বগুড়ার শেরপুরে পাড়া মহল্লার গরিব মানুষের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে দাদন ব্যবসায়ীরা। সরকারি অনুমোদনহীন ক্লাব-সমিতি আর ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুদখোর চক্র মাসে শতকরা ২০ টাকা হারে সুদে ঋণ দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে রাখছে। প্রয়োজনের তাগিদে লোভনীয় প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে দিনমজুর, কৃষক, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে শিক্ষক-চাকরিজীবী অনেকেই এখন সর্বস্বান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে দাদন ব্যবসা। বিকেলপুর, খানপুর, সুঘাট, মির্জাপুর, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম ঘুরে এমন তথ্য উঠে এসেছে। শুধু গ্রাম নয়, শেরপুর পৌর শহরে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালেও সক্রিয় রয়েছে দাদন ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। বিকেলপুরের নয়লাপাড়া গ্রামের অঞ্জলী রানী শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। সন্তানদের পড়ালেখার খরচ জোগাতে স্থানীয় বর্মন পরিবারের কয়েকজনের কাছ থেকে দুই বছর আগে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। স্বামী-স্ত্রী মিলে ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেও রেহাই পাননি। অবৈধ সুদখোর চক্র আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি দিতে থাকে। শেষমেষ মাঠ থেকে তার সাত মাসের গাভী পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে গাভীটি ফিরে পান তিনি।
সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম বলেন, এক হাজার টাকা এক মাসের জন্য নিলে মাস শেষে দিতে হয় এক হাজার দুইশ টাকা। সাপ্তাহিক কিস্তিতেও এরা টাকা দেয়, সুদের হার শতকরা ২০ টাকা। সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নূরনবী হিটলার বলেন, মানুষে-মানুষে আস্থা, পারস্পরিক সহযোগিতা আর আমানতদারিতা এখন আগের এত নেই। আর তাই সুযোগ নিচ্ছে দাদন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ওবাইদুল হক বলেন, সমাজসেবা, পল্লী উন্নয়ন, পল্লী দারিদ্র বিমোচন, মহিলা বিষয়ক ও যুব উন্নয়ন অফিসের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়। অথচ মানুষ সরকারি সুযোগ না নিয়ে দাদন ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে। এদিকে সচেতন মহলের দাবি, দাদন ব্যবসার ভয়াবহ ছোবল থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও বিকল্প স্বল্প সুদের ঋণ কার্যক্রম আরও সহজ করতে হবে। তা না হলে চড়া সুদের দাদনের জালে পাড়া-মহল্লার দরিদ্র পরিবারগুলো এমনভাবেই নিঃস্ব হতে থাকবে। এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক খান বলেন, দাদন ব্যবসায়ীদের অবৈধ ক্লাব-সমিতি ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের কথা শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দাদন ব্যবসায়ীদের দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
বগুড়ার শেরপুরে পাড়া মহল্লার গরিব মানুষের সর্বস্ব লুটে নিচ্ছে দাদন ব্যবসায়ীরা। সরকারি অনুমোদনহীন ক্লাব-সমিতি আর ব্যক্তিকেন্দ্রিক সুদখোর চক্র মাসে শতকরা ২০ টাকা হারে সুদে ঋণ দিয়ে নিম্নআয়ের মানুষকে ঋণের জালে ফাঁসিয়ে রাখছে। প্রয়োজনের তাগিদে লোভনীয় প্রলোভনের ফাঁদে পড়ে দিনমজুর, কৃষক, ভ্যানচালক থেকে শুরু করে শিক্ষক-চাকরিজীবী অনেকেই এখন সর্বস্বান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলার প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নে ছড়িয়ে পড়েছে দাদন ব্যবসা। বিকেলপুর, খানপুর, সুঘাট, মির্জাপুর, শাহবন্দেগী ইউনিয়নের একাধিক গ্রাম ঘুরে এমন তথ্য উঠে এসেছে। শুধু গ্রাম নয়, শেরপুর পৌর শহরে স্বর্ণ ব্যবসার আড়ালেও সক্রিয় রয়েছে দাদন ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। বিকেলপুরের নয়লাপাড়া গ্রামের অঞ্জলী রানী শ্রমিকের কাজ করে সংসার চালান। সন্তানদের পড়ালেখার খরচ জোগাতে স্থানীয় বর্মন পরিবারের কয়েকজনের কাছ থেকে দুই বছর আগে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেন। স্বামী-স্ত্রী মিলে ৭০ হাজার টাকা পরিশোধ করেও রেহাই পাননি। অবৈধ সুদখোর চক্র আরও ৫০ হাজার টাকা দাবি করে হুমকি দিতে থাকে। শেষমেষ মাঠ থেকে তার সাত মাসের গাভী পর্যন্ত নিয়ে যায়। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে গাভীটি ফিরে পান তিনি।
সুঘাট ইউনিয়নের সূত্রাপুর গ্রামের আসাদুল ইসলাম বলেন, এক হাজার টাকা এক মাসের জন্য নিলে মাস শেষে দিতে হয় এক হাজার দুইশ টাকা। সাপ্তাহিক কিস্তিতেও এরা টাকা দেয়, সুদের হার শতকরা ২০ টাকা। সুঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নূরনবী হিটলার বলেন, মানুষে-মানুষে আস্থা, পারস্পরিক সহযোগিতা আর আমানতদারিতা এখন আগের এত নেই। আর তাই সুযোগ নিচ্ছে দাদন ব্যবসায়ীরা।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ওবাইদুল হক বলেন, সমাজসেবা, পল্লী উন্নয়ন, পল্লী দারিদ্র বিমোচন, মহিলা বিষয়ক ও যুব উন্নয়ন অফিসের মাধ্যমে সহজ শর্তে ঋণ দেয়া হয়। অথচ মানুষ সরকারি সুযোগ না নিয়ে দাদন ব্যবসায়ীর ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হচ্ছে। এদিকে সচেতন মহলের দাবি, দাদন ব্যবসার ভয়াবহ ছোবল থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করতে সচেতনতামূলক প্রচারণা ও বিকল্প স্বল্প সুদের ঋণ কার্যক্রম আরও সহজ করতে হবে। তা না হলে চড়া সুদের দাদনের জালে পাড়া-মহল্লার দরিদ্র পরিবারগুলো এমনভাবেই নিঃস্ব হতে থাকবে। এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশিক খান বলেন, দাদন ব্যবসায়ীদের অবৈধ ক্লাব-সমিতি ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের কথা শুনেছি। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। দাদন ব্যবসায়ীদের দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।