চাঁদপুর শহরের রেলওয়ের লেক থেকে আল-আমিন (১৭) নামে সদ্য এসএসসি উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
গতকাল শনিবার দিনগত রাত ১০টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের লেকের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর আল-আমিনের সঙ্গে থাকা ৭ সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর মডেল থানায় নিয়েছে পুলিশ।
আল-আমিন (রিমন) এ বছর চাঁদপুর গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী প্রধানিয়ার ছেলে। পরিবারসহ তারা শহরের মমিনপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে আল-আমিন বাসা থেকে বের হয়ে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী হাই স্কুল মাঠসংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকার’ এর সামনে লেকপাড় এলাকায় কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করে তাকে লেকের পানিতে ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা আরও জানান, আল-আমিনের সহপাঠীরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করেছে রিমন নামে আরেক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরে লেকের একপাড় থেকে অন্য পাড়ে যাবে। এর বিনিময়ে সে ৫০০ টাকা পাবে। এরপরই এই ঘটনা। ঘটনার পর খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে আসেন আল-আমিনের বাবা রমজান আলী প্রধানিয়া ও মা ফারজানা আক্তারসহ স্বজনরা।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আল-আমিনের বাবা রমজান আলী জানান, এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির সামনে থেকে তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে লেকের পাড়ে ছুরি মারে অজ্ঞাতরা। বাঁচার জন্য তার ছেলে লেকের পানিতে লাফ দিয়েও বাঁচতে পারেনি। পানিতে ডুবে মারা যায়। তিনি এই হত্যার বিচার দাবি করেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে আসে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী আল-আমিনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
চাঁদপুর শহরের রেলওয়ের লেক থেকে আল-আমিন (১৭) নামে সদ্য এসএসসি উত্তীর্ণ এক শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা।
গতকাল শনিবার দিনগত রাত ১০টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা সড়কের লেকের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর আল-আমিনের সঙ্গে থাকা ৭ সহপাঠীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর মডেল থানায় নিয়েছে পুলিশ।
আল-আমিন (রিমন) এ বছর চাঁদপুর গনি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী প্রধানিয়ার ছেলে। পরিবারসহ তারা শহরের মমিনপাড়া এলাকায় বসবাস করতেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার বিকেলে আল-আমিন বাসা থেকে বের হয়ে চাঁদপুর শহরের হাসান আলী হাই স্কুল মাঠসংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকার’ এর সামনে লেকপাড় এলাকায় কয়েকজন সহপাঠীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। এর কিছুক্ষণ পর রাত ৯টার দিকে হঠাৎ করে তাকে লেকের পানিতে ভাসতে দেখা যায়। স্থানীয়রা আরও জানান, আল-আমিনের সহপাঠীরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করেছে রিমন নামে আরেক বন্ধুর সঙ্গে বাজি ধরে লেকের একপাড় থেকে অন্য পাড়ে যাবে। এর বিনিময়ে সে ৫০০ টাকা পাবে। এরপরই এই ঘটনা। ঘটনার পর খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে হাসপাতালে আসেন আল-আমিনের বাবা রমজান আলী প্রধানিয়া ও মা ফারজানা আক্তারসহ স্বজনরা।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আল-আমিনের বাবা রমজান আলী জানান, এলাকার ভূঁইয়া বাড়ির সামনে থেকে তার ছেলেকে ডেকে নিয়ে লেকের পাড়ে ছুরি মারে অজ্ঞাতরা। বাঁচার জন্য তার ছেলে লেকের পানিতে লাফ দিয়েও বাঁচতে পারেনি। পানিতে ডুবে মারা যায়। তিনি এই হত্যার বিচার দাবি করেন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং পরবর্তীতে হাসপাতালে আসে। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থী আল-আমিনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।