জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
চট্টগ্রাম-৬ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চট্টগ্রাম-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।
তিনি বলেন, সাবেক এমপির বিরুদ্ধে তদন্তে ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদ এবং ব্যাংকে ‘সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক’ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধানে তার নামে ২৪ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৩২ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ২২ হাজার ৬০৭ টাকার স্থাবর এবং ১২ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ফজলে করিমের আয়কর নথি অনুযায়ী বৈধ আয় ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬০ টাকা। অর্থাৎ, আয়কর বিবরণীর তুলনায় ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকার বেশি সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন এবং ভোগদখল করেছেন।
দুদক আরও জানায়, তার নামে থাকা ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকার ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক’ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করতে ১২টি ব্যাংক হিসাবে তিনি ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৭২ টাকা জমা করেন এবং ৫৪ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৭১৮ টাকা উত্তোলন করেন।
একসময় এনডিপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা ফজলে করিম ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান। ওই বছর নির্বাচনে জয়ী হতে না পারলেও ২০০১ সালে চট্টগ্রামের রাউজান আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর টানা পাঁচবার তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত থেকে ‘অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা’কালে বিজিবির হাতে আটক হন। পরে তাকে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সবশেষ ১৯ সেপ্টেম্বর হেলিকপ্টারে করে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, হত্যাচেষ্টা, জমি দখল, ভাঙচুরসহ নানা অভিযোগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় তাকে একাধিকবার রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
চট্টগ্রাম-৬ আসনের ছয়বারের সংসদ সদস্য ফজলে করিমের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭(১) এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুদক চট্টগ্রাম-১ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।
তিনি বলেন, সাবেক এমপির বিরুদ্ধে তদন্তে ‘জ্ঞাত আয় বহির্ভূত’ সম্পদ এবং ব্যাংকে ‘সন্দেহজনক ও অস্বাভাবিক’ লেনদেনের প্রমাণ পাওয়া গেছে।
দুদকের মামলায় বলা হয়েছে, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর অনিয়ম-দুর্নীতির অনুসন্ধানে তার নামে ২৪ কোটি ৮ লাখ ৩০ হাজার ২৩২ টাকার সম্পদ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১১ কোটি ৯৫ লাখ ২২ হাজার ৬০৭ টাকার স্থাবর এবং ১২ কোটি ১৩ লাখ ৭ হাজার ৬২৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
তদন্তে দেখা গেছে, ফজলে করিমের আয়কর নথি অনুযায়ী বৈধ আয় ১৮ কোটি ১৩ লাখ ৩৭ হাজার ৪৬০ টাকা। অর্থাৎ, আয়কর বিবরণীর তুলনায় ৫ কোটি ৯৪ লাখ ৯২ হাজার ৭৭২ টাকার বেশি সম্পদ তিনি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন এবং ভোগদখল করেছেন।
দুদক আরও জানায়, তার নামে থাকা ১২টি ব্যাংক হিসাবে ১০৮ কোটি ৬৪ লাখ ৮৫ হাজার ৭৯০ টাকার ‘অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক’ লেনদেনের তথ্য পাওয়া গেছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, দুর্নীতি ও ঘুষের মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করতে ১২টি ব্যাংক হিসাবে তিনি ৫৪ কোটি ৩৯ লাখ ১৩ হাজার ৭২ টাকা জমা করেন এবং ৫৪ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৭১৮ টাকা উত্তোলন করেন।
একসময় এনডিপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকা ফজলে করিম ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পান। ওই বছর নির্বাচনে জয়ী হতে না পারলেও ২০০১ সালে চট্টগ্রামের রাউজান আসন থেকে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর টানা পাঁচবার তিনি সংসদ সদস্য ছিলেন।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্ত থেকে ‘অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা’কালে বিজিবির হাতে আটক হন। পরে তাকে আখাউড়া থানায় হস্তান্তর করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সবশেষ ১৯ সেপ্টেম্বর হেলিকপ্টারে করে তাকে চট্টগ্রামে আনা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
হত্যা, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায়, হত্যাচেষ্টা, জমি দখল, ভাঙচুরসহ নানা অভিযোগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে ১০টি মামলা রয়েছে। বিভিন্ন মামলায় তাকে একাধিকবার রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে।