চট্টগ্রাম নগরের রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর তাঁর দেহ ১১ টুকরো করেন স্বামী মো. সুমন আলী (৪০)।
হত্যার পর এসব টুকরো ঘরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখেন তিনি। পরে লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে শুরু করলে, ১০ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান সুমন।
এই ভয়াবহ ঘটনার পাঁচদিন পর শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আজ শনিবার দুপুরে র্যাব–৭ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্থাটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
“বাথরুমে রক্ত, কমোডে দেহের টুকরো”
র্যাব জানায়, ৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে ধারালো দুটি ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন। এরপর স্ত্রীর মরদেহ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রাখেন।
ঘটনার সময় বাসা থেকে অস্বাভাবিক শব্দ শুনে দারোয়ান মশিউর রহমান ওই ফ্ল্যাটে যান। দরজা খুলতে দেরি করেন সুমন। পরে রক্ত ও পানির শব্দ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন।
মশিউর রহমান জোর করে ঘরে ঢুকে দেখতে পান—বিছানার নিচে, বাথরুমে ও কমোডে স্ত্রীর শরীরের টুকরো টুকরো অংশ। সঙ্গে রক্তমাখা কাপড়ও ছিল।
তিনি নিচে নেমে অন্যদের ডাকতে গেলে, ওই ফাঁকে সুমন গ্রিল কেটে নিচে নেমে পালিয়ে যান।
১০ বছর সংসার, শেষ হলো নির্মম পরিণতিতে
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন র্যাবকে জানান, তাঁর বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী গ্রামে। বাবার নাম সুন্দর আলী। প্রায় ১০ বছর আগে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরে জীবিকার খোঁজে সৌদি আরবে যান।
২০২৩ সালের জুন মাসে দেশে ফিরে আসেন এবং একটি পিকআপ চালাতে শুরু করেন। দেশে ফেরার পর প্রায়ই স্ত্রী ফাতেমার সঙ্গে তার কলহ হতো।
৯ জুলাই রাতেও এমনই এক ঝগড়ার একপর্যায়ে, রাগের মাথায় দুটি ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন সুমন।
হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সুমনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫
চট্টগ্রাম নগরের রৌফাবাদ এলাকায় স্ত্রীকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার পর তাঁর দেহ ১১ টুকরো করেন স্বামী মো. সুমন আলী (৪০)।
হত্যার পর এসব টুকরো ঘরের বিভিন্ন জায়গায় লুকিয়ে রাখেন তিনি। পরে লোকজন বিষয়টি আঁচ করতে শুরু করলে, ১০ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রিল ভেঙে পালিয়ে যান সুমন।
এই ভয়াবহ ঘটনার পাঁচদিন পর শুক্রবার রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ফুলবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
আজ শনিবার দুপুরে র্যাব–৭ চট্টগ্রামের চান্দগাঁও কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্থাটির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান।
“বাথরুমে রক্ত, কমোডে দেহের টুকরো”
র্যাব জানায়, ৯ জুলাই রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার রৌফাবাদ পাহাড়িকা হাউজিংয়ের একটি ফ্ল্যাটে স্ত্রী ফাতেমা বেগমকে ধারালো দুটি ছুরি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন সুমন। এরপর স্ত্রীর মরদেহ ১১ টুকরো করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে রাখেন।
ঘটনার সময় বাসা থেকে অস্বাভাবিক শব্দ শুনে দারোয়ান মশিউর রহমান ওই ফ্ল্যাটে যান। দরজা খুলতে দেরি করেন সুমন। পরে রক্ত ও পানির শব্দ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করেন।
মশিউর রহমান জোর করে ঘরে ঢুকে দেখতে পান—বিছানার নিচে, বাথরুমে ও কমোডে স্ত্রীর শরীরের টুকরো টুকরো অংশ। সঙ্গে রক্তমাখা কাপড়ও ছিল।
তিনি নিচে নেমে অন্যদের ডাকতে গেলে, ওই ফাঁকে সুমন গ্রিল কেটে নিচে নেমে পালিয়ে যান।
১০ বছর সংসার, শেষ হলো নির্মম পরিণতিতে
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সুমন র্যাবকে জানান, তাঁর বাড়ি কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী গ্রামে। বাবার নাম সুন্দর আলী। প্রায় ১০ বছর আগে ফাতেমা বেগমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। পরে জীবিকার খোঁজে সৌদি আরবে যান।
২০২৩ সালের জুন মাসে দেশে ফিরে আসেন এবং একটি পিকআপ চালাতে শুরু করেন। দেশে ফেরার পর প্রায়ই স্ত্রী ফাতেমার সঙ্গে তার কলহ হতো।
৯ জুলাই রাতেও এমনই এক ঝগড়ার একপর্যায়ে, রাগের মাথায় দুটি ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করেন বলে স্বীকার করেছেন সুমন।
হত্যাকাণ্ডের দু’দিন পর নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে বায়েজিদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
র্যাব জানায়, গ্রেপ্তার সুমনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।