মধুপুর (টাঙ্গাইল) : আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছে চারা উৎপাদনকারীরা-সংবাদ
সরকারিভাবে আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছে চারা উৎপাদনকারীরা। প্রশাসনের তৎপরতার কারণে তাদের বিক্রিও বন্ধ থেমে যাচ্ছে । প্রশাসন উপজেলা পরিষদ চত্বরে তাদের কৃষি মেলায় নিষিদ্ধ জাতের ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির প্রায় ৮০ হাজার চারা ধ্বংস করেছে। প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন। কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলছে, এ কার্যক্রমে অভিযান ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
নার্সারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লাল মাটির মধুপুর গড়ে চারা উত্তোলন ও ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত অনেক নার্সারি রয়েছে। এসব নার্সারিতে ফলজ বনজ ভেষজ শোভাবর্ধনসহ বিভিন্ন জাতের চারা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। নার্সারির জড়িত প্রায় কয়েকশত মানুষ তাদের জীবন জীবিকার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে। পেশা হিসেবে তাদের রয়েছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। সারা বছর সারা উৎপাদন করে বর্ষাকালে এসব বিক্রি করে থাকে। কিন্তু চারা উৎপাদনের সময় এ দুটি জাতের চারা নিষিদ্ধ করলে, তারা উৎপাদন করতো না বলে জানায়। বিক্রি সময়ে এসে নিষিদ্ধ করায় তারা চিন্তায় পড়েছে।
পিরোজপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় নার্সারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ এর সাথে। তিনি বলেন, সে নিজে আকাশমনির ৫০ হাজার চারা করেছে। তার সংগঠনের সভাপতি আলমগীর হোসেন ৫০ হাজার, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ৪৫ হাজারসহ তাদের নার্সারি উন্নয়ন সংস্থার প্রায় সদস্যই অন্যান্য চারার পাশাপাশি ২০ হাজার থেকে এক লক্ষ পর্যন্ত এ দুটি জাতের চারা উৎপাদন করেছে।
তিনি জানান, এসব নার্সারি ব্যবসায়ীদের সবারই নিজস্ব জমি নেই। কেউ লিজ, কেউ ভাড়ায়, কেউ ভোগ রেহান জমিতে ধার দেনা, এনজিও ব্যাংক লোন ও গ্রাম্য ঋণ দিয়ে তারা নার্সারিতে চারা উৎপাদন করে থাকে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে নিষিদ্ধ করে দিলে তারা এ জাতের চারা করতো না। চারা বড় হয়ে বিক্রি সময়ে নিষিদ্ধ করায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে জানালেন।
নার্সারি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, সে এবছর ৪৫ হাজার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির চারা করেছে। প্রতিটি চারা সে ১০-২০ টাকা পর্যস্ত বিক্রি করতে পারতো। শুধু হানিফ, আলমগীর, রফিকুল ইসলামই নয় এমন কথা জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নিষিদ্ধ গাছ রোপন বিপনন থেকে বিরত থাকতে সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। জনসচেতনতায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কৃষি মেলায় প্রসাশনের পক্ষ থেকে প্রায় ৮০ হাজার নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে, এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন বলেন, প্রসাশনের পক্ষ থেকে মধুপুরে প্রায় ৮০ হাজার নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে। এ নিয়ে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। পরবর্তীতে আরো চারা এনে ধ্বংস করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি ভাবে কমবেশি প্রণোদনা দেয়া হবে।
নার্সারি মালিকদের নিয়ে বসে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস আকাশমনি চারা বিক্রি বন্ধ করার জন্য জানিয়েছে। এ নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস বিষয়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি।
মধুপুর (টাঙ্গাইল) : আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছে চারা উৎপাদনকারীরা-সংবাদ
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
