উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীর পৌরসভারসহ ইউনিয়নগুলোর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট হয়ে উঠেছে বাঁশের তৈরি মাছ ধরার উপকরণ চাই। পৌরসভায় শনিবার ও বুধবার সাপ্তাহিক হাট বসে। সাপ্তাহিক হাটের দিনে পৌরসভার আশপাশের উপজেলা মাছ ধরার এসব উপকরণে সয়লাব হয়ে উঠে। এছাড়া বর্ষার এ মৌসুমে পুরো উপজেলা জুড়ে নদী-নালা, খাল-বিল ও মাঠ-ঘাট ছেয়ে গেছে ‘চায়না’ জালে। এসব জাল দিয়ে প্রাকৃতিক উৎসে ডিম দিতে আসা মা ও পোনা মাছ নিধন করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা গেছে, পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়ন ও দেড় লক্ষাধিক জনসংখ্যার অধ্যুষিত এ উপজেলায় ছোট-বড় ৪০টি খাল, ৭টি বিল, প্লাবনভূমি ১৪টি, ১১ হাজার ৬২৩টি পুকুর ও ১টি নদী রয়েছে। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের হিসেব অনুযায়ী এসব জলাশয় থেকে বছরে ৩৮৯২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। জনপ্রতি দৈনিক মাছের চাহিদা ৬৫ গ্রাম। সেই হিসেবে এ উপজেলায় মোট জনসংখ্যার বাৎসরিক মাছের চাহিদা ৩৩০০ মেট্রিক টন। চাহিদা মিটিয়ে বছরে উদ্বৃত্ত থাকে ৮৯২ মেট্রিক টন।
বিবিচিনি ইউনিয়নের কারিকরপাড়া খাল, গড়িয়াবুনিয়া, পুটিয়াখালী খাল, নাপিতখালী, সিদ্ধান্তের খাল সদর ইউনিয়নের কবিরাজের খাল, বাসন্ডা, বেড়েরধন, লক্ষ্মীপুরা, হোসনাবাদের উত্তর কাটাখালী, ধনমানিক চত্রা, জলিসা খালসহ উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন খাল আর বিলে ৩ শতাধিক নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার করে স্থানীয় জলেরা এভাবে মাছ শিকার করছে অবাধে।
শিকারিদের পাতা নিষিদ্ধ জালে আটকা পড়ে বিলুপ্তির পথে চিংড়ি, কালিবাউশ, বাইলা, গুইল্লা, পুঁটি গুইল্লা, ইছা, বোয়াল, পাবদা, পুঁটি, শোল, টাকিমাছ এবং অসংখ্য পোনা মাছ। এছাড়া এসব খালের বিভিন্ন অংশে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে গতিরোধ করা হচ্ছে পানি প্রবাহের। এতে মৎস্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি ফসল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে ।
বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় এক যুবক। তিনি বলেন,’ সবাই তো খালে ধরে কেউ কিছু বলে না। তাই আমিও ধরি। এই এলাকায় বেশিরভাগ ভাসা জাল, কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল দিয়েই মাছ ধরে। এসব জালে ছোট ছোট পোনামাছসহ প্রায় সব ধরনের মাছ আটকা পড়ে।’
সরেজমিনে পৌরসভার সাপ্তাহিক হাটে দেখা গেছে, খালের পাড়ের বিশাল অংশজুড়ে বসে ওই হাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা বাঁশের তৈরি চাই, বুচনা ও চরগড়া কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। উপকূলীয় অঞ্চলে বৈশাখ থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত এই ৫ মাস নদী ও খাল বিলে পানিতে ভরপুর থাকে এবং এসময় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ বেশি পাওয়া যায় বলে এই সময়কে উপকূলে চাঁইয়ের মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। বর্ষার মৌসুমে উপজেলার দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ বাঁশ ও বেতের এসব উপকরণ তৈরি করছেন। শিল্পীদের তৈরিকৃত এসব হাটে ৪ ধরনের চাই