alt

সারাদেশ

প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহারে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেত শিল্প

প্রতিনিধি, শেরপুর : শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের দাপটে শেরপুরের নকলা উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের কদর আর তেমন নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থলি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করলেও কালের বিবর্তনে এখন বিলুপ্তির পথে এই শিল্পটি । এদিকে বাঁশ ও বেতের কারিগররা বলছেন সরকার আমাদের স্বল্প সুদে ঋণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিলে এই শিল্পটি টিকিয়ে রাখতে পারব। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বলছেন এই শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও অর্থ ।

এক সময় বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতসহ কৃষি কাজের সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে সবকিছুই। তারপরও নকলা উপজেলার নারায়নখোলা এলাকার বেপাড়ীপাড়ায় ৮৬৪টি পরিবার জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখনও এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এই উপজেলায় বাঁশ ও বেত শিল্পের তৈরি মনকাড়া বিভিন্ন জিনিসের জায়গা দখল করেছে স্বল্প দামের প্লাস্টিক, পলিথিন ও লোহার তৈরি পণ্য। তাই বাঁশ ও বেতের তৈরি মনকাড়া সেই পণ্যগুলো এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। তবুও অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগররা দীর্ঘদিনের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ছুটছে।

তবে শত অভাব অনটনের মধ্যে আজও পৈতৃক এই পেশাটি অনেকেই ধরে রেখেছেন। আর অতি কষ্টে এই পেশা থেকে উপার্জন করে অনেকেই সংসারের যাবতীয় খরচ করে পড়ালেখা করাচ্ছেন সন্তানদের। দিন দিন বিভিন্ন জিনিস-পত্রের মূল্য যেভাবে বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না এই শিল্পের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের মূল্য। যার কারণে কারিগররা জীবন সংসারে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।

নকলা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুমান হাসান জানান, আমরা বাঁশ বেত শিল্পের কারিগরদের নামের তালিকা করেছি। তালিকা অনুযায়ী এসব জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়েছে ওস্তাদদ-সাগরেদ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে দেওয়া হয়েছে আর্থিক অনুদান। বর্তমানে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ও প্লাস্টিক, পলিথিন ও লোহার তৈরি পণ্য বর্জনের দাবি সচেতন মহলের।

বিএনপিকে দলীয় চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম

সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ চার সংগঠনের

ছবি

স্ত্রীকে কুপিয়ে ১১ টুকরো হত্যা, পালিয়ে গিয়ে ধরা খেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে তরুণীকে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ইজিবাইক চালকের

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত ভোলার তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

নৌকাডুবির ঘটনায় দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মধুপুরে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা নিয়ে বিপাকে নার্সারি ব্যবসায়ীরা

স্মৃতিস্তম্ভ না হওয়ায় মানববন্ধন

কালীগঞ্জে জাতীয় পার্টির গোলটেবিল বৈঠক

মাদারগঞ্জে মিষ্টির দোকানে ভিড়

ছবি

লক্ষ্মীপুরে ১ বছরে পানিতে ডুবে ১২৫ শিশুর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

মাদারগঞ্জ হাসপাতালে সেবার পরিবর্তে ময়লার স্তূপ

নবাবগঞ্জে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বোরহানউদ্দিনে রাস্তায় ধান রোপণ করে প্রতিবাদ

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

শেরপুরে নাশকতার মামলায় মাদ্রাসা সুপার গ্রেপ্তার

ছবি

খাগড়াছড়ির শহরের বাইরের স্কুলেই বাজিমাত, পাসের হার ৬০.৪৯%

বামনায় নৌবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

মাদ্রাসার মসজিদ থেকে শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

বৃষ্টিতে উপকৃত পাট চাষিরা সবজিতে বিপর্যয়

হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় সাংবাদিকসহ আসামি ১৩৫

চাঁদপুরে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বেরোবিতে বিক্ষোভ

ছবি

শেরপুর পৌর শহরে সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ

ছবি

দশমিনায় ১টি স্কুলে কেউ পাস করেনি

ছবি

নির্বিচারে নিধন হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় ইউএনওর স্বেচ্ছাচারিতায় ও অনিয়মে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ

