ঋণের টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহিতা নুর নাহার খাতুনকে (৪৫) রাতের অন্ধকারে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কার্যালয়ের বারান্দায় আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মাঠকর্মী হিসেবে আবেদা সুলতানা ১১ বছর যাবৎ কর্মরত রয়েছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার লালচাও থানার ইসলামপুর গ্রামের মতিয়ার হোসেনের স্ত্রী। মাঠকর্মী আবেদা সুলতানা ২০২৪ সালে জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী নুরনাহার খাতুনকে তিন নামে তিন লাখ টাকা ঋণ প্রদান করেন। যার মেয়াদ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেষ হয়। কিন্তু অফিস এখনো তার কাছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা যায়, বৃহস্পতিবার তিনি ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য অফিসে যান। কিন্তু মাঠ কর্মী আবেদা সুলতানা ঋণগ্রহিতাকে জানান যেহেতু ঋণের মেয়াদ শেষ তাই এখনই সব টাকা পরিশোধ করতে হবে। এক পর্যায়ে ঋণগ্রহীতা নুরনাহার খাতুন সমুদ্বয় টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিআরডিবি অফিসের বারান্দায় রাতের অন্ধকারে তাকে তালাবদ্ধ করে রেখে বাসায় চলে যান আবেদা সুলতানা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা পুলিশের খবর দিলে পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধ মহিলাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বিআরডিবির জীবননগর অফিসের মাঠ কর্মকর্তা আবেদা সুলতানা বলেন, অফিস তার কাছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পায়। কিন্তু সে কিস্তির টাকা পরিশোধ করছে না। যার কারণে অফিস আমার বেতন থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে। এ কারণে আমি তাকে আটকে রেখে তার পরিবারের লোকজনের খবর দেই যাতে তারা টাকার নিশ্চয়তা দিয়ে নুরনাহারকে নিয়ে যায়।
ঋণ গ্রহীতা নুরনাহার জানান, আমি অসুস্থ থাকার কারণে কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে তার কাছে আমি তিন সপ্তাহের সময় চেয়েছি। কিন্তু সে আমাকে সময় না দিয়ে রাতের অন্ধকারে আমাকে অফিসের বারান্দায় তালাবদ্ধ করে আটকে রাখে। জীবননগর উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা তারিক জামাল জানান, নুরনাহার তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। মেয়াদ শেষ হলেও সে টাকা পরিশোধ করেনি। আজকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে অফিসে আসে। এরপর আমরা তাকে বলি তাদের পরিবারের লোকজন ডেকে এনে টাকার ব্যাপারে মীমাংসা করতে।
কিন্তু সে পরিবারের লোকজনকে না ডেকে পুনরায় সময় চায়। এজন্য আমরা তাকে রেখে দিয়েছি। কিন্তু তালাবদ্ধ অবস্থায় অন্ধকারে আছে এটা আমার জানা ছিল না।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে বৃদ্ধ মহিলাকে উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
ঋণের টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহিতা নুর নাহার খাতুনকে (৪৫) রাতের অন্ধকারে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) কার্যালয়ের বারান্দায় আটকে রাখার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার ১০ জুলাই রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, জীবননগর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) মাঠকর্মী হিসেবে আবেদা সুলতানা ১১ বছর যাবৎ কর্মরত রয়েছেন। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার লালচাও থানার ইসলামপুর গ্রামের মতিয়ার হোসেনের স্ত্রী। মাঠকর্মী আবেদা সুলতানা ২০২৪ সালে জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের মৃত ইব্রাহিম হোসেনের স্ত্রী নুরনাহার খাতুনকে তিন নামে তিন লাখ টাকা ঋণ প্রদান করেন। যার মেয়াদ চলতি বছরের এপ্রিল মাসে শেষ হয়। কিন্তু অফিস এখনো তার কাছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা যায়, বৃহস্পতিবার তিনি ১০ হাজার টাকা পরিশোধ করার জন্য অফিসে যান। কিন্তু মাঠ কর্মী আবেদা সুলতানা ঋণগ্রহিতাকে জানান যেহেতু ঋণের মেয়াদ শেষ তাই এখনই সব টাকা পরিশোধ করতে হবে। এক পর্যায়ে ঋণগ্রহীতা নুরনাহার খাতুন সমুদ্বয় টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হওয়ায় বিআরডিবি অফিসের বারান্দায় রাতের অন্ধকারে তাকে তালাবদ্ধ করে রেখে বাসায় চলে যান আবেদা সুলতানা। পরবর্তীতে স্থানীয়রা পুলিশের খবর দিলে পুলিশ এসে ওই বৃদ্ধ মহিলাকে উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে বিআরডিবির জীবননগর অফিসের মাঠ কর্মকর্তা আবেদা সুলতানা বলেন, অফিস তার কাছে ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা পায়। কিন্তু সে কিস্তির টাকা পরিশোধ করছে না। যার কারণে অফিস আমার বেতন থেকে টাকা কেটে নিচ্ছে। এ কারণে আমি তাকে আটকে রেখে তার পরিবারের লোকজনের খবর দেই যাতে তারা টাকার নিশ্চয়তা দিয়ে নুরনাহারকে নিয়ে যায়।
ঋণ গ্রহীতা নুরনাহার জানান, আমি অসুস্থ থাকার কারণে কিস্তির টাকা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে তার কাছে আমি তিন সপ্তাহের সময় চেয়েছি। কিন্তু সে আমাকে সময় না দিয়ে রাতের অন্ধকারে আমাকে অফিসের বারান্দায় তালাবদ্ধ করে আটকে রাখে। জীবননগর উপজেলা বিআরডিবি কর্মকর্তা তারিক জামাল জানান, নুরনাহার তিন লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে। মেয়াদ শেষ হলেও সে টাকা পরিশোধ করেনি। আজকে ১০ হাজার টাকা নিয়ে অফিসে আসে। এরপর আমরা তাকে বলি তাদের পরিবারের লোকজন ডেকে এনে টাকার ব্যাপারে মীমাংসা করতে।
কিন্তু সে পরিবারের লোকজনকে না ডেকে পুনরায় সময় চায়। এজন্য আমরা তাকে রেখে দিয়েছি। কিন্তু তালাবদ্ধ অবস্থায় অন্ধকারে আছে এটা আমার জানা ছিল না।
জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছিয়ে বৃদ্ধ মহিলাকে উদ্ধার করে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করেছি। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।