীব্রতা কমেনি।
বন্যার কারণে ফুলগাজী ও পরশুরামের অধিকাংশ এলাকা এখনো পানির নিচে। প্রশাসনের দেওয়া তথ্যমতে, পাঁচ উপজেলায় মোট ৮ হাজার ৯৬৬ জন মানুষ ২ হাজার ৬২৫টি পরিবার নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। একইসঙ্গে ৬৪৮টি গবাদিপশুকেও রাখা হয়েছে এসব কেন্দ্রে। তবে অনেকে খাবার না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।
উত্তর শ্রীপুর গ্রামের চা দোকানি মোহাম্মদ নুর নবী জানান, তার ঘর ও দোকান ভেঙে গেছে, পরিবার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন পার করছেন।
অপরদিকে ষাটোর্ধ্ব জাহানারা বেগম বলেন, চার দিন ধরে পানিবন্দি থাকলেও কেউ খবর নেয়নি।
সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে বন্যায়। ফেনী-পরশুরাম, ফেনী-ছাগলনাইয়া ও বিশ্বরোডসহ বিভিন্ন সড়কে এখনো পানি প্রবাহিত হচ্ছে। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। তিন ফুটেরও বেশি গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে আশুগঞ্জ ও বিশ্বরোড মোড়ে, ফলে যানবাহনের গতি ৭০ কিলোমিটার থেকে কমে ৫ কিলোমিটারে এসে দাঁড়িয়েছে। যাত্রীদের কেউ কেউ তিন-চার গুণ বেশি ভাড়ায় ট্রাক্টর বা অন্য যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন।
এদিকে ফুলগাজীতে মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে ডুবে মারা গেছেন নুরুল আলম নামে ৬২ বছরের এক বৃদ্ধ। নিহত ব্যক্তি দৌলতপুর এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক কমান্ডারের ছেলে। বৃহস্পতিবার রাতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বন্যা আক্রান্তদের জন্য পাঁচ উপজেলায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আক্রান্ত উপজেলাগুলোর নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের সব কর্মকর্তা তৎপর রয়েছেন। পরিস্থিতির দ্রুতই উন্নতি হচ্ছে।