বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : অতি বৃষ্টির কারণে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটে থইথই পানি। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি মানুষ -সংবাদ
নোয়াখালীতে গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে পানিবন্দি বেশির ভাগ মানুষের জনদুর্ভোগ বর্তমানে চরমে পৌছেছে। বৃষ্টির বিরতিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বিভিন্ন উপজেলার বহু গ্রাম এখনো পানির নিচে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও হাট-বাজারে থৈ থৈ পানি। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি লাখো মানুষ। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে আসে, আর রোদের ঝলকানিতে খানিকটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে, বৃষ্টির বিরতিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
জেলার সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, হাতিয়া, সেনবাগ ও বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার বহু গ্রাম এর নিচু এলাকাসহ ঘরবাড়ি এখনো পানির নিচে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাজার-হাটে থৈ থৈ পানি। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি লাখো মানুষ। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এখনও অনেক এলাকায় কার্যকর না হওয়ায় ঘরবাড়ি ও সড়কে পানি জমে আছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবীসহ পানিবন্দি লাখো মানুষ। টানা বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাছের ঘের ও পোল্ট্রি খামার ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা। নোয়াখালীতে ৭ হাজার ৮০৬ হেক্টর ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়। জেলায় ২৯টি মেডিকেল টিম বর্তমানে কাজ করছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ধীরগতিতে পানি নামার কারণে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান এখনো জলাবদ্ধ। কয়েকজন সচেতন এলাকাবাসী জানান, খাল-বিল নালা-নর্দমা হচ্ছে পানি নামার স্বাভাবিক পথ। সেগুলো অবৈধভাবে দখল ও ভরাট করে পানি চলাচল বন্ধ করে দিলে জলাবদ্ধতাতো হবেই। অপরদিকে,বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে নোয়াখালী বাসীকে রক্ষায় খাল, নালা-নর্দমা অবৈধ দখল মুক্ত করার দাবিতে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
শুক্রবার ১১(জুলাই) জুমার নামাজের পর চৌমুহনীর প্রধান সড়কে মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় সচেতন নাগরিক সমাজ এর নেতৃবৃন্দ তাদের বক্ত্যবে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে নোয়াখালীর অধিকাংশ সরকারি রেকডিয় জনগুরুত্বপূর্ণ খাল অবৈধ দখলে চলে গেছে।
খালের ওপর গড়ে উঠেছে ঘর বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে দেখা দেয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় সাধারন মানুষ।
বিগত দিনের মতো গত ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যা ও জলাবদ্ধতার পরও প্রশাসন অবৈধ দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারে কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এতে এবারও ভয়াবহ জলাবদ্ধতা ও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে মানববন্ধনের আয়োজকরা। অন্যথায় সড়ক অবরোধসহ রাজপথে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। মানববন্ধনে বেগমগঞ্জ ব্লাড গ্রুপ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মাসুম বিল্লাহ,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির উদ্দিন মুন্না, যুব অধিকার পরিষদ বেগমগঞ্জ উপজেলার আহবায়ক সিনবাদ সাকিল সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন, রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। সকালে সূর্য উঠায় বাড়িতে আসছি। বাড়িতে পানি আর পানি। পুকুর, রান্নাঘর, বসতঘর সব পানিতে ডুবে গেছে।
কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন, রোদ উঠলেও ঘরে পানি। রান্না-বান্না, চলাচলসহ সব কিছুতেই কষ্ট হচ্ছে। কেউ কেউ সাময়িক শুকনো জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন, আবার কেউ বাধ্য হয়ে ভেঙে পড়া ঘরেই দিন কাটাচ্ছেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. ফারুক হোসেন বলেন, অবশেষে কয়েকদিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে। আমাদের কাছে কিছুটা স্বস্তি লাগছে। আশাকরি এবার পানিও কমবে। আসলে জলাবদ্ধ পানিতে থাকতে থাকতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তাছাড়া অনেক মানুষ বর্তমানে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতায় নোয়াখালী সদর, কবিরহাট, কোম্পানিগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৩০ হাজার, সেনবাগে তিন হাজার ৮৭০, কবিরহাটে তিন হাজার ৬৫০, কোম্পানীগঞ্জে তিন হাজার ৫২০, সুবর্ণচরে ৫০০ ও হাতিয়া উপজেলায় ৩০০। তিনি আরও জানান, এসব এলাকার একটি সম্পূর্ণ ও ৪০টি আংশিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৪০টি আশ্রয়নকেন্দ্রে এক হাজার ৪১৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও ২৪০টি গবাদিপশু বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তত দুই লাখ ৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও নোয়াখালীতে ৭ হাজার ৮০৬ হেক্টর ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়। জেলায় ২৯টি মেডিকেল টিম বর্তমানে কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীর পৌরসভা গুলোতে জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। যা অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, খাল ও ড্রেনগুলো দখলের কারণে সৃষ্টি হয়েছে।
এসব ড্রেন ও খালগুলো পুনরুদ্ধারে পৌরসভাকে বারবার নির্দেশনা দিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯টি খাল চিহ্নিত করেছে যা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নেবে এবং বিএডিসির প্রকল্পের আওতায় ১৭১ কিলোমিটার খাল খননের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ কাজগুলো বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন হবে। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
শুক্রবার থেকে আকাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি কেটে যাবে বলে আমরা আশা করছি।
বেগমগঞ্জ (নোয়াখালী) : অতি বৃষ্টির কারণে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটে থইথই পানি। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি মানুষ -সংবাদ
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
নোয়াখালীতে গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণের ফলে পানিবন্দি বেশির ভাগ মানুষের জনদুর্ভোগ বর্তমানে চরমে পৌছেছে। বৃষ্টির বিরতিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। বিভিন্ন উপজেলার বহু গ্রাম এখনো পানির নিচে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও হাট-বাজারে থৈ থৈ পানি। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি লাখো মানুষ। শুক্রবার (১১ জুলাই) সকাল থেকেই আকাশ পরিষ্কার হয়ে আসে, আর রোদের ঝলকানিতে খানিকটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে, বৃষ্টির বিরতিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেও জলাবদ্ধতা ও বন্যা পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি।
জেলার সদর, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট, হাতিয়া, সেনবাগ ও বেগমগঞ্জসহ বিভিন্ন উপজেলার বহু গ্রাম এর নিচু এলাকাসহ ঘরবাড়ি এখনো পানির নিচে। ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ও বাজার-হাটে থৈ থৈ পানি। দুর্ভোগে রয়েছেন পানিবন্দি লাখো মানুষ। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা এখনও অনেক এলাকায় কার্যকর না হওয়ায় ঘরবাড়ি ও সড়কে পানি জমে আছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কর্মজীবীসহ পানিবন্দি লাখো মানুষ। টানা বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাছের ঘের ও পোল্ট্রি খামার ডুবে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন খামারিরা। নোয়াখালীতে ৭ হাজার ৮০৬ হেক্টর ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়। জেলায় ২৯টি মেডিকেল টিম বর্তমানে কাজ করছে।
জেলার বিভিন্ন স্থানে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়িসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ধীরগতিতে পানি নামার কারণে আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকাসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থান এখনো জলাবদ্ধ। কয়েকজন সচেতন এলাকাবাসী জানান, খাল-বিল নালা-নর্দমা হচ্ছে পানি নামার স্বাভাবিক পথ। সেগুলো অবৈধভাবে দখল ও ভরাট করে পানি চলাচল বন্ধ করে দিলে জলাবদ্ধতাতো হবেই। অপরদিকে,বন্যা ও জলাবদ্ধতা থেকে নোয়াখালী বাসীকে রক্ষায় খাল, নালা-নর্দমা অবৈধ দখল মুক্ত করার দাবিতে নোয়াখালীর চৌমুহনীতে মানববন্ধন করেছে সচেতন নাগরিক সমাজ।