ঋণের টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহিতাকে অন্ধকারে তালাবদ্ধ করে রাখলেন বিআরডিবির মাঠকর্মী

রাউজানে ডায়াবেটিস সচেতনতায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

পঞ্চগড়ে বিসিক নগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার রহমান কারাগারে

ঝিকরগাছায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিতকরণে সচেতনতামূলক সভা

ছবি

নোয়াখালীতে টানা ভারি বর্ষণে জনদুর্ভোগ চরমে

ছবি

হাজার হাজার পর্যটকের কাছে দৃষ্টিনন্দন ডাউকির ঝুলন্ত সেতু

tab

সারাদেশ

প্লাস্টিক ও পলিথিনের ব্যবহারে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশ-বেত শিল্প

প্রতিনিধি, শেরপুর

শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

প্লাস্টিক ও পলিথিন ব্যবহারের দাপটে শেরপুরের নকলা উপজেলা থেকে ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশ ও ঐতিহ্যবাহী বেতশিল্প। বাঁশ ও বেতের তৈরি পণ্যের কদর আর তেমন নেই বললেই চলে। ঐতিহ্য হারাতে বসেছে এই শিল্পটি। এক সময় গ্রামীণ জনপদের মানুষ গৃহস্থলি, কৃষি ও ব্যবসা ক্ষেত্রে বেত ও বাঁশের তৈরি সরঞ্জামাদি ব্যবহার করলেও কালের বিবর্তনে এখন বিলুপ্তির পথে এই শিল্পটি । এদিকে বাঁশ ও বেতের কারিগররা বলছেন সরকার আমাদের স্বল্প সুদে ঋণ ও কারিগরি প্রশিক্ষণ দিলে এই শিল্পটি টিকিয়ে রাখতে পারব। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা বলছেন এই শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও অর্থ ।

এক সময় বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালতসহ কৃষি কাজের সবখানেই ব্যবহার করা হতো বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্র। এখন সময়ের বিবর্তনে বদলে গেছে সবকিছুই। তারপরও নকলা উপজেলার নারায়নখোলা এলাকার বেপাড়ীপাড়ায় ৮৬৪টি পরিবার জীবন ও জীবিকার তাগিদে এখনও এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে এই উপজেলায় বাঁশ ও বেত শিল্পের তৈরি মনকাড়া বিভিন্ন জিনিসের জায়গা দখল করেছে স্বল্প দামের প্লাস্টিক, পলিথিন ও লোহার তৈরি পণ্য। তাই বাঁশ ও বেতের তৈরি মনকাড়া সেই পণ্যগুলো এখন হারিয়ে যাওয়ার পথে। তবুও অভাবের তাড়নায় এই শিল্পের কারিগররা দীর্ঘদিনের বাপ-দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশার দিকে ছুটছে।

তবে শত অভাব অনটনের মধ্যে আজও পৈতৃক এই পেশাটি অনেকেই ধরে রেখেছেন। আর অতি কষ্টে এই পেশা থেকে উপার্জন করে অনেকেই সংসারের যাবতীয় খরচ করে পড়ালেখা করাচ্ছেন সন্তানদের। দিন দিন বিভিন্ন জিনিস-পত্রের মূল্য যেভাবে বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে না এই শিল্পের তৈরি বিভিন্ন পণ্যের মূল্য। যার কারণে কারিগররা জীবন সংসারে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছেন।

নকলা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রুমান হাসান জানান, আমরা বাঁশ বেত শিল্পের কারিগরদের নামের তালিকা করেছি। তালিকা অনুযায়ী এসব জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়েছে ওস্তাদদ-সাগরেদ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শেষে দেওয়া হয়েছে আর্থিক অনুদান। বর্তমানে প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

সরকারিভাবে সহায়তা প্রদান করে এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে ও প্লাস্টিক, পলিথিন ও লোহার তৈরি পণ্য বর্জনের দাবি সচেতন মহলের।

back to top