একটি দাখিল মাদ্রাসার ১৫জন শিক্ষক মিলে একজন শিক্ষার্থীকেও পাস করাতে পারে নাই। ২৪ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ফলাফল প্রকাশের পর জানা গেল ওই দাখিল মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি।
এঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নে ১৯৭৮ সালে স্থাপিত গণিপুর দাখিল মাদ্রাসায়। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় অভিভাবক ও সুশীল সমাজ।
এসএসসি, দাখিল ও কারিগরি শিক্ষার ফলাফল বিবরনীতে দেখা গেছে, দাখিল পরিক্ষায় ওই মাদ্রাসাটি থেকে এবার মোট ২৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় সবাই ফেল করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ১০টি মাদ্রাসার মোট ২৭৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে ৮২ জন পাস করেছে। আর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এই উপজেলায় ২৯.৯৩ শতাংশ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী পাস করেছে।
জানতে চাইলে গণিপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্য করেন। আগামীতে আমরা সচেতন হবো। এমন রহস্যজনক ফল এর আগে কোন বার হয় নি। পরিক্ষায় ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল তাঁরা সবাই ফেল করেছে। কিভাবে এমনটি ঘটেছে আমার জানা নেই, পরবর্তীতে ফল যাচাই করতে শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করা হবে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল হাসান বলেন, এবার গনিপুর দাখিল মাদ্রাসার পরিক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। কেন কেউ পাস করতে পারলো না বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার না করার জন্য ফেল করতে পারে। সরকারি বিধি মোতাবেক ওই মাদ্রাসার সুপারসহ সকল শিক্ষক কর্মচারী বেতন পেয়ে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, শতভাগ অকৃতকার্য ফলাফলের বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সুপার ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসা হবে। সেই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
একটি দাখিল মাদ্রাসার ১৫জন শিক্ষক মিলে একজন শিক্ষার্থীকেও পাস করাতে পারে নাই। ২৪ জন শিক্ষার্থী দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলো। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় ফলাফল প্রকাশের পর জানা গেল ওই দাখিল মাদ্রাসার একজন শিক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি।
এঘটনাটি ঘটেছে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নে ১৯৭৮ সালে স্থাপিত গণিপুর দাখিল মাদ্রাসায়। এমন ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয় অভিভাবক ও সুশীল সমাজ।
এসএসসি, দাখিল ও কারিগরি শিক্ষার ফলাফল বিবরনীতে দেখা গেছে, দাখিল পরিক্ষায় ওই মাদ্রাসাটি থেকে এবার মোট ২৪ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল। ফলাফল প্রকাশের পর দেখা যায় সবাই ফেল করেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের দাখিল পরীক্ষায় উপজেলার ১০টি মাদ্রাসার মোট ২৭৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল। এর মধ্যে ৮২ জন পাস করেছে। আর সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এই উপজেলায় ২৯.৯৩ শতাংশ মাদ্রাসার শিক্ষার্থী পাস করেছে।
জানতে চাইলে গণিপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্য করেন। আগামীতে আমরা সচেতন হবো। এমন রহস্যজনক ফল এর আগে কোন বার হয় নি। পরিক্ষায় ২৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছিল তাঁরা সবাই ফেল করেছে। কিভাবে এমনটি ঘটেছে আমার জানা নেই, পরবর্তীতে ফল যাচাই করতে শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করা হবে বলে তিনি জানান।
এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল হাসান বলেন, এবার গনিপুর দাখিল মাদ্রাসার পরিক্ষায় অংশ নেওয়া সব শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। কেন কেউ পাস করতে পারলো না বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে ওই প্রতিষ্ঠানে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার না করার জন্য ফেল করতে পারে। সরকারি বিধি মোতাবেক ওই মাদ্রাসার সুপারসহ সকল শিক্ষক কর্মচারী বেতন পেয়ে থাকেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনজুরুল আলম বলেন, শতভাগ অকৃতকার্য ফলাফলের বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সুপার ও পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বসা হবে। সেই সাথে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।