শুক্রবার ১১(জুলাই) জুমার নামাজের পর চৌমুহনীর প্রধান সড়কে মোরশেদ আলম কমপ্লেক্সের সামনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় সচেতন নাগরিক সমাজ এর নেতৃবৃন্দ তাদের বক্ত্যবে বলেন, দীর্ঘদিন থেকে নোয়াখালীর অধিকাংশ সরকারি রেকডিয় জনগুরুত্বপূর্ণ খাল অবৈধ দখলে চলে গেছে।
খালের ওপর গড়ে উঠেছে ঘর বাড়ি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ফলে পানি নিষ্কাশনের পথ রুদ্ধ হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে নোয়াখালীতে দেখা দেয় ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হয় সাধারন মানুষ।
বিগত দিনের মতো গত ২০২৪ সালের ভয়াবহ বন্যা ও জলাবদ্ধতার পরও প্রশাসন অবৈধ দখল হয়ে যাওয়া খালগুলো উদ্ধারে কোন কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এতে এবারও ভয়াবহ জলাবদ্ধতা ও বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দিয়েছে মানববন্ধনের আয়োজকরা। অন্যথায় সড়ক অবরোধসহ রাজপথে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা। মানববন্ধনে বেগমগঞ্জ ব্লাড গ্রুপ পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা মাসুম বিল্লাহ,তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সাব্বির উদ্দিন মুন্না, যুব অধিকার পরিষদ বেগমগঞ্জ উপজেলার আহবায়ক সিনবাদ সাকিল সহ অনেকে বক্তব্য রাখেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা মমতাজ বেগম বলেন, রাতে আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলাম। সকালে সূর্য উঠায় বাড়িতে আসছি। বাড়িতে পানি আর পানি। পুকুর, রান্নাঘর, বসতঘর সব পানিতে ডুবে গেছে।
কবিরহাট উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা আলাউদ্দিন বলেন, রোদ উঠলেও ঘরে পানি। রান্না-বান্না, চলাচলসহ সব কিছুতেই কষ্ট হচ্ছে। কেউ কেউ সাময়িক শুকনো জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন, আবার কেউ বাধ্য হয়ে ভেঙে পড়া ঘরেই দিন কাটাচ্ছেন।
বেগমগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মো. ফারুক হোসেন বলেন, অবশেষে কয়েকদিন পর সূর্যের দেখা মিলেছে। আমাদের কাছে কিছুটা স্বস্তি লাগছে। আশাকরি এবার পানিও কমবে। আসলে জলাবদ্ধ পানিতে থাকতে থাকতে আমরা অতিষ্ঠ হয়ে গেছি। তাছাড়া অনেক মানুষ বর্তমানে পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান বলেন, জলাবদ্ধতায় নোয়াখালী সদর, কবিরহাট, কোম্পানিগঞ্জ ও সেনবাগ উপজেলায় বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সংখ্যা ৩০ হাজার, সেনবাগে তিন হাজার ৮৭০, কবিরহাটে তিন হাজার ৬৫০, কোম্পানীগঞ্জে তিন হাজার ৫২০, সুবর্ণচরে ৫০০ ও হাতিয়া উপজেলায় ৩০০। তিনি আরও জানান, এসব এলাকার একটি সম্পূর্ণ ও ৪০টি আংশিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। ৪০টি আশ্রয়নকেন্দ্রে এক হাজার ৪১৯ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও ২৪০টি গবাদিপশু বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। জেলার ছয়টি উপজেলার ৫৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার অন্তত দুই লাখ ৩ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও নোয়াখালীতে ৭ হাজার ৮০৬ হেক্টর ফসলের ক্ষতি সাধিত হয়। জেলায় ২৯টি মেডিকেল টিম বর্তমানে কাজ করছে।
জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, নোয়াখালীর পৌরসভা গুলোতে জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা। যা অপরিকল্পিত অবকাঠামো নির্মাণ, খাল ও ড্রেনগুলো দখলের কারণে সৃষ্টি হয়েছে।
এসব ড্রেন ও খালগুলো পুনরুদ্ধারে পৌরসভাকে বারবার নির্দেশনা দিয়েছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড ১৯টি খাল চিহ্নিত করেছে যা পুনরুদ্ধারের ব্যবস্থা নেবে এবং বিএডিসির প্রকল্পের আওতায় ১৭১ কিলোমিটার খাল খননের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এ কাজগুলো বাস্তবায়ন হলে দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার সমস্যা নিরসন হবে। তিনি আরো বলেন, জেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
শুক্রবার থেকে আকাশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি কেটে যাবে বলে আমরা আশা করছি।