সরকারিভাবে আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস গাছের চারা নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়েছে চারা উৎপাদনকারীরা। প্রশাসনের তৎপরতার কারণে তাদের বিক্রিও বন্ধ থেমে যাচ্ছে । প্রশাসন উপজেলা পরিষদ চত্বরে তাদের কৃষি মেলায় নিষিদ্ধ জাতের ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির প্রায় ৮০ হাজার চারা ধ্বংস করেছে। প্রশাসনের এ অভিযান অব্যাহত থাকার কথা জানিয়েছে মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন। কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলছে, এ কার্যক্রমে অভিযান ও জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে। এজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
নার্সারি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, লাল মাটির মধুপুর গড়ে চারা উত্তোলন ও ব্যবসার সাথে সরাসরি জড়িত অনেক নার্সারি রয়েছে। এসব নার্সারিতে ফলজ বনজ ভেষজ শোভাবর্ধনসহ বিভিন্ন জাতের চারা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। নার্সারির জড়িত প্রায় কয়েকশত মানুষ তাদের জীবন জীবিকার অবলম্বন হিসেবে বেছে নিয়েছে। পেশা হিসেবে তাদের রয়েছে সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ। সারা বছর সারা উৎপাদন করে বর্ষাকালে এসব বিক্রি করে থাকে। কিন্তু চারা উৎপাদনের সময় এ দুটি জাতের চারা নিষিদ্ধ করলে, তারা উৎপাদন করতো না বলে জানায়। বিক্রি সময়ে এসে নিষিদ্ধ করায় তারা চিন্তায় পড়েছে।
পিরোজপুর গ্রামে গিয়ে কথা হয় নার্সারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সাধারণ সম্পাদক আবু হানিফ এর সাথে। তিনি বলেন, সে নিজে আকাশমনির ৫০ হাজার চারা করেছে। তার সংগঠনের সভাপতি আলমগীর হোসেন ৫০ হাজার, সাংগঠনিক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ৪৫ হাজারসহ তাদের নার্সারি উন্নয়ন সংস্থার প্রায় সদস্যই অন্যান্য চারার পাশাপাশি ২০ হাজার থেকে এক লক্ষ পর্যন্ত এ দুটি জাতের চারা উৎপাদন করেছে।
তিনি জানান, এসব নার্সারি ব্যবসায়ীদের সবারই নিজস্ব জমি নেই। কেউ লিজ, কেউ ভাড়ায়, কেউ ভোগ রেহান জমিতে ধার দেনা, এনজিও ব্যাংক লোন ও গ্রাম্য ঋণ দিয়ে তারা নার্সারিতে চারা উৎপাদন করে থাকে।
তিনি বলেন, ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসে নিষিদ্ধ করে দিলে তারা এ জাতের চারা করতো না। চারা বড় হয়ে বিক্রি সময়ে নিষিদ্ধ করায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে বলে জানালেন।
নার্সারি ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, সে এবছর ৪৫ হাজার ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির চারা করেছে। প্রতিটি চারা সে ১০-২০ টাকা পর্যস্ত বিক্রি করতে পারতো। শুধু হানিফ, আলমগীর, রফিকুল ইসলামই নয় এমন কথা জানিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
মধুপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রকিব আল রানা বলেন, কৃষি বিভাগ এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নিষিদ্ধ গাছ রোপন বিপনন থেকে বিরত থাকতে সচেতনতার কোন বিকল্প নাই। জনসচেতনতায় সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান এ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কৃষি মেলায় প্রসাশনের পক্ষ থেকে প্রায় ৮০ হাজার নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকবে, এ জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন বলেন, প্রসাশনের পক্ষ থেকে মধুপুরে প্রায় ৮০ হাজার নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস করা হয়েছে। এ নিয়ে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। পরবর্তীতে আরো চারা এনে ধ্বংস করা হবে। তিনি বলেন, সরকারি ভাবে কমবেশি প্রণোদনা দেয়া হবে।
নার্সারি মালিকদের নিয়ে বসে নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস আকাশমনি চারা বিক্রি বন্ধ করার জন্য জানিয়েছে। এ নিষিদ্ধ গাছের চারা ধ্বংস বিষয়ে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি।