প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের দাপটে শেরপুরের নকলা উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের কদর আর তেমন নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থলি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করলেও কালের বিবর্তনে এখন বিলুপ্তির পথে এই শিল্পটি । এদিকে বাঁশ ও বেতের কারিগররা বলছেন সরকার আমাদের স্বল্প সুদে ঋণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিলে এই শিল্পটি টিকিয়ে রাখতে পারব। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বলছেন এই শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও অর্থ ।
এক সময় বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতসহ কৃষি কাজের সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে সবকিছুই। তারপরও নকলা উপজেলার নারায়নখোলা এলাকার বেপাড়ীপাড়ায় ৮৬৪টি পরিবার জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখনও এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এই উপজেলায় বাঁশ ও বেত শিল্পের তৈরি মনকাড়া বিভিন্ন জিনিসের জায়গা দখল করেছে স্বল্প দামের প্লাস্টিক, পলিথিন ও লোহার তৈরি পণ্য। তাই বাঁশ ও বেতের তৈরি মনকাড়া সেই পণ্যগুলো এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। তবুও অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগররা দীর্ঘদিনের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ছুটছে।
তবে শত অভাব অনটনের মধ্যে আজও পৈতৃক এই পেশাটি অনেকেই ধরে রেখেছেন। আর অতি কষ্টে এই পেশা থেকে উপার্জন করে অনেকেই সংসারের যাবতীয় খরচ করে পড়ালেখা করাচ্ছেন সন্তানদের। দিন দিন বিভিন্ন জিনিস-পত্রের মূল্য যেভাবে বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না এই শিল্পের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের মূল্য। যার কারণে কারিগররা জীবন সংসারে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।
নকলা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুমান হাসান জানান, আমরা বাঁশ বেত শিল্পের কারিগরদের নামের তালিকা করেছি। তালিকা অনুযায়ী এসব জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়েছে ওস্তাদদ-সাগরেদ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে দেওয়া হয়েছে আর্থিক অনুদান। বর্তমানে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ও প্লাস্টিক, পলিথিন ও লোহার তৈরি পণ্য বর্জনের দাবি সচেতন মহলের।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের দাপটে শেরপুরের নকলা উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের কদর আর তেমন নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থলি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করলেও কালের বিবর্তনে এখন বিলুপ্তির পথে এই শিল্পটি । এদিকে বাঁশ ও বেতের কারিগররা বলছেন সরকার আমাদের স্বল্প সুদে ঋণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিলে এই শিল্পটি টিকিয়ে রাখতে পারব। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বলছেন এই শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও অর্থ ।
এক সময় বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতসহ কৃষি কাজের সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে সবকিছুই। তারপরও নকলা উপজেলার নারায়নখোলা এলাকার বেপাড়ীপাড়ায় ৮৬৪টি পরিবার জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখনও এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এই উপজেলায় বাঁশ ও বেত শিল্পের তৈরি মনকাড়া বিভিন্ন জিনিসের জায়গা দখল করেছে স্বল্প দামের প্লাস্টিক, পলিথিন ও লোহার তৈরি পণ্য। তাই বাঁশ ও বেতের তৈরি মনকাড়া সেই পণ্যগুলো এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। তবুও অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগররা দীর্ঘদিনের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ছুটছে।
তবে শত অভাব অনটনের মধ্যে আজও পৈতৃক এই পেশাটি অনেকেই ধরে রেখেছেন। আর অতি কষ্টে এই পেশা থেকে উপার্জন করে অনেকেই সংসারের যাবতীয় খরচ করে পড়ালেখা করাচ্ছেন সন্তানদের। দিন দিন বিভিন্ন জিনিস-পত্রের মূল্য যেভাবে বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না এই শিল্পের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের মূল্য। যার কারণে কারিগররা জীবন সংসারে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।
নকলা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুমান হাসান জানান, আমরা বাঁশ বেত শিল্পের কারিগরদের নামের তালিকা করেছি। তালিকা অনুযায়ী এসব জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়েছে ওস্তাদদ-সাগরেদ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে দেওয়া হয়েছে আর্থিক অনুদান। বর্তমানে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ও প্লাস্টিক, পলিথিন ও লোহার তৈরি পণ্য বর্জনের দাবি সচেতন মহলের।