মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিসের নবনির্মিত ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি হলেই দুইটি কক্ষ দিয়ে পানি ঝরে । এতে ওই অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে অফিস স্টাফ, দলিল লেখক ও দাতা গ্রহিতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভবনটির মোহরার ও রেকর্ডরুমে চুঁইয়ে পড়ে পানি জমে যায়। পাশাপাশি সাব রেজিস্টারের খাস কামড়া ও সহকারীর অফিস কক্ষের একাধিক স্থানে ফাটল ধরায় ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিংগাইর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ পায় জয়া কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৪ মাস মেয়াদে পিডব্লিওডির তত্ত্বাবধানে ৩৩ শতাংশ জমিতে দু’তলা ভবন নির্মাণের কাজ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুনে সম্পন্ন করেন। ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এ ভবনটি বুঝিয়ে দিলে গত ২ মার্চ থেকে অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়।
ভবন বুঝিয়ে দেয়ার ৫ মাস পেরিয়ে না যেতেই নির্মাণ ত্রুটি ধরা পড়ে। দেয়ালের একাধিক স্থানে দেখা দেয় ফাটল,বৃষ্টি এলে ছাদ থেকে গড়িয়ে পড়ে পানি।
সাব-রেজিস্টার অফিসে কর্মরতরা বলেন,এ অফিসকে ঘিরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও ১৫০ জন দলিল লেখক, ৫০ জন নকলনবিশ রয়েছে। ভবনের নিম্নমানের কাজ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। ভবনটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেয়ায় অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলেও অভিযোগ তাদের ।
মানিকগঞ্জ জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আউয়াল শরীফ খোকন বলেন,ভবনটি ব্লক ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এবং কিউরিং ঠিকমতো না হওয়ার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করেন করেন তিনি। সত্যিকার অর্থে এটা খুবই দুঃখজনক, আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই।
ভবনটি নির্মাণে তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা পিডব্লিওডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন,আমরা যখন ৫ মাস আগে ভবনটি হ্যান্ডওভার দিলাম,তখন তো এগুলো ধরা পড়ে নাই। যেহেতু কিছু ত্রুটি বের হয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে ওগুলো তারা সংশোধন করে দেবেন।
ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিন সরকার জানান, ওই ভবন নির্মাণে আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করে দেব।
জয়া কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো.জুবায়ের রহমান বলেন, একটা কাজ শেষে ব্যবহারের সময় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হলে সেটা ঠিকাদারের দায়িত্ব ঠিক করে দেয়া। কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন করেছিলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি উনি গিয়ে যা যা সমস্যা আছে সমাধান দেবেন। তিনি আরো বলেন, ফাটলের বিষয়টা সলিড ব্রিকসের কারণে হয়েছে। সলিড ব্রিকস দিয়ে যেখানেই কাজ হয়েছে সেখানেই কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি শেষ হোক আমাকে একটু সময় সুযোগ দিলে আমি ঠিক করে দেব।
সিংগাইর উপজেলা সাব রেজিস্টার মো. মামুন বাবর মিরোজ বলেন, বিল্ডিংয়ে পানি চুইয়ে পড়া ছাড়া দেয়ালে ফাটল ধরেছে। নিচের অংশের পাশ থেকে বালু সরে গেছে যে কোনো সময় ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভবন করার সময় দায়িত্বপ্রাপ্তদের তদারকির অভাব ছিল। তারা এ ভবন বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার পর আমাদের পাত্তাই দেননি। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনের ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করে গেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ হোসেন বলেন, আমি এই প্রথম শুনলাম। বিষয়টি কতৃপক্ষ বরাবর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলবো।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা সাব-রেজিস্টার অফিসের নবনির্মিত ভবনে ফাটল দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি হলেই দুইটি কক্ষ দিয়ে পানি ঝরে । এতে ওই অফিসের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। এ নিয়ে অফিস স্টাফ, দলিল লেখক ও দাতা গ্রহিতাদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভবনটির মোহরার ও রেকর্ডরুমে চুঁইয়ে পড়ে পানি জমে যায়। পাশাপাশি সাব রেজিস্টারের খাস কামড়া ও সহকারীর অফিস কক্ষের একাধিক স্থানে ফাটল ধরায় ভবনটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সিংগাইর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ পায় জয়া কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১৪ মাস মেয়াদে পিডব্লিওডির তত্ত্বাবধানে ৩৩ শতাংশ জমিতে দু’তলা ভবন নির্মাণের কাজ ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুনে সম্পন্ন করেন। ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নতুন এ ভবনটি বুঝিয়ে দিলে গত ২ মার্চ থেকে অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়।
ভবন বুঝিয়ে দেয়ার ৫ মাস পেরিয়ে না যেতেই নির্মাণ ত্রুটি ধরা পড়ে। দেয়ালের একাধিক স্থানে দেখা দেয় ফাটল,বৃষ্টি এলে ছাদ থেকে গড়িয়ে পড়ে পানি।
সাব-রেজিস্টার অফিসে কর্মরতরা বলেন,এ অফিসকে ঘিরে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও ১৫০ জন দলিল লেখক, ৫০ জন নকলনবিশ রয়েছে। ভবনের নিম্নমানের কাজ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনকে দায়ী করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা। ভবনটির বিভিন্ন জায়গায় ফাটল দেখা দেয়ায় অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন বলেও অভিযোগ তাদের ।
মানিকগঞ্জ জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আউয়াল শরীফ খোকন বলেন,ভবনটি ব্লক ইট দিয়ে নির্মাণ করা হয়েছে এবং কিউরিং ঠিকমতো না হওয়ার কারণে এমন অবস্থার সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারণা করেন করেন তিনি। সত্যিকার অর্থে এটা খুবই দুঃখজনক, আমরা এ থেকে পরিত্রাণ চাই।
ভবনটি নির্মাণে তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে থাকা পিডব্লিওডি’র উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন,আমরা যখন ৫ মাস আগে ভবনটি হ্যান্ডওভার দিলাম,তখন তো এগুলো ধরা পড়ে নাই। যেহেতু কিছু ত্রুটি বের হয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে ওগুলো তারা সংশোধন করে দেবেন।
ভবন নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনের সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. রবিন সরকার জানান, ওই ভবন নির্মাণে আমাদের যে সমস্যাগুলো আছে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সমাধান করে দেব।
জয়া কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী মো.জুবায়ের রহমান বলেন, একটা কাজ শেষে ব্যবহারের সময় কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি হলে সেটা ঠিকাদারের দায়িত্ব ঠিক করে দেয়া। কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন করেছিলেন, আমি ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলেছি উনি গিয়ে যা যা সমস্যা আছে সমাধান দেবেন। তিনি আরো বলেন, ফাটলের বিষয়টা সলিড ব্রিকসের কারণে হয়েছে। সলিড ব্রিকস দিয়ে যেখানেই কাজ হয়েছে সেখানেই কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি শেষ হোক আমাকে একটু সময় সুযোগ দিলে আমি ঠিক করে দেব।
সিংগাইর উপজেলা সাব রেজিস্টার মো. মামুন বাবর মিরোজ বলেন, বিল্ডিংয়ে পানি চুইয়ে পড়া ছাড়া দেয়ালে ফাটল ধরেছে। নিচের অংশের পাশ থেকে বালু সরে গেছে যে কোনো সময় ধসে পড়ার আশংকা রয়েছে। তিনি আরো বলেন, ভবন করার সময় দায়িত্বপ্রাপ্তদের তদারকির অভাব ছিল। তারা এ ভবন বুঝিয়ে দিয়ে চলে যাওয়ার পর আমাদের পাত্তাই দেননি। নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান জয়া কনস্ট্রাকশনের ইঞ্জিনিয়ার এসেছিলেন বিষয়টি দেখবেন বলে আমাকে আশ্বস্ত করে গেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রার মো. জাহিদ হোসেন বলেন, আমি এই প্রথম শুনলাম। বিষয়টি কতৃপক্ষ বরাবর যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলবো।