alt

সারাদেশ

স্ত্রীকে কুপিয়ে ১১ টুকরো হত্যা, পালিয়ে গিয়ে ধরা খেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরের রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর তাঁর দেহ ১১ টুকরো করেন স্বামী মো. সুমন আলী (৪০)।

হত্যার পর এসব টুকরো ঘরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখেন তিনি। পরে লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে শুরু করলে, ১০ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান সুমন।

এই ভয়াবহ ঘটনার পাঁচদিন পর শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

আজ শনিবার দুপুরে র‍্যাব–৭ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্থাটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।

“বাথরুমে রক্ত, কমোডে দেহের টুকরো”

র‍্যাব জানায়, ৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে ধারালো দুটি ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন। এরপর স্ত্রীর মরদেহ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রাখেন।

ঘটনার সময় বাসা থেকে অস্বাভাবিক শব্দ শুনে দারোয়ান মশিউর রহমান ওই ফ্ল্যাটে যান। দরজা খুলতে দেরি করেন সুমন। পরে রক্ত ও পানির শব্দ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন।

মশিউর রহমান জোর করে ঘরে ঢুকে দেখতে পান—বিছানার নিচে, বাথরুমে ও কমোডে স্ত্রীর শরীরের টুকরো টুকরো অংশ। সঙ্গে রক্তমাখা কাপড়ও ছিল।

তিনি নিচে নেমে অন্যদের ডাকতে গেলে, ওই ফাঁকে সুমন গ্রিল কেটে নিচে নেমে পালিয়ে যান।

১০ বছর সংসার, শেষ হলো নির্মম পরিণতিতে

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন র‍্যাবকে জানান, তাঁর বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী গ্রামে। বাবার নাম সুন্দর আলী। প্রায় ১০ বছর আগে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরে জীবিকার খোঁজে সৌদি আরবে যান।

২০২৩ সালের জুন মাসে দেশে ফিরে আসেন এবং একটি পিকআপ চালাতে শুরু করেন। দেশে ফেরার পর প্রায়ই স্ত্রী ফাতেমার সঙ্গে তার কলহ হতো।

৯ জুলাই রাতেও এমনই এক ঝগড়ার একপর্যায়ে, রাগের মাথায় দুটি ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন সুমন।

হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সুমনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

বিএনপিকে দলীয় চাঁদাবাজি ও খুনাখুনির রাজনীতি বন্ধ করতে হবে: হেফাজতে ইসলাম

সোহাগ হত্যার প্রতিবাদ চার সংগঠনের

ভিডিও ছড়ানোর ভয় দেখিয়ে তরুণীকে একাধিক ধর্ষণের অভিযোগে মামলা

বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ইজিবাইক চালকের

এক বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে দুই বিষয়ে ফেল, শিক্ষার্থীর মাথায় হাত ভোলার তিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সবাই ফেল

নৌকাডুবির ঘটনায় দুই বোনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

মধুপুরে ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি চারা নিয়ে বিপাকে নার্সারি ব্যবসায়ীরা

স্মৃতিস্তম্ভ না হওয়ায় মানববন্ধন

কালীগঞ্জে জাতীয় পার্টির গোলটেবিল বৈঠক

মাদারগঞ্জে মিষ্টির দোকানে ভিড়

ছবি

লক্ষ্মীপুরে ১ বছরে পানিতে ডুবে ১২৫ শিশুর মৃত্যু

কুষ্টিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বাড়িতে আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ

মাদারগঞ্জ হাসপাতালে সেবার পরিবর্তে ময়লার স্তূপ

নবাবগঞ্জে পানিতে পড়ে নিখোঁজ হওয়া যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বোরহানউদ্দিনে রাস্তায় ধান রোপণ করে প্রতিবাদ

দোয়ারাবাজার সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত

শেরপুরে নাশকতার মামলায় মাদ্রাসা সুপার গ্রেপ্তার

ছবি

খাগড়াছড়ির শহরের বাইরের স্কুলেই বাজিমাত, পাসের হার ৬০.৪৯%

বামনায় নৌবাহিনীর অভিযানে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২

মাদ্রাসার মসজিদ থেকে শিশুশিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ে সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

ছবি

বৃষ্টিতে উপকৃত পাট চাষিরা সবজিতে বিপর্যয়

হবিগঞ্জে সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় সাংবাদিকসহ আসামি ১৩৫

চাঁদপুরে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার

হত্যাকাণ্ড এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে বেরোবিতে বিক্ষোভ

ছবি

শেরপুর পৌর শহরে সড়কের বেহাল দশায় জনদুর্ভোগ

ছবি

দশমিনায় ১টি স্কুলে কেউ পাস করেনি

ছবি

নির্বিচারে নিধন হচ্ছে দেশীয় প্রজাতির ডিমওয়ালা মা মাছ

ছবি

ভাঙ্গুড়ায় ইউএনওর স্বেচ্ছাচারিতায় ও অনিয়মে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ

ঋণের টাকা না পেয়ে ঋণগ্রহিতাকে অন্ধকারে তালাবদ্ধ করে রাখলেন বিআরডিবির মাঠকর্মী

রাউজানে ডায়াবেটিস সচেতনতায় বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা

পঞ্চগড়ে বিসিক নগর টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিএম কলেজের অধ্যক্ষ দেলদার রহমান কারাগারে

ঝিকরগাছায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিতকরণে সচেতনতামূলক সভা

ছবি

নোয়াখালীতে টানা ভারি বর্ষণে জনদুর্ভোগ চরমে

ছবি

হাজার হাজার পর্যটকের কাছে দৃষ্টিনন্দন ডাউকির ঝুলন্ত সেতু

ছবি

আক্কেলপুরে গনিপুর দাখিল মাদ্রাসায় শতভাগ ফেল

tab

সারাদেশ

স্ত্রীকে কুপিয়ে ১১ টুকরো হত্যা, পালিয়ে গিয়ে ধরা খেলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

চট্টগ্রাম নগরের রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর তাঁর দেহ ১১ টুকরো করেন স্বামী মো. সুমন আলী (৪০)।

হত্যার পর এসব টুকরো ঘরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখেন তিনি। পরে লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে শুরু করলে, ১০ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান সুমন।

এই ভয়াবহ ঘটনার পাঁচদিন পর শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

আজ শনিবার দুপুরে র‍্যাব–৭ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্থাটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।

“বাথরুমে রক্ত, কমোডে দেহের টুকরো”

র‍্যাব জানায়, ৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে ধারালো দুটি ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন। এরপর স্ত্রীর মরদেহ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রাখেন।

ঘটনার সময় বাসা থেকে অস্বাভাবিক শব্দ শুনে দারোয়ান মশিউর রহমান ওই ফ্ল্যাটে যান। দরজা খুলতে দেরি করেন সুমন। পরে রক্ত ও পানির শব্দ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন।

মশিউর রহমান জোর করে ঘরে ঢুকে দেখতে পান—বিছানার নিচে, বাথরুমে ও কমোডে স্ত্রীর শরীরের টুকরো টুকরো অংশ। সঙ্গে রক্তমাখা কাপড়ও ছিল।

তিনি নিচে নেমে অন্যদের ডাকতে গেলে, ওই ফাঁকে সুমন গ্রিল কেটে নিচে নেমে পালিয়ে যান।

১০ বছর সংসার, শেষ হলো নির্মম পরিণতিতে

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন র‍্যাবকে জানান, তাঁর বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী গ্রামে। বাবার নাম সুন্দর আলী। প্রায় ১০ বছর আগে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরে জীবিকার খোঁজে সৌদি আরবে যান।

২০২৩ সালের জুন মাসে দেশে ফিরে আসেন এবং একটি পিকআপ চালাতে শুরু করেন। দেশে ফেরার পর প্রায়ই স্ত্রী ফাতেমার সঙ্গে তার কলহ হতো।

৯ জুলাই রাতেও এমনই এক ঝগড়ার একপর্যায়ে, রাগের মাথায় দুটি ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন সুমন।

হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

র‍্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সুমনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

back to top