ট্রেন-বাস দুর্ঘটনার ট্র্যাজেডির ১৯ বছর
২০০৬ সালের ১১ জুলাই জয়পুরহাটের আক্কেলপুর মহিলা কলেজ সংলগ্ন অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত ভয়াবহ ট্রেন-বাস সংঘর্ষে প্রাণ হারান ৪০ জন। সেই বেদনাবিধুর দিনটি আজও ভোলেনি এলাকাবাসী। ঘটনার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও নিহতদের স্মরণে কোনো স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়নি। এই উপেক্ষার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় মানববন্ধনে দাঁড়ান ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
আক্কেলপুরবাসীর ব্যানারে ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজন ও স্থানীয় তরুণ সমাজ মহিলা কলেজ রেল গেটের পাশে সড়কে দাঁড়িয়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন। ব্যানার হাতে দাঁড়ানো স্বজনদের চোখেমুখে ছিল বেদনা আর হতাশার ছাপ। তাদের দাবি, আক্কেলপুর ট্র্যাজেডি ভুলিনি আমরা, চাই স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ।
মানববন্ধনে নিহতদের স্বজনরা জানান, প্রতিবছর দিনটি আসে, যায়। কিন্তু যারা হারিয়ে গেছে, তাদের জন্য একটি পাথরের ফলকও তৈরি হয়নি। সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কাজ কিছুই করেনি। এটি কেবল অবহেলা নয়, শহীদদের অপমান।
তারা প্রশ্ন তোলেন, দেশজুড়ে নানা ঘটনায় স্মৃতিফলক হয়, শহীদ মিনার হয়, আর আক্কেলপুরের মতো একটি দূর্ঘটনার কোনো স্মৃতি থাকবে না?
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১১ জুলাই সকালে আক্কেলপুর মহিলা কলেজ সংলগ্ন অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় জয়পুরহাটগামী খেয়া পরিবহনের একটি বাস চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনা গামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেসের সাথে সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৪০ জন বাসযাত্রী। আহত হন আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, এই জায়গাটি শুধু একটি দুর্ঘটনার স্থান নয় এটি একটি গণশোকের প্রতীক। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নেই। ১৯ বছরে একটিবারও স্থানীয় এমপি, মন্ত্রণালয় কিংবা রেল কর্তৃপক্ষ এসে দেখেছে কি না সেটিই প্রশ্ন।
ট্রেন-বাস দুর্ঘটনার ট্র্যাজেডির ১৯ বছর
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
২০০৬ সালের ১১ জুলাই জয়পুরহাটের আক্কেলপুর মহিলা কলেজ সংলগ্ন অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত ভয়াবহ ট্রেন-বাস সংঘর্ষে প্রাণ হারান ৪০ জন। সেই বেদনাবিধুর দিনটি আজও ভোলেনি এলাকাবাসী। ঘটনার ১৯ বছর পেরিয়ে গেলেও নিহতদের স্মরণে কোনো স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়নি। এই উপেক্ষার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার বেলা ১১ টায় মানববন্ধনে দাঁড়ান ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
আক্কেলপুরবাসীর ব্যানারে ওই দুর্ঘটনায় নিহতদের স্বজন ও স্থানীয় তরুণ সমাজ মহিলা কলেজ রেল গেটের পাশে সড়কে দাঁড়িয়ে ঘন্টা ব্যাপী মানববন্ধন করেন। ব্যানার হাতে দাঁড়ানো স্বজনদের চোখেমুখে ছিল বেদনা আর হতাশার ছাপ। তাদের দাবি, আক্কেলপুর ট্র্যাজেডি ভুলিনি আমরা, চাই স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ।
মানববন্ধনে নিহতদের স্বজনরা জানান, প্রতিবছর দিনটি আসে, যায়। কিন্তু যারা হারিয়ে গেছে, তাদের জন্য একটি পাথরের ফলকও তৈরি হয়নি। সরকার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, কাজ কিছুই করেনি। এটি কেবল অবহেলা নয়, শহীদদের অপমান।
তারা প্রশ্ন তোলেন, দেশজুড়ে নানা ঘটনায় স্মৃতিফলক হয়, শহীদ মিনার হয়, আর আক্কেলপুরের মতো একটি দূর্ঘটনার কোনো স্মৃতি থাকবে না?
উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের ১১ জুলাই সকালে আক্কেলপুর মহিলা কলেজ সংলগ্ন অরক্ষিত রেলক্রসিং পার হওয়ার সময় জয়পুরহাটগামী খেয়া পরিবহনের একটি বাস চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনা গামী আন্তঃনগর রূপসা এক্সপ্রেসের সাথে সংঘর্ষে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ৪০ জন বাসযাত্রী। আহত হন আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, এই জায়গাটি শুধু একটি দুর্ঘটনার স্থান নয় এটি একটি গণশোকের প্রতীক। অথচ রাষ্ট্রীয়ভাবে কোনো উদ্যোগ নেই। ১৯ বছরে একটিবারও স্থানীয় এমপি, মন্ত্রণালয় কিংবা রেল কর্তৃপক্ষ এসে দেখেছে কি না সেটিই প্রশ্ন।