বেচাকেনা হয়। এগুলো হলো খলনী, বুচনি, ময়ুরপঙ্খী, গোল চাঁই। এর মধ্যে ময়ুরপঙ্খী ও গোল চাঁইয়ের চাহিদাই বেশি। প্রতিটি খলনী চাঁই বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বুচনি চাঁই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ময়ুরপঙ্খী ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, গোল চাঁই ৮০ থেকে ১২০ টাকা। এ ছাড়াও চাঁইয়ের গড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৬০ থেকে ১০০ টাকা। প্রতি হাটে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার চাঁইয়ের বেচাকেনা হয়।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রমেশ ম-ল বলেন, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বর্ষার মৌসুমে পরিবারের উপার্জনের টাকা দিয়ে পুরো বছর জীবিকা নির্বাহ করছে। নারী পুরুষ রাত-দিন সমানভাবে কাজ করে।’ বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসন্ডা গ্রামের বাসিন্দা খগেন হাওলাদার ও বাবুল বিশ্বাস বলেন, ‘মাছ ধরার এসব উপকরণ তৈরি করতে বাঁশ, বেতা ও সুতাসহ শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করার পর তেমন লাভ থাকে না।’
তারা আরো বলেন,‘এ ব্যবসার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ দওয়া হয় না বলে বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থা ও স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে হয়। সেই ঋণ পরিশোধ করে যে সামান্য আয়ের টাকা দিয়ে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সংসার কষ্ট করে সংসার চালাতে হয়।
এছাড়া উপজেলার বিবিচিনি, পল্লীমঙ্গল, দেশান্তরকাঠী, ফুলতলা, পুটিয়াখালী, গড়িয়াবুনিয়া, বাসন্ডা, হোসনাবাদ, জলিসা, মোকামিয়া, চরখালী, কাজিরহাট, বলইবুনিয়া, ভোড়া কালিকাবাড়ি, চান্দখালী ও কুমড়াখালী গ্রামগুলোতে ঘুরে সারি সারি চায়না জাল দেখতে পাওয়া যায়। এসব গ্রামে যেখানেই একটু পানি রয়েছে সেখানেই এই জাল পাতা হচ্ছে।
অবাধে ডিমওয়ালা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা হচ্ছে। বর্ষাকালে মাছের প্রজননকাল। চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে নতুন পানিতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারছে না। এসব কারণে প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাবে গবেষক ড. লোকমান হোসেন বলেন, ‘প্রজননের সময় ডিমযুক্ত মা মাছ ধরা পড়লে ধীরে ধীরে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হবে।’
মোকামিয়া গ্রামের রতন হাওলাদার বলেন, পানিতে যদি মাছ থাকে তবে চায়না জালে তা ধরা পড়বে। লোহার রডের সঙ্গে পেঁচিয়ে বিশেষভাবে তৈরি বর্গাকৃতির এই ঘন জালটি মাছের জন্য সর্বনাশা ফাঁদ।
বর্ষাকালে চাঁই, বুচনাসহ বাঁশের তৈরি নানা উপকরণে এবং চায়না জালে পুটি, ভেদি, কই, মাগুড়, শিং, শোল, মহাশোল, টাকি, চিংড়ি, মলান্তি, পাবদাসহ বিভিন্ন ডিমওয়ালা দেশীয় মাছ নিধন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তুরান বলেন, ‘বাঁশের তৈরি চাঁই, বুচনা ও চায়না জাল, কারেন্ট জালসহ যে জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরা হয় সেসব জাল আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। এসব অবৈধ মাছ ধরার উপকরণ বন্ধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, ‘নিষিদ্ধ চায়না জাল, কারেন্ট জাল ও অন্যান্য উপকরণ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
উপকূলীয় জনপদ বরগুনার বেতাগীর পৌরসভারসহ ইউনিয়নগুলোর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতায় জমজমাট হয়ে উঠেছে বাঁশের তৈরি মাছ ধরার উপকরণ চাই। পৌরসভায় শনিবার ও বুধবার সাপ্তাহিক হাট বসে। সাপ্তাহিক হাটের দিনে পৌরসভার আশপাশের উপজেলা মাছ ধরার এসব উপকরণে সয়লাব হয়ে উঠে। এছাড়া বর্ষার এ মৌসুমে পুরো উপজেলা জুড়ে নদী-নালা, খাল-বিল ও মাঠ-ঘাট ছেয়ে গেছে ‘চায়না’ জালে। এসব জাল দিয়ে প্রাকৃতিক উৎসে ডিম দিতে আসা মা ও পোনা মাছ নিধন করছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা মৎস্য অফিস থেকে জানা গেছে, পৌরসভাসহ ৭টি ইউনিয়ন ও দেড় লক্ষাধিক জনসংখ্যার অধ্যুষিত এ উপজেলায় ছোট-বড় ৪০টি খাল, ৭টি বিল, প্লাবনভূমি ১৪টি, ১১ হাজার ৬২৩টি পুকুর ও ১টি নদী রয়েছে। ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের হিসেব অনুযায়ী এসব জলাশয় থেকে বছরে ৩৮৯২ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন হচ্ছে। জনপ্রতি দৈনিক মাছের চাহিদা ৬৫ গ্রাম। সেই হিসেবে এ উপজেলায় মোট জনসংখ্যার বাৎসরিক মাছের চাহিদা ৩৩০০ মেট্রিক টন। চাহিদা মিটিয়ে বছরে উদ্বৃত্ত থাকে ৮৯২ মেট্রিক টন।
বিবিচিনি ইউনিয়নের কারিকরপাড়া খাল, গড়িয়াবুনিয়া, পুটিয়াখালী খাল, নাপিতখালী, সিদ্ধান্তের খাল সদর ইউনিয়নের কবিরাজের খাল, বাসন্ডা, বেড়েরধন, লক্ষ্মীপুরা, হোসনাবাদের উত্তর কাটাখালী, ধনমানিক চত্রা, জলিসা খালসহ উপজেলাজুড়ে বিভিন্ন খাল আর বিলে ৩ শতাধিক নিষিদ্ধ জালের ব্যবহার করে স্থানীয় জলেরা এভাবে মাছ শিকার করছে অবাধে।
শিকারিদের পাতা নিষিদ্ধ জালে আটকা পড়ে বিলুপ্তির পথে চিংড়ি, কালিবাউশ, বাইলা, গুইল্লা, পুঁটি গুইল্লা, ইছা, বোয়াল, পাবদা, পুঁটি, শোল, টাকিমাছ এবং অসংখ্য পোনা মাছ। এছাড়া এসব খালের বিভিন্ন অংশে অবৈধভাবে বাঁধ দিয়ে গতিরোধ করা হচ্ছে পানি প্রবাহের। এতে মৎস্য উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে তেমনি ফসল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে ।
বেহুন্দি জাল দিয়ে মাছ ধরছিলেন স্থানীয় এক যুবক। তিনি বলেন,’ সবাই তো খালে ধরে কেউ কিছু বলে না। তাই আমিও ধরি। এই এলাকায় বেশিরভাগ ভাসা জাল, কারেন্ট জাল, বেহুন্দি জাল দিয়েই মাছ ধরে। এসব জালে ছোট ছোট পোনামাছসহ প্রায় সব ধরনের মাছ আটকা পড়ে।’
সরেজমিনে পৌরসভার সাপ্তাহিক হাটে দেখা গেছে, খালের পাড়ের বিশাল অংশজুড়ে বসে ওই হাট। বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্রেতা-বিক্রেতারা বাঁশের তৈরি চাই, বুচনা ও চরগড়া কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন। উপকূলীয় অঞ্চলে বৈশাখ থেকে ভাদ্র মাস পর্যন্ত এই ৫ মাস নদী ও খাল বিলে পানিতে ভরপুর থাকে এবং এসময় দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন মাছ বেশি পাওয়া যায় বলে এই সময়কে উপকূলে চাঁইয়ের মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। বর্ষার মৌসুমে উপজেলার দুই শতাধিক নারী ও পুরুষ বাঁশ ও বেতের এসব উপকরণ তৈরি করছেন। শিল্পীদের তৈরিকৃত এসব হাটে ৪ ধরনের চাই বেচাকেনা হয়। এগুলো হলো খলনী, বুচনি, ময়ুরপঙ্খী, গোল চাঁই। এর মধ্যে ময়ুরপঙ্খী ও গোল চাঁইয়ের চাহিদাই বেশি। প্রতিটি খলনী চাঁই বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা, বুচনি চাঁই বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, ময়ুরপঙ্খী ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, গোল চাঁই ৮০ থেকে ১২০ টাকা। এ ছাড়াও চাঁইয়ের গড়া বিক্রি হচ্ছে প্রতিটি ৬০ থেকে ১০০ টাকা। প্রতি হাটে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার চাঁইয়ের বেচাকেনা হয়।
পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রমেশ ম-ল বলেন, তিনি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। বর্ষার মৌসুমে পরিবারের উপার্জনের টাকা দিয়ে পুরো বছর জীবিকা নির্বাহ করছে। নারী পুরুষ রাত-দিন সমানভাবে কাজ করে।’ বেতাগী সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসন্ডা গ্রামের বাসিন্দা খগেন হাওলাদার ও বাবুল বিশ্বাস বলেন, ‘মাছ ধরার এসব উপকরণ তৈরি করতে বাঁশ, বেতা ও সুতাসহ শ্রমিকের মজুরি পরিশোধ করার পর তেমন লাভ থাকে না।’
তারা আরো বলেন,‘এ ব্যবসার জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ দওয়া হয় না বলে বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থা ও স্থানীয় ব্যক্তিদের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করতে হয়। সেই ঋণ পরিশোধ করে যে সামান্য আয়ের টাকা দিয়ে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে সংসার কষ্ট করে সংসার চালাতে হয়।
এছাড়া উপজেলার বিবিচিনি, পল্লীমঙ্গল, দেশান্তরকাঠী, ফুলতলা, পুটিয়াখালী, গড়িয়াবুনিয়া, বাসন্ডা, হোসনাবাদ, জলিসা, মোকামিয়া, চরখালী, কাজিরহাট, বলইবুনিয়া, ভোড়া কালিকাবাড়ি, চান্দখালী ও কুমড়াখালী গ্রামগুলোতে ঘুরে সারি সারি চায়না জাল দেখতে পাওয়া যায়। এসব গ্রামে যেখানেই একটু পানি রয়েছে সেখানেই এই জাল পাতা হচ্ছে।
অবাধে ডিমওয়ালা দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা হচ্ছে। বর্ষাকালে মাছের প্রজননকাল। চায়না জাল দিয়ে মাছ ধরার কারণে নতুন পানিতে মা মাছ ডিম ছাড়তে পারছে না। এসব কারণে প্রাকৃতিকভাবে মাছের উৎপাদন হ্রাস পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ বিষয় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাবে গবেষক ড. লোকমান হোসেন বলেন, ‘প্রজননের সময় ডিমযুক্ত মা মাছ ধরা পড়লে ধীরে ধীরে দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হবে।’
মোকামিয়া গ্রামের রতন হাওলাদার বলেন, পানিতে যদি মাছ থাকে তবে চায়না জালে তা ধরা পড়বে। লোহার রডের সঙ্গে পেঁচিয়ে বিশেষভাবে তৈরি বর্গাকৃতির এই ঘন জালটি মাছের জন্য সর্বনাশা ফাঁদ।
বর্ষাকালে চাঁই, বুচনাসহ বাঁশের তৈরি নানা উপকরণে এবং চায়না জালে পুটি, ভেদি, কই, মাগুড়, শিং, শোল, মহাশোল, টাকি, চিংড়ি, মলান্তি, পাবদাসহ বিভিন্ন ডিমওয়ালা দেশীয় মাছ নিধন করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তুরান বলেন, ‘বাঁশের তৈরি চাঁই, বুচনা ও চায়না জাল, কারেন্ট জালসহ যে জাল দিয়ে পোনা মাছ ধরা হয় সেসব জাল আমাদের দেশে নিষিদ্ধ। এসব অবৈধ মাছ ধরার উপকরণ বন্ধ করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বশির গাজী বলেন, ‘নিষিদ্ধ চায়না জাল, কারেন্ট জাল ও অন্যান্য উপকরণ বